প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু মামলায় মূল অভিযুক্ত রিয়া চক্রবর্তীকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করছে নারোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। ফলে সোমবারেও সংস্থাটির দপ্তরে হাজির হয়েছেন রিয়া। শোনা যাচ্ছে, আজ শৌভিক চক্রবর্তী ও স্যামুয়েল মিরিন্ডার সঙ্গে বসিয়ে জেরা করা হবে রিয়া চক্রবর্তীকে।
এদিকে রিয়া চক্রবর্তী দাবি করেছেন, মাদকে আসক্ত ছিলেন সুশান্ত। সপ্তাহে অন্তত ১-২ বার সিগারেটের ভেতরে মাদক ঢুকিয়ে নেশা করতেন প্রয়াত অভিনেতা। আর এই মাদকের জন্য শৌভিক ও স্যামুয়েলকে অনুরোধ করতেন সুশান্ত। কেননা সুশান্ত জানতেন, তারা দু'জন ওর জন্য মাদক সংগ্রহ করে দিতে পারবেন। তবে শৌভিক ও স্যামুয়েল ছাড়া তিনি নিজেও একবার সুশান্তের জন্য মাদকের ব্যবস্থা করেছিলেন বলেও জানান রিয়া চক্রবর্তী।
পাশাপাশি রিয়া এও বলেন, ভাই শৌভিক ও সুশান্তের হাউজ ম্যানেজার স্যামুয়েল মাদকের নেশা করতেন কিনা, সেটা জানা নেই তার। কিন্তু তাদের দু'জনের বেশ কয়েকজন পরিচিত লোক আছেন যারা সুশান্তের জন্য মাদকের ব্যবস্থা করতেন।
এদিকে মাদক কারবারিদের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে রিয়ার গ্রেফতারের জল্পনা যখন তুঙ্গে, তখন রিয়ার আইনজীবী অদ্ভুদ দাবি করে বসলেন। সতীশ মানশিন্ডের কথায়, 'রিয়া গ্রেফতার হতে প্রস্তুত রয়েছেন। ভালোবাসা যদি অপরাধ হয়, তাহলে তার জন্য গ্রেফতার কিংবা সাজা পেতে সমস্যা নেই রিয়ার। নিরাপরাধ হয়েও মুম্বাই পুলিশ, বিহার পুলিশ, ইডি, সিবিআই, এনসিবির কোনো মামলায় আদালতে আগাম জামিনের জন্য আবেদন করেননি।'
এনসিবির পাশাপাশি জোর কদমে সুশান্তের মৃত্যু মামলার তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই)। তাদের তদন্ত একেবারে শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আপাতত এইমস এর ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা। সেই রিপোর্ট হাতে পেলেই মামলার পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিবে সিবিআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।