মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
প্রকাশ্যে এমন বেআইনি কাজের কথা বেশ জোরেশোরেই বললেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানেন, এটা বেআইনি। তবুও ট্রাম্পের এমন দাবি যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনে তুমুল আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি করেছে। নর্থ ক্যারোলিনার উইলমিংটন শহরে ভোট প্রচারণার বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন ট্রাম্প।–নিউ ইয়র্ক টাইমস, দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট, এনবিসি নিউজ
ভোটের প্রচার করতে উইলমিংটন যাননি ট্রাম্প। তিনি গিয়েছিলেন, এই শহরটিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার ঐতিহাসিক শহর হিসেবে ঘোষণা করার জন্য। শহরটিকে আনুষ্ঠানিক ভাবে ‘আমেরিকান ওয়ার্ল্ড ওয়ার টু হেরিটেজ সিটি’ ঘোষণা করার পর ট্রাম্প আচমকাই ভোট প্রসঙ্গে চলে যান। এবং তখনই বলেন, একবার ভোটকেন্দ্রে গিয়ে এবং আরও এক বার ডাক যোগে, অর্থাৎ মোট দুবার করে যেন তাকে ভোট দেন সমর্থকরা। করোনা পরিস্থিতিতে ডাক যোগে ভোটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। তবে কেউ চাইলে তিনি বুথে গিয়েও দিতে পারেন ভোট। কিন্তু প্রথম থেকেই ডাক যোগে ভোটের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছেন ট্রাম্প।
তার দাবি, ডেমোক্রোটরা এর মাধ্যমে ভোট জালিয়াতির সুযোগ পাবেন। ডাক যোগে ভোট দেয়ার বিষয়টি আদৌ নিরাপদ বলে মনে করেন না তিনি। সেই প্রসঙ্গেই বলেন, আমার সমর্থকরা কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পরে তারা ডাক যোগেও ভোট দেবেন। ডাক যোগে ভোট যদি এতই নিরাপদ হয়, তাহলে তো তারা ভোটই দিতে পারবেন না! অভিযোগ উঠেছে, বেআইনি ভোটদানকে প্রকাশ্যে সমর্থন করছেন ট্রাম্প। নর্থ ক্যারোলিনার অ্যাটর্নি জেনারেল জশ স্টেইন ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন, তিনি প্রকাশ্য জনসভায় সাধারণ মানুষকে আইন ভাঙতে উস্কানি দিয়েছেন। ট্রাম্পের বিরোধী ডেমোক্রেট পার্টি অভিযোগ করেছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং তার রিপাবলিকান পার্টি নির্বাচনে অন্যায় হস্তক্ষেপের চেষ্টা করছে।
গত মাসের শেষেই রিপাবলিকান সম্মেলনে ডাক যোগে ভোট নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, এর ফলে বিরোধীরা জালিয়াতি করবে। তাই সমর্থকদের সতর্ক থাকার কথা বলেন তিনি। যদিও মার্কিন নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা ডাক যোগে ভোট নিয়ে সমস্যার কিছু দেখছেন না। সে দেশের ‘ফেডারেল ইলেকশন কমিশনের’ কমিশনার এলেন ওয়েনট্রাব জানিয়েছেন, ডাক যোগে ভোট নিয়ে প্রেসিডেন্ট যে ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব দিচ্ছেন, তা বাস্তবায়িত হওয়ার কোনও সুযোগ নেই। ট্রাম্প হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির কোভিডের সময় সেলুনে যেয়ে চুল কাটার কড়া সমালোচনা করে টুইটে বলেন, যেখানে সব বন্ধ, সেখানে বিউটি পার্লার খোলানোর কারণে আর মাস্ক না পরার কারণে ‘উন্মাদ’ ন্যান্সি পেলোসির দফারফা হয়ে গেল, যদিও তিনি সারাক্ষণ সবাইকে জ্ঞান দিচ্ছেন। পেলোসি অবশ্য সেদিনই পাল্টা দাবি করে জানিয়েছিলেন, ওই সেলুনে একসঙ্গে দুজনকে প্রবেশই করতে দেওয়া হয় না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।