মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাষ্ট্রে অক্টোবরের শেষ নাগাদ করোনার ভ্যাকসিন বিতরণের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে। বৃহস্পতিবার মার্কিন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা ও ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজার ইনকরপোরেশন এ তথ্য জানিয়েছে।
ফাইজার জানিয়েছে, জার্মান অংশীদার বায়োএনটেক এসইর সঙ্গে তারা যৌথভাবে কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিনের উন্নয়ন চালাচ্ছেন সেটি নিরাপদ ও কার্যকর কিনা তা অক্টোবরের শেষ নাগাদ জানা যাবে। ট্রায়ালের ফল ইতিবাচক হলে তারা দ্রুত অনুমোদন চাইবে। অবশ্য ইতোমধ্যে তারা ট্রায়ালে থাকা ভ্যাকসিনের লাখ লাখ ডোজ উৎপাদন করে ফেলেছেন। তবে ট্রায়াল শেষের আগেই এ ভাবে ভ্যাকসিন ছাড় দেয়ায় শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিশেষজ্ঞদের মতে, নভেম্বরে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই একটা চমক দিতে চাইছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অবশ্য এই তোড়জোরের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি ক্যালিগ ম্যাকিন্যানি। তার দাবি, ‘ভ্যাকসিনের দ্রæত অনুমোদনের জন্য মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনেস্ট্রেশনকে (এফডিএ) রাজনৈতিকভাবে চাপ দেয়া হচ্ছে না।’
বুধবার আমেরিকার ‘সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’ (সিডিসি) ভ্যাকসিন বিলি সংক্রান্ত নির্দেশিকা প্রকাশ করার পরে সেই সম্ভাবনা জোরদার হল। সিডিসি সূত্রের খবর, অক্টোবরের শেষেই দেশে আসতে চলেছে ওই ভ্যাকসিন। তবে প্রথম দিকে ভ্যাকসিনের সংখ্যা সীমিত হতে পারে। সে কারণে, সুষ্ঠু ভাবে তা বিলির জন্য প্রাথমিক রূপরেখা তৈরি করতে বিভিন্ন প্রদেশের স্বাস্থ্যকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে সিডিসি। তবে, ভ্যাকসিনের নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা প্রমাণের আগেই এ ভাবে ঝুঁকি নেয়ার ঘটনায় আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
একটি প্রথম সারির মার্কিন দৈনিকে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, আমেরিকার ৫০টি প্রদেশ এবং পাঁচটি বড় শহরের প্রশাসনের কাছে ওই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। সরকারি ভাবে বিনামূল্যে মিলবে ওই ভ্যাকসিন। যাদের জীবনের ঝুঁকি বেশি, তাদেরকে প্রথমে ওই ভ্যাকসিন দেয়া হবে। পাশাপাশি চিকিৎসক, নার্স, হাসপাতাল কর্মী, নিরাপত্তা কর্মীদের মতো প্রথম সারির করোনা-যোদ্ধাদেরও প্রাথমিক তালিকায় রাখা হয়েছে।
এদিকে, প্রতিষেধক তৈরির দৌড়ে আরও নতুন নতুন নাম উঠে আসছে বিশ্ব জুড়ে। বৃহস্পতিবার একটি নতুন প্রতিষেধকের ট্রায়াল শুরুর কথা ঘোষণা করেছে ফরাসি ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা সানোফি এবং তার ব্রিটিশ সহযোগী জিএসকে। প্রোটিন নির্ভর এই প্রতিষেধকের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ট্রায়াল শুরু করেছে তারা। সূত্র : রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।