Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চীনের শক্তি বৃদ্ধির সময় আমেরিকা ঘুমিয়ে ছিল -পম্পেও

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৭:৩৫ পিএম

সামরিক খাতে চীনের উন্নতি ও শক্তি বৃদ্ধি নিয়ে মঙ্গলবার মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ পেন্টাগন এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এ প্রসঙ্গে মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট মাইক পম্পেও বলেন, ‘সত্যি বলতে, ‘চীন যখন শক্তি অর্জন করছিল, আমেরিকা তখন ঘুমিয়ে ছিল।’ মঙ্গলবার ফক্স বিজনেসকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে এই মন্তব্য করেন পম্পেও।

ফক্স বিজনেসের ল ডবসের সাথে দেয়া সাক্ষাতকারে চীনের দ্রুত ভূ-রাজনৈতিক প্রসারণ সম্পর্কে তার মূল্যায়ন ব্যক্ত করেন পম্পেও। তিনি বলেন, ‘চীন সামরিক ক্ষেত্রে শীর্ষে উঠে আসছে। সত্যি বলতে, চীন তাদের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা, তাদের সামরিক শক্তি অনেক বাড়িয়েছে, এ সময় আমেরিকা ঘুমিয়েছিল।’ মার্কিন প্রতিরক্ষা অধিদফতর চীনের সামরিক বিস্তারের বিষয়ে তাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে যে, চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি নেভি (প্ল্যান) মার্কিন নৌবাহিনীকে ছাড়িয়ে গেছে এবং দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ চীন আগামী দশকের মধ্যে তার পারমাণবিক অস্ত্র কমপক্ষে দ্বিগুণ করার পথে রয়েছে।

পম্পেও একমত হয়েছিলেন যে, চীনের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান সম্পর্কের সাথে রাশিয়ার সাথে শীতল যুদ্ধের সময়ের তুলনা করা যেতে পারে। তিনি বলেন, ‘চীনের সাথে স্নায়ুযুদ্ধের উপমাটির কিছুটা প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে। সত্যটা হ’ল, চীনা কমিউনিস্ট পার্টি জেনারেল সেক্রেটারি শি জিনপিংয়ের অধীনে কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তিনি এটি পরিষ্কার করে দিয়েছিলেন যে, তার সামরিক কাঠামো, কূটনৈতিক প্রচেষ্টা, বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ প্রকল্প বিশ্বব্যাপী আধিপত্যের জন্য। যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এই চ্যালেঞ্জগুলো নতুন।’

পম্পেও চীনকে চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন এবং বলেছেন যে, ‘চীন আমেরিকার বিরুদ্ধে বিশেষভাবে সোচ্চার হয়েছে কারণ প্রথমবারের মার্কিন প্রশাসন এমন প্রেসিডেন্ট পেয়েছে যিনি অন্য গাল পেতে দেবেন না, তিনি প্রস্তুত আছেন এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণের জন্য।’

পম্পেও চীনের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক থেকে সরে যাওয়ার জন্য অন্যান্য দেশকে নেতৃত্ব দেয়ার ক্ষেত্রে ট্রাম্পের প্রশাসনকে কৃতিত্ব দিয়ে বলেন, ‘এই যুদ্ধে আমাদের বন্ধু এবং মিত্র রয়েছে। এটি তৈরিতে আমরা দু’বছর ধরে কাজ করেছি। আমরা সত্যিকারের অগ্রগতি করেছি।’

পম্পেও যোগ করেন, ‘আমাদের বন্ধু ভারত, অস্ট্রেলিয়া, জাপান বা দক্ষিণ কোরিয়া, সকলেই নিজের লোকদের, নিজের দেশের জন্য চীনকে ঝুঁকি হিসাবে দেখতে পেয়েছেন এবং প্রতিটি ফ্রন্টে চীনকে হারিয়ে দিতে তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাশে থাকবেন।’ সূত্র: আমেরিকান মিলিটারি নিউজ।

 



 

Show all comments
  • Isahaq ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৭:৫৩ পিএম says : 0
    Who goes America, they become bitch. Who take America, they become destroyed nation by American bitch.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুক্তরাষ্ট্র


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ