মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আহ্বানে সাড়া না দিলে গ্রিসকে কঠিন মূল্য দিতে হবে জানিয়ে দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। ভূমধ্যসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান নিয়ে তৈরি উত্তেজনার মধ্যে প্রেসেডেন্ট শনিবার গ্রিসকে এ আহ্বান জানান । শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) তিনি জানিয়েছেন এ বিষয়ে হয় আলোচনায় বসুন, নতুবা বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতার জন্য প্রস্তুত থাকুন। খবর আল জাজিরা ও ইউরোনিউজের।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেছেন— হয় তারা রাজনীতি ও কূটনীতির ভাষা বুঝবে অথবা তাদেরকে বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতার শিকার হতে হবে। তারা যে অনৈতিক ম্যাপ ও ডকুমেন্ট দেখাচ্ছে সেটা ছিড়ে ফেলার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তি তুরস্কের রয়েছে। এটা তারা বুঝতে পারবে। তুরস্ক যেকোনো পরিস্থিতির জন্যই প্রস্তুত আছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী গ্রিসের বর্ডারে ট্যাঙ্ক মোতায়েন করছে তুরস্ক। চুম্বুরিয়েট পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী সিরিয়া সীমান্ত থেকে সরিয়ে গ্রিস সীমান্তে ইতোমধ্যে ৪০টি ট্যাঙ্ক মোতায়েন করেছে ইউরোশিয়ান দেশটি। ওই পত্রিকা একটি ছবি প্রকাশ করেছে যেখানে দেখা যাচ্ছে সাঁজোয়া যানও প্রস্তুত রাখা হচ্ছে।
যদিও নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন সেনা কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে ট্যাঙ্ক ও সাঁজোয়া যান প্রস্তুত রাখাটা তাদের নিয়মিত মহড়ার অংশ। এটার সঙ্গে ভূমধ্যসাগরে তৈরি উত্তেজনার কোনো সম্পর্ক নেই।
ভূমধ্যসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান নিয়ে গ্রিস ও তুরস্কের মধ্যে বহুদিনের বিবাদ রয়েছে। সম্প্রতি তুরস্ক সাইপ্রাসের নিকটবর্তী নিজেদের অংশে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর এটার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে গ্রিস। গ্রিসকে সমর্থন দিচ্ছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ)। তাতে করে গ্রিস ও তুরস্ক উভয় দেশই ভূমধ্যসাগরে তাদের যুদ্ধজাহাজ ও আকাশপথে বিমানের মহড়া বাড়িয়েছে। এ নিয়ে দুটি দেশের মধ্যে বেশ উত্তেজনাও বিরাজ করছে কিছুদিন ধরে।
বিষয়টির একটি সুরাহা করতে চাচ্ছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটো। তুরস্কও চাচ্ছে আলোচনার মাধ্যমে একটি সমাধানে আসতে। এখন গ্রিস যদি আলোচনা না করতে চায় তাহলে তাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে রাখলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।