মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মুসলমান সবচেয়ে আবেগের জায়গা হচ্ছে পবিত্র কাবা শরিফ। এই কাবা শরিফের দিকে মুখ করে সারা বিশ্বের মুসলিমরা নামাজ আদায় করেন। আর কাবা শরিফ ঘিরে সারা বছর কোটি কোটি মুসলমানের আগমনে মুখরিত থাকা পবিত্র মক্কা নগরী। তবে করোনাভাইরাসের কারণে এই বছর এই উৎসবে কিছুটা ভাটা পড়েছে।
এদিকে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও সৌদি আরবের পবিত্র মক্কা নগরীর গভর্নর ও প্রধান খতিবের নেতৃত্বে পবিত্র কাবা শরিফ ধোয়ার কাজ শেষ হয়েছে। পূর্ব ঘোষণা ও রীতি অনুযায়ী, সকালে কাবা ধোয়ার কথা থাকলেও এবার রীতি ভেঙে এশার নামাজের পর পবিত্র কাবা শরিফ ধোয়ার কাজ সম্পন্ন হলো।
গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে আটটায় কাবা ধোয়ার কাজ শুরু করা হয়। সৌদি বাদশাহ সালমানের পক্ষে মক্কা নগরীর গভর্নর প্রিন্স খালিদ আল ফয়সাল কাবা শরিফ ধোয়া ও পরিচ্ছন্নতার কাজে নেতৃত্ব দেন।
কাবা ধোয়ার কাজে হারামাইন প্রেসিডেন্সির চেয়ারম্যান ও কাবা শরিফের প্রধান খতিব শায়খ আবদুর রহমান আস সুদাইস, স্পেশাল ইমারর্জেন্সি ফোর্সের কমান্ডার ও হজ সিকিউরিটি ফোর্সের কমান্ডার, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরাও অংশ নেন। অন্য সময় বিভিন্ন মুসলিম দেশের রাষ্ট্রদূতরা অংশ নিলেও এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে তাদের কাবা ধোয়ার কাজে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
কাবা ধোয়া উপলক্ষে মাগরিবের পর কাবার গায়ে বিশেষ সিঁড়ি লাগানো হয়। এর আগে সতর্কতা হিসেবে কাবার সিঁড়ি, দেয়াল ও কাবার গিলাফ জীবাণুনাশক ওষুধ দিয়ে জীবণুমুক্ত করা হয়। কাবার ধোয়ার কাজে আগতরা মসজিদে হারামে এশার নামাজ আদায় করেন। এ সময় তাদেরকে বরকতময় জমজমের পানি দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।
তারা পবিত্র জমজমের পানির সঙ্গে গোলাপ, উন্নতমানের সুগন্ধি উদ ও কস্তুরি মিশ্রিত পানি দিয়ে কাবা শরিফের অভ্যন্তরে ধোয়ামোছার কাজ করেন।
কাবা শরিফ ধোয়ার সময় দুই ঘণ্টা দরজা খোলা রাখা হয়। কাবা শরিফ ধোয়ার পর বের হয়ে সবাই হাজরে আসওয়াদে (কালো পাথর) চুম্বন করেন। অতঃপর কাবা শরিফ তাওয়াফ করেন। তাওয়াফ শেষে মাকামে ইবরাহিমে নামাজ আদায় করেন।
রীতি অনুযায়ী, প্রত্যেক মহররম মাসে কাবা শরিফ ধোয়া হলেও আরাফার দিন (৯ জিলহজ) কাবা শরিফের গিলাফ বদলানো হয়। কাবা ধোয়া শরিফ সৌদি সরকার সবিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এটা একটা উৎসবও বটে। কারণ কোরআন ও হাদিসে বায়তুল্লাহর মর্যাদা দান, একে পবিত্র রাখা ও পরিশুদ্ধ করার প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে।
কাবা শরিফ পরিচ্ছন্ন করা নবীর একটি আদর্শ। মক্কা বিজয়ের দিন তিনি সাহাবায়ে কেরামদের সঙ্গে নিয়ে কাবা ঘরে প্রবেশ করে বাহ্যিক ও মৌলিকভাবে পরিশুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করেন। কাবায় থাকা মূর্তিগুলোকে অপসারণ করেন।
নবী করিম (সা.)-এর সেই কাজের অনুসরণে কাবা শরিফ ধোয়ার এই কাজটি একটি বড় উৎসব হিসেবে পালন করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।