মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
২০১৮ সালে ফ্রান্স সফরের সময় ইউরোপে যুক্তরাষ্ট্রের নিহত সেনাদের তাচ্ছিল্য করার অভিযোগ উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম আটলান্টিক ম্যাগাজিনের একটি প্রতিবেদনে এমন অভিযোগ আনা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প ২০১৮ সালের নভেম্বরে ফ্রান্স সফরকালে প্যারিসের কাছে সমাহিত মার্কিন সৈন্যদের দেখতে যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। এ সময়ে আলোচনাকালে তিনি সৈন্যদের নিয়ে তাচ্ছিল্যভরা মন্তব্য করেন।
তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই ঘটনাকে মিথ্যা বলে উল্লেখ করেন। তিনি দাবি করেন যে, খারাপ আবহাওয়ার কারণে সমাধিক্ষেত্রে হেলিকপ্টারে যাওয়াও সম্ভব ছিল না; অপরদিকে সড়কপথে এতটা পথ পাড়ি দিয়ে সেখানে যেতে গোয়েন্দা সদস্যদের বারণ ছিল।
উল্লেখ্য, নিহত সেনাদের নিয়ে ট্রাম্পের এমন উপহাস করার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। যুক্তরাষ্ট্রের প্রগতিশীল দল ভোটভেটস নিহত সেনাদের পরিবারের বক্তব্য নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। সেখানে একজনকে বলতে শোনা যায়, ট্রাম্প আপনি জানেন না ত্যাগ কী ?
বিশ্লেষকরা বলছেন ট্রাম্পের এমন মন্তব্য আসন্ন মার্কিন নির্বাচনে সেনাবাহিনী সদস্যদের ভোটে প্রভাব ফেলতে পারে। তারা বলছেন, এমন মন্তব্য করে সেনাবাহিনীর ভোট নষ্ট করেছেন ট্রাম্প।
এদিকে নিহত সেনাদের তাচ্ছিল্য করার অভিযোগ বিষয়ে স্বামীকে সমর্থন করেছেন মেলানিয়া ট্রাম্প। এ প্রেক্ষিতে গতকাল শুক্রবার প্রকাশ্যে এক ব্যতিক্রমী বিবৃতি দেন মেলানিয়া ট্রাম্প। তিনি একে অসত্য বলে এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন।
বৃহস্পতিবার দ্য আটলান্টিক ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক নিবন্ধে চারটি অজ্ঞাত সূত্রের উল্লেখ করে বলা হয়, ফ্রান্সে সমাহিত প্রথম বিশ্বযুদ্ধের মার্কিন মেরিন সেনাদের ট্রাম্প হতভাগ্য ও গবেট হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
অন্যদিকে মেলানিয়া ট্রাম্প টুইট করে বলেন, এটি এখন খুবই বিপদজনক সময় যখন অজ্ঞাত সূত্রগুলোকেও বিশ্বাস করা হয়। অথচ কেউ তাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে কিছু জানে না। এটি সাংবাদিকতা নয়, এটি সক্রিয়তাবাদ। আর এটি আমাদের মহান জাতির জন্যে বিপর্যকর।
এছাড়া ট্রাম্প টুইট করে বলেছেন, অন্য অনেক ম্যাগাজিনের মতো দ্য আটলান্টিক ম্যাগাজিনও মারা যাচ্ছে। তাই তারা ভুয়া রিপোর্ট করে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে চায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।