বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ময়মনসিংহ নগরীর কেওয়াটখালি পিজিসিডি গ্রিড উপকেন্দ্রে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে করে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এ উপকেন্দ্রের অধিনস্থ সকল এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ কার্যক্রম। ফলে বিদ্যুৎ বিহীন হয়ে পড়েছে ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর ও নেত্রকোনা জেলা।
মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে ওই উপ-কেন্দ্রের একটি ট্রান্সফর্মারে এ আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভসের দুইটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। এরপর টানা এক ঘন্টার চেষ্টায় দুপুর ২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে।
খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ময়মনসিংহ বিভাগের উপ-পরিচালক আবুল হোসেন। তিনি জানান, শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে বলে ধারনা করছে অনেকেই। তবে কেন বা কি কারনে আগুনের সূত্রপাত তদন্ত সাপেক্ষে তা বলা যাবে। তিনি আরো জানান, আগুনের খবর পাওয়ার সাথে সাথে দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থে পৌছে কাজ শুরু করে। এ সময় আরো ৫টি ইউনিট প্রস্তুত করা হলেও টানা এক ঘন্টার চেষ্টায় দুই ইউনিটই আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়।
জানা যায়, পাওয়ার গ্রিডে আগ্নিকান্ডের ঘটনায় ময়মনসিংহ নগরীসহ চার জেলা বিদ্যুৎ বিহীন হয়ে পড়ায় বন্ধ হয়ে গেছে সকল ধরনের শিল্প প্রতিষ্ঠান, কল-কারখানা ও দোকানপাট। ফলে নগরবাসীর বাসাবাড়ীতেও সৃষ্টি হয়েছে বিড়ম্বনা।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকার কারণে মঙ্গলবার দুপুর ৩টার দিকে বন্ধ হয়ে যায় ময়মনসিংহ নগরীর অলকা নদী বাংলা মার্কেট, মফিজ উদ্দিন ইনডেক্স প্লাজাসহ গাঙ্গিনাপাড় এলাকার মার্কেটসহ বেশির ভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ফলে বিদ্যুৎ বিড়ম্বনায় ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী।
পিডিবি ময়মনসিংহ অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম জানান, এ উপকেন্দ্রটিতে ৩টি পাওয়ার ট্রান্সফরমার আছে। এর মধ্যে একটি পাওয়ার ট্রান্সফরমারে আগুন লেগেছে। কিন্তু কি কারনে এটা হয়েছে বা ক্ষয়ক্ষতি কি পরিমান হয়েছে সেটি জানাতে সময় লাগবে। এ ঘটনায় পাওয়ার গ্রীড কোম্পানি তদন্তে নেমেছেন।
তিনি আরো জানান, এ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর ও নেত্রকোনা জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। কখন বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে, তা এখন বলা যাচ্ছে না। তবে চেষ্টা করছি প্রাথমিক ভাবে ময়মনসিংহ শহরের আংশিক এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা যায় কিনা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।