নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
শেষ হলো অপেক্ষার, স্বস্তি ফিরল বার্সেলোনা তথা আর্জেন্টাইন মেগাস্টার লিওনেল মেসি ভক্তদের মনে। অবশেষে কাটল সংকট, দূর হলো মেসি-বার্সা সম্পর্কের অচলাবস্থা। চুক্তির কোটা পূরণ করতে আগামী মৌসুমে বার্সেলোনাতেই থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মেসি। ৪ সেপ্টেম্বর গোল ডটকমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ২০২০-২১ মৌসুমে বার্সাতেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্তটি জানান আর্জেন্টিনা অধিনায়ক। তবে তার কথায় স্পষ্ট প্রমাণ মিলে যে, ইচ্ছের বিরুদ্ধেই ক্যাম্প ন্যুতে থাকতে যাচ্ছেন মেসি! তিনি বলেন,‘আমি ভেবেছিলাম এবং নিশ্চিত ছিলাম যে ইচ্ছে করলেই ক্লাব ছাড়তে পারি। সভাপতি সবসময় বলত, মৌসুম শেষে আমি সিদ্ধান্ত নিতে পারব যে, আমি থাকব না চলে যাব।’ গত ২৫ আগস্ট এক ফ্যাক্স বার্তায় মেসি জানান, চুক্তির একটি ধারা কার্যকর করে ফ্রি ট্রান্সফারে ক্যাম্প ন্যু ছাড়ছেন তিনি। তবে বার্সেলোনার দাবি, ওই ধারা কার্যকর করার মেয়াদ গত ১০ জুনে শেষ হয়ে গেছে। ফলে চুক্তি অনুযায়ী হয় তাকে ২০২০-২১ মৌসুমের শেষ পর্যন্ত থাকতে হবে, নয়তো পরিশোধ করতে হবে রিলিজ ক্লজের পুরো ৭০ কোটি ইউরো। গত ৩০ আগাস্ট লা লিগাও বার্সেলোনার দাবির পক্ষে মত দেয়। চুক্তিপত্র পর্যালোচনা করে লা লিগা কর্তৃপক্ষ জানায়, বার্সায় মেসির চুক্তির মেয়াদ পূর্ণ করার শর্তটি এখনও কার্যকর আছে। লা লিগার এমন মন্তব্যের জবাবে গত শুক্রবার মেসির পক্ষ থেকে ‘তাদের পর্যালোচনা ভুল’ দাবি করে পাল্টা বিবৃতি দেন মেসির বাবা ও এজেন্ট হোর্হে মেসি। তবে বার্সেলোনায় আগামী মৌসুমে মেসি থাকবেন কি-না, সে সম্পর্কে বিবৃতিতে কিছুই বলা হয়নি।
দু’পক্ষের অনড় অবস্থানে শুরু হয় দীর্ঘ প্রায় দু’দশকের সম্পর্কের টানাপোড়েন। এরই মাঝে সংবাদ মাধ্যমের খবর, ভালোভাবে বিদায় নেয়ার জন্য মেসি আলোচনায় বসতে চাইলেও বার্সা না করেছে। তবে গত ২ সেপ্টেম্বর তারা ঠিকই আলোচনায় বসে। মেসির পক্ষে ছিলেন তার বাবা ও এজেন্ট হোর্হে মেসি, ভাই রদ্রিগো এবং একজন আইনজীবী। আর বার্সার পক্ষে ছিলেন সভাপতি জোজেপ মারিয়া বার্তোমেউ ও কর্মকর্তা হাভিয়ে বোর্দাস। ওই সভায় কোনো সমাধান না আসলেও পরে তারা আবারও বসতে পারেন বলে ইঙ্গিত পাওয়া যায়। তাতে আদালতের বাইরে সমস্যা সমাধানের আশাও জেগে ওঠে। মেসির কথাতেও তার প্রমাণ পাওয়া গেল। ‘আমার প্রিয় ক্লাবের বিরুদ্ধে আমি কখনোই আইনি লড়াইয়ে যাব না। একারণেই আমি বার্সেলোনায় থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
তবে সব তিক্ততা ভুলে বার্সেলোনার হয়ে মাঠে সেরাটাই দেবেন লিওনেল মেসি। আরেক মৌসুম বার্সায় থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার পর এমনটাই জানান এই আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকর। গোল ডটকমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মেসি আরও জানান, দলের সেরা সাফল্যের জন্য এবারও নিংড়ে দেবেন নিজের সবটুকু। তার কথায়,‘বার্সেলোনার হয়ে খেলা চালিয়ে যাব এবং কতটা তীব্রভাবে ক্লাব ছাড়তে চেয়েছি, তার কোনো প্রভাব আমার মানসিকতায় পড়বে না। নিজের সেরাটা দেব আমি।’ মেসি যোগ করেন, ‘আমি সবসময় জিততে চাই। আমি লড়াকু এবং কিছুই হারাতে পছন্দ করি না। সবসময় ক্লাবের, ডেসিংরুমে এবং আমার জন্য সবচেয়ে ভালোটা চেয়েছি।’
এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ব্যর্থতার পর কোচ কিকে সেতিয়েনকে বিদায় করে রোনাল্ড কুমানকে দেয়া হয়েছে বার্সার দায়িত্ব। মেসি জানান, দলের প্রয়োজনের কথা আগেই বলেছিলেন তিনি। ‘আমি সেসময় এটা বলেছিলাম যে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের জন্য আমাদের যে সহায়তা দরকার, সেটা দেয়া হচ্ছে না। আসলে, আমি জানি না এখন কি হবে। নতুন একজন কোচ এসেছেন এবং নতুন ভাবনা থাকবে।’ তিনি আরও বলেন,‘এটা ভালো, কিন্তু আমাদের দেখতে হবে দল কিভাবে সাড়া দেয় এবং এটা আমাদেরকে শীর্ষ পর্যায়ে লড়াই করতে দেয় কিনা। যা বলতে পারি, তা হচ্ছে যে, আমি থাকছি এবং বার্সেলোনার জন্য নিজের সেরাটা দেব।’
এবারই কিন্তু প্রথম নয়, বার্সা ছাড়ার সুযোগ আগেও পেয়েছিলেন মেসি। সেই কথা সমালোচকদের মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। ‘আমি সবসময় ক্লাবকে সবকিছুর আগে রাখি। অনেকবারই বার্সা ছাড়ার সম্ভাবনা ছিল। প্রতি বছরই চলে যেতে পারতাম এবং বার্সেলোনার চেয়ে বেশি আয় করতে পারতাম। আমি চলে যেতে চেয়েছিলাম, কারণ ফুটবলে আমার শেষ কয়েক বছর সুখে থাকতে চেয়েছি। কিন্তু সা¤প্রতিক সময়ে বার্সায় আমি সুখ খুঁজে পাইনি। তারপরও আমি সবসময় বলেছি, এটাই আমার ঘর। এটা আমি অতীতে অনুভব করেছি এবং এখনও করি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।