Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এই প্রথম মোদির অনুষ্ঠানে লাইক থেকে বেশি ডিসলাইক বেশি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৪:১১ পিএম

এই প্রথম ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইকের থেকে ডিসলাইক বেশি পেয়েছে। ভারতে চরম অর্থনৈতিক সংকট দেখা দেয়ায় ও ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা পিছিয়ে দেয়ার অনুরোধ বাতিল করে প্রায় জোর করেই করোনা মহামারির মধ্যে ইঞ্জিনিয়ারিং ও ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষা নেয়ার কারণেই মোদির জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে থেকে মোদি নিয়ম করে রেডিওতে ‘মন কি বাত’ বলেন। সেটা বিজেপি-ও প্রচার করে। ইউটিউবে দেয়া হয়। সবসময়ই তাতে লাইকের সংখ্যা থাম্বস ডাউন বা ডিসলাইকের থেকে অনেক বেশি থাকে। এ বার ব্যতিক্রম হলো। বিজেপি-র ইউটিউব চ্যানেলে গত রোববার প্রচারিত ৬৮তম ‘মন কি বাতে’ এক লাখ ২০ হাজার লাইক আর সাত লাখ ৪০ হাজার ডিসলাইক পড়ল। একই ঘটনা ঘটল ইউটিউবের অন্য সরকারি চ্যানেলেও। পিএমও-র চ্যানেলে দেখা যাচ্ছে, ৮২ হাজার লাইক এবং এক লাখ ৭০ হাজার ডিসলাইক।

সেই সঙ্গে মন্তব্যের দিকে চোখ মেললে ক্ষোভের আঁচ ভালোভাবেই বুঝতে পারা যাবে। একজন লিখেছেন, যখন ছাত্রছাত্রীদের বিষয়ে কথা বলার দরকার ছিল তখন তিনি কুকুরের ব্রিডিং, খেলনা নিয়ে কথা বললেন। আরেকজন লিখেছেন, ‘আমি কেবল পরীক্ষা নিয়ে প্রশ্নের জবাব চাই।’ কেউ বলছেন, ‘যাদের গাড়ি আছে, হোটেলে থাকতে পারেন, তারাই কি কেবল এই সব পরীক্ষা দেবেন? গরিবরা কি দিতে পারবেন না?’

সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্ট জানাচ্ছে, বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালবীয় দাবি করেছেন, মাত্র ২ শতাংশ ডিসলাইক ভারত থেকে হয়েছে। বাকি বিদেশ থেকে। দলের মুখপাত্র বিজয় শোনকরের মত হলো, এটা কংগ্রেসের কাজ। কংগ্রেসের জবাব, এটাই প্রত্যাশিত। যে কোনো সমস্যা হলেই তার দায় কংগ্রেস বা জওহরলাল নেহরুর ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়াটা বিজেপি-র কৌশল। এটা দেশের লোক জেনে গেছে। রাহুল গান্ধী টুইট করে বলেছেন, ‘মোদি সরকার দেশের ভবিষ্যৎকে বিপর্যস্ত করে ফেলেছে। ছাত্রছাত্রীদের ন্যায্য দাবি তারা ঔদ্ধত্যের জন্য খারিজ করে দিল।’

এই ধরনের ঘটনা মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে কখনো হয়নি। সবসময়ই তার লাইকের সংখ্যা অনেক বেশি থাকে। বিরোধীদের মতে, ছাত্রছাত্রীদের ক্ষোভকে এ ভাবে উড়িয়ে দেয়ার ফল পাচ্ছেন মোদি। অন্য বড় সমস্যা হলো দেশের জিডিপিতেধস। এই প্রথম ভারতের জিডিপির সংকোচন হয়েছে প্রায় ২৪ শতাংশ। করোনাকালে এমনিতেই লোকের চাকরির ওপর কোপ পড়েছে। তার ওপর অর্থনীতির এই দশা মানে দেশে মন্দা শুরু হয়ে গেল বলে অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন।

বিরোধীদের অভিযোগ, করোনার ঘাড়ে দায় চাপালে চলবে না। তার অনেক আগে থেকেই অর্থনীতির হাল খারাপ হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র বলেছেন, ২০১৬ সালে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি ছিল ৮ শতাংশ। সেখান থেকে ১৯-২০ সালে হলো চার দশমিক দুই শতাংশ। জানুয়ারি থেকে মার্চ বৃদ্ধির হার ছিল তিন দশমিক এক শতাংশ। কেন? তখন তো করোনা ছিল না। তখন থেকেই উৎপাদন শিল্প, রফতানি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের অবস্থা শোচনীয় ছিল। বিরোধীদের অভিযোগ, মোদি সরকার দেশের অর্থনীতিকে সামাল দিতে ব্যর্থ বলেই এই হাল। এর প্রতিফলনও সামাজিক মাধ্যমে আসতে শুরু করেছে। সূত্র: দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।



 

Show all comments
  • Azad ২ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৫:৪০ পিএম says : 0
    মুদি ও বি জে পি গুবর আর গূমুৎর খাইতে খাইতে মাতাল হয়ে গেছে যে কারনে ভারতের বারোটা বাজিয়ে তেরোটুকরা করে ফেলবে আর যত সব তুঘলকি কাণ্ড মুদি ও বি জে পি যে অবস্থা হবে এসব এখন দেখার বিষয়, কারন পাপে বাপ কে ও ছাড়ে না জেমন কর্ম তেমন ফল অতি চালাকির গলায় দড়ি, এখন ত দেশ ও বিদেশের চারি দিক থেকে জুতা আর ঝাড়ু পিঠা
    Total Reply(0) Reply
  • Ranjitsarkar ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১১:০৮ পিএম says : 0
    যারা আজ মোদির বিপক্ষে কথা বলছে ' ওরা আজীবন হিন্দু দের ঠকিয়েছে ' কারণ হিন্দু ভাইরা সব দয়ার সাগর ' কোন যদি বলে আমার খুব খিদে পেয়েছে 'সাথে সাথে ঘরে যা আছে নিজে না খেয়ে অপর অচেনা লোক কে বিলিয়ে দেয় 'একবারও ভাবেনা ও শত্রু না মিত্র 'এইসব কারণে হিন্দু রা আজ কোন যায়গা দখল করে থাকতে পারে না 'আর ওরা আমাদের ভালো মন কে কাজে লাগিয়ে আমাদের সর্ব হারা করে 'লিখতে গেলে শারা রাত কম পরে যাবে 'তাই আর বেশি কিছু লিখতে চাই না 'ধন্যবাদ
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ