মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিশ্বের ১০০ কোটি ডলারের বেশি সম্পত্তির অধিকারীদের তালিকা আগেই প্রকাশ করেছিল ‘ফোর্বস’। সম্প্রতি আমেরিকার ৪০০ জন কোটিপতির তালিকা প্রকাশ করেছে তারা। এ বারের তালিকায় বেশ কিছু চমকও আছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তালিকায় অনেকটা পিছিয়ে গিয়েছেন। পাশাপাশি, ১৮ জন নতুন কোটিপতির নাম যুক্ত হয়েছে।
করোনাভাইরাস লকডাউনে বিশ্ব জুড়েই মন্দা। কিন্তু এই মহামারিও ধনীদের সম্পদের ফুলে ফেঁপে ওঠা রুখতে পারেনি। মন্দার মধ্যেই বহু মার্কিন কোটিপতির সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে। তালিকার শীর্ষ স্থানটি অ্যামাজন কর্তা জেফ বেজোসের দখলেই রয়েছে। গত তিন বছর ধরেই আমেরিকার শীর্ষ ধনী ব্যক্তি তিনি। ৫৬ বছরের বেজোসের মোট সম্পত্তির পরিমাণ এখন ১৭ হাজার ৯০০ কোটি ডলার।
মাইক্রোসফট কর্ণধার বিল গেটস রয়েছেন কোটিপতি তালিকার দ্বিতীয় স্থানে। তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১১ হাজার একশো কোটি ডলার। বিল ও তার স্ত্রী মেলিনা বিশ্বের সব থেকে বড় চ্যারিটেবল সংস্থা গেট ফাউন্ডেশন চালান। তৃতীয় স্থানে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। তার মোট সম্পত্তি সাড়ে ৮ হাজার কোটি ডলারের। ‘ওরাকেল অব ওমাহা’ বলে পরিচিত ওয়ারেন বাফে রয়েছেন চতুর্থ স্থানে। বাফের বার্কশায়ার হ্যাথওয়ের অধীনে রয়েছে ৬০টিরও বেশি সংস্থা। আমেরিকার অন্যতম সফল এই শিল্পপতির মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৭ হাজার ৩৫০ কোটি ডলার। টেসলা ও স্পেসএক্স-এর মালিক এলোন মাস্ক রয়েছেন তালিকার সপ্তম স্থানে। তার সম্পত্তির পরিমাণ ৬ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। ওয়ালমার্টের প্রতিষ্ঠাতা সাম ওয়াল্টনের এক মাত্র মেয়ে অ্যালিস ওয়াল্টন রয়েছেন দশম স্থানে। আমেরিকার মহিলা কোটিপতিদের মধ্যে প্রথম স্থানে তিনি। তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৬ হাজার ২৩০ কোটি ডলার।
লকডাউনে ভিডিও কনফারেন্সের জন্য জুমের ব্যবহৃত হয়েছে বিশ্ব জুড়ে। যার জেরে করোনাকালে জুম ভিডিও কমিউনিকেশনসের চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার এরিক ইউয়ানের সম্পত্তি বেড়েছে বেশ কয়েক গুণ। এ বারের কোটিপতি তালিকায় ১৮ নবাগতের মধ্যে অন্যতম তিনি। তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ এক হাজার একশো কোটি ডলার। নবাগত বিলিওনার তালিকার অন্যতম নাম বায়ো-র্যাড ল্যাবরেটরিজের অ্যালিস সোয়ার্জ। ইলেকট্রিক ট্রাক প্রস্তুতকারক সংস্থা নিকোলার প্রতিষ্ঠাতা ট্রেভর মিল্টনও প্রথম বারের জন্য এসেছেন ফোর্বসের তালিকায়। মাংস ও খাবার প্রসেস করায় ওএসআই গ্রুপ বিশ্বের অন্যতম বড় নাম। তার প্রধান শেল্ডন লাভিনও নবাগত হিসাবে স্থান পেয়েছেন তালিকায়। ‘স্যামুয়েল অ্যাডামস’ বিয়ার তৈরি করেছিলেন জিম কোচ। সম্পত্তি বাড়িয়ে তিনিও কোটিপতি তালিকায় নাম লিখিয়েছেন।
ফোর্বসের মার্কিন ধনী তালিকায় রয়েছেন সাত জন ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান। তাদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছেন জয় চৌধুরি। ২০০৮ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন সাইবার সিকিউরিটি সংস্থা জেডস্কেলার। ৭৬০ কোটি ডলার সম্পত্তি নিয়ে তিনি রয়েছেন তালিকার ৮৫ নম্বরে। সিম্ফনি টেকনোলজি গ্রুপের সিইও রমেশ ওয়াধওয়ানি রয়েছে মার্কিন কোটিপতি তালিকার ২৩৮ নম্বরে। তার মোট সম্পত্তি ৩৬০ কোটি ডলার। নীরজ শাহ, খোসলা ভেনচারের প্রতিষ্ঠাতা বিনোদ খোসলা, রাম শ্রীরাম, রাকেশ গাংওয়াল ও ওয়ার্কডে-র সিইও-প্রতিষ্ঠাতা অনিল ভুসরির মতো ভারতীয় বংশোদ্ভূতরাও জায়গা করে নিয়েছেন মার্কিন কোটিপতি তালিকায়।
তবে এই কোটিপতি তালিকার সব থেকে বড় চমক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রিয়েল এস্টেট ব্যবসা রয়েছে তার। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তার হোটেল-রিসর্ট রয়েছে। কিন্তু করোনা মহামারিতে জোর ধাক্কা খেয়েছে ট্রাম্পের ব্যবসা। তার সম্পত্তির পরিমাণ ৩১০ কোটি ডলার থেকে কমে হয়েছে ২৫০ কোটি ডলার। এর জেরে কোটিপতি তালিকাতেও ৭৭ ধাপ পিছিয়ে পড়েছেন তিনি। গত বছর তিনি ছিলেন ২৭৫ নম্বরে। সেখান থেকে এ বারের তালিকায় তিনি নেমে গিয়েছেন ৩৫২ নম্বরে। সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।