মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বেকারত্ব সমস্যা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ভুগছে ভারত। এরই মধ্যে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণে বিপর্যস্ত অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে এ সংকট আরো গভীর হয়েছে। বিশেষ করে দেশটির সবচেয়ে কনিষ্ঠ তরুণ কর্মীদের সামনে হাজির হয়েছে একেবারেই অভাবনীয় পরিস্থিতি। দ্য লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসের এক বিশ্লেষণ বলছে, ভারতের তরুণ কর্মীদের জন্য এখন শোভন জীবনযাপনে প্রয়োজনীয় উপার্জন আরো কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। একই সঙ্গে সংকুচিত হয়ে আসছে প্রাতিষ্ঠানিক পরিসরে আনুষ্ঠানিক চাকরির সুযোগ। খবর বøুমবার্গ। শহরে ভারতীয় তরুণ কর্মীদের চাকরির পরিস্থিতি নিয়ে ‘সিটি অব ড্রিমস নো মোর: দি ইমপ্যাক্ট অব কভিড-১৯ অন আরবান ওয়ার্কার্স ইন ইন্ডিয়া’ শীর্ষক গবেষণাম‚লক প্রতিবেদনটি লিখেছেন শানিয়া ভালোতিয়া, স্বাতি ধিংরা ও ফিয়োলা কনডিরোলি। এতে তারা লেখেন, শহুরে কর্মীদের মধ্যে যাদের বয়স ১৮ থেকে ২৫ বছর, আগে থেকেই তাদের পক্ষে আনুষ্ঠানিক চাকরির সুযোগ কম ছিল। ফলে স্বাভাবিকভাবেই তাদের জন্য নির্ধারিত ছিল অনানুষ্ঠানিক খাতের কম বেতনের কাজ। অথচ এই কঠিন সময়ে কনিষ্ঠতম এ কর্মীরা জীবিকার নিরাপত্তার জন্য চাকরির নিশ্চয়তা চাইছে। নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে মার্চের ২৫ তারিখ থেকে বিশ্বের অন্যতম কঠোর লকডাউনে যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার। আর এ লকডাউনের প্রভাবে চাকরি হারিয়েছে দেশটির ১২ কোটি ২০ লাখের মতো মানুষ। সবচেয়ে বেশি সংকট সৃষ্টি হয় শহরগুলোয়, যেখানে অধিকাংশ কর্মীরই কোনো সামাজিক সুরক্ষা জাল নেই। অথচ দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবসা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তারা রীতিমতো উপার্জনহীন হয়ে পড়েন। এদিকে ভারতে বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম কর্মসংস্থান কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এ কার্যক্রমের আওতায় দৈনিক সর্বনিম্ন ২০২ রুপি মজুরিতে বছরে অন্তত ১০০ দিন কাজের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু সমস্যা হলো, এ কার্যক্রমের সুবিধা পচ্ছেন কেবল প্রান্তিক অঞ্চলের কর্মীরা। অন্যদিকে শহরাঞ্চলে নিশ্চিত কর্মদিবসের নিশ্চয়তা রয়েছে ৩১ শতাংশ মানুষের। বাকি ৭০ শতাংশেরই এখন অন্তত ১০০ দিনের কর্মসংস্থানের প্রয়োজন রয়েছে। এ অবস্থায় ভারতের কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারগুলো জীবিকার এ সংকট অনুধাবন করছে। কিন্তু তারা এ থেকে উত্তরণে যেসব পুনরুদ্ধার প্যাকেজ হাতে নিয়েছে, সেগুলো ঠিক পর্যাপ্ত নয়। এ বিষয়ে ধিংরা বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সম্ভবত চাকরির গ্যারান্টির মতো পুরনো ধারণা ফিরিয়ে আনার সময় হয়েছে। কারণ শহুরে দারিদ্র্যের হাত থেকে অনানুষ্ঠানিক কর্মীদের রক্ষায় সম্ভবত এর বিকল্প নেই। কারণ এরই মধ্যে তাদের উন্নত জীবনের স্বপ্ন ধ‚লিসাৎ হয়ে গেছে। বøুমবার্গ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।