মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর (এনসিআরবি) তথ্য মতে, প্রতি চার মিনিটে একজন করে আত্মহত্যা করছেন দেশটিতে। এই ক্ষেত্রে নারীদের পিছনে ফেলে এগিয়ে রয়েছেন সেদেশের পুরুষেরা। আত্মহত্যার ঘটনার ৬৮ শতাংশই পুরুষ। পারিবারিক অশান্তি, হতাশা, পরীক্ষায় অসফল, প্রেমে বিফল সহ একাধিক কারণে প্রতিদিন একাধিক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে ভারতে।
এনসিআরবি’র তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে ২০১৯ সালে নথিভুক্ত আত্মহত্যার সংখ্যা ১ লক্ষ ৩৯ হাজার ১২৩। প্রতিদিন গড়ে ৩৮১ জন আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন। যা আগের বছরের তুলনায় আত্মহত্যার প্রবণতা ৩.৪ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৮ সালে নথিভুক্ত আত্মঘাতী ১ লক্ষ ৩৪ হাজার ৫১৬ জন। ২০১৭ সালে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছিল ১ লক্ষ ২৯ হাজার ৮৮৭টি। ২০১৯ সালে সেখানে আত্মঘাতী ১ লক্ষ ৩৯ হাজার ১২৩ জন। দেশটির ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো জানাচ্ছে, ক্রমান্বয়েই ধারাবাহিকভাবে আত্মহত্যার ঘটনা বাড়ছে।
প্রতি ১ লক্ষ জনসংখ্যার নিরিখে ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে ভারতে আত্মহত্যার হার বেড়েছে ০.২ শতাংশ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯ সালে গোটা দেশে আত্মহত্যার হার ছিল ১০.৫ শতাংশ। সেখানে ভারতের শহরগুলিতে এই হার ১৩.৯ শতাংশ। অর্থাৎ শহরের মানুষের মধ্যেই আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি।
মোট আত্মহত্যার ৫৩.৬ শতাংশই গলায় ফাঁস দিয়ে। বিষপানে মৃত্যু ২৫,৮ শতাংশের। পানিতে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু ৫.২ শতাংশের। গায়ে আগুন দিয়ে আত্মাহুতি ৩.৮ শতাংশের। মোট আত্মহত্যার ৩২.৪ শতাংশ পারিবারিক সমস্যার কারণে (দাম্পত্য অশান্তি ছাড়া)। বৈবাহিক সমস্যার কারণে আত্মঘাতী ৫.৫ শতাংশ। অসুস্থতার কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন ১৭.১ শতাংশ। সবমিলিয়ে মোট আত্মহত্যার ৫৫ শতাংশই হল উল্লিখিত তিন কারণে।
প্রতিবেদক জানাচ্ছে, প্রতি ১০০ আত্মঘাতীর মধ্যে ৭০.২ শতাংশ পুরুষ। মহিলা ২৯.৮ শতাংশ। বিভিন্ন থানার পুলিশ রেকর্ড থেকে এই তথ্য সংগ্রহ করে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো। যে পুরুষরা আত্মহত্যা করেছেন, তাঁদের মধ্যে ৬৮.৪ শতাংশই বিবাহিত। আবার বিবাহিত মহিলা আত্মঘাতীর সংখ্যা ৬২.৫ শতাংশ।
দুর্ঘটনায় মৃত্যুতে মহারাষ্ট্র শীর্ষে। করোনা মৃত্যুতেও শীর্ষে। আবার আত্মহত্যার শীর্ষেও মহারাষ্ট্র। গোটা বছরে (২০১৯) ১৮ হাজার ৯১৬ জন আত্মঘাতী। তামিলনাড়ুতে আত্মঘাতী ১৩ হাজার ৪৯৩ জন। পশ্চিমবঙ্গ রয়েছে তিনে। আত্মঘাতী ১২,৬৬৫ জন। চারে মধ্য়প্রদেশ, ১২,৪৫৭ জন আত্মঘাতী। কর্নাটকে আত্মহত্যা করেছেন ১১,২৮৮ জন। শতাংশের নিরিখে যথাক্রমে ১৩.৬%, ৯.৭%, ৯.১%, ৯% ও ৮.১%। এই পাঁচ রাজ্যে সম্মিলিত ভাবে আত্মঘাতী ৪৯.৫ শতাংশ। সেখানে বাকি ২৪ রাজ্য ও ৭টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে আত্মঘাতী ৫০.৫ শতাংশ।
শিক্ষার নিরিখে বিশ্লেষণ করলে, আত্মঘাতীদের মধ্যে ১২.৬ শতাংশ নিরক্ষর। ১৬.৩ শতাংশ প্রাথমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। ১৯.৬ শতাংশ প্রাথমিকের গণ্ডি পেরিয়েছেন কিন্তু অষ্টম শ্রেণির পর আর পড়েননি। ২৩.৩ শতাংশ ম্যাট্রিক পর্যন্ত পড়েছেন। স্নাতক বা তার ঊর্ধ্বে পড়াশোনা করেছেন এমন আত্মঘাতী মাত্র ৩.৭ শতাংশ।
উত্তরপ্রদেশে জনসংখ্যা বেশি হলেও আত্মহত্যার হার অন্য রাজ্যের থেকে তুলনামূলক কম। মাত্র ৩.৯ শতাংশ। গণ বা পারিবারিক আত্মহত্যার ঘটনা সবথেকে বেশি তামিলনাড়ুতে (১৬)। তার পরেই রয়েছে যথাক্রমে অন্ধ্রপ্রদেশ (১৪), কেরালা (১১), পঞ্জাব (৯) ও রাজস্থান (৭)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।