মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আসামে মাদ্রাসা তুলে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে বলে বেশ কিছুদিন থেকে গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক অঙ্গনে যে আলোচনা হচ্ছে, তাতে চিন্তিত বাংলার মুসলিম নেতারা। তারা আসাম সরকারের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলছেন, সংবিধানের ৩০ এ ধারা অনুযায়ী সংখ্যালঘুরা নিজেদের পছন্দমত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়তে পারবে এবং সরকার তাতে সহযোগিতা করবে, অথচ আসাম সরকার দেশের সংবিধানবিরোধী পদক্ষেপ নিচ্ছে। -যুগশঙ্খ
জামায়াতে ইসলামী হিন্দের পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সভাপতি মাওলানা আব্দুর রফিক বলেন, আসাম সরকার মাদ্রাসার বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা আসামের ঐতিহ্য বিরোধী। আসামে প্রায় ১১ হাজার মাদ্রাসা আছে, তার মধ্যে প্রায় হাজারখানেক সরকারি মাদ্রাসা আছে। মাদ্রাসা ব্রিটিশ আমল থেকে আছে। মাদ্রাসা অর্থ বিদ্যালয়। সংখ্যালঘু মুসলিমরা যাতে কৃষ্টি সংস্কৃতি বজায় রেখে শিক্ষার্জন করতে পারে, তার জন্য মাদ্রাসা। মাদ্রাসা বন্ধ করে দিলে হাজার হাজার যে জমি মুসলিমরা দান করেছে তার কী হবে? তাছাড়া মাদ্রাসায় শুধু মুসলিমরা পড়াশোনা করে না, অমুসলিমরাও পড়াশোনা করে। সংখ্যালঘু প্রান্তিক মানুষদের শিক্ষার সুযোগ করে দিতে আসাম সরকারকে মাদ্রাসার পরিকাঠামোর উন্নতি করতে হবে। সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের রাজ্য সম্পাদক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, সাংবিধানিক অধিকার মোতাবেক দেশের বিভিন্ন রাজ্যে সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা মাদ্রাসা চলছে। আসাম সরকার যে পদ্ধতিতে মাদ্রাসা তুলে দিতে চাইছেন, সেটা সাংবিধানিক বিধিবিধানের পরিপন্থী। ধর্মনিরপেক্ষ দেশে কোনো সরকার এভাবে সংবিধানকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সংখ্যালঘু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে পারে না।
যাদবপুর ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আব্দুল মতিন বলেন, ভারতের সংবিধানে মাদ্রাসা ও সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠান স্থাপন করার কথা বলা আছে। তাই আসাম সরকারের এই প্রস্তাব সংবিধান ও দেশের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বহুত্ববাদ বিরোধী। আসাম প্রদেশ জমিয়তে আহলে হাদিসের সম্পাদক আলমগীর সরদার বলেন, আসাম সরকারের মাদ্রাসা শিক্ষা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত অত্যন্ত বেদনাদায়ক ও সংবিধান বিরোধী। নানা ভাষা নানা মতের ভারতবর্ষকে আজ গৈরিকীকরণের অপচেষ্টায় মেতে উঠেছে বর্তমান সরকার। যার ফলে দেশ আজ বহুমুখী সমস্যার সম্মুখীন। দেশে হাজারো সমস্যা থাকা সত্ত্বেও বেছে নেওয়া হয়েছে বিশেষ এক সম্প্রদায়কে, বিভিন্ন ঘটনায় তাদেরকে বলির পাঠা করা হচ্ছে, তারই একটি অংশ হিসেবে আসামে মাদ্রাসা শিক্ষাকে বন্ধ করার পায়তারা। বর্তমান মাদ্রাসাগুলোতে আধুনিক শিক্ষার সাথে সাথে নামমাত্র ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়া হয়। বর্তমান সরকার সেটাও চাইছে না। আমরা সরকারের কাছে মাদ্রাসা শিক্ষা যাতে বন্ধ না হয়, তার অনুরোধ জানাই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।