Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গাঁজা পার্টিতে তরুণীকে ধর্ষণ করলো ছাত্রফ্রন্টের ২ নেতা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১০:৪৯ এএম

স্থানীয় নারী সুরক্ষা আন্দোলনের নেত্রী মার্জিয়া প্রভার সহযোগিতায় ছাত্রফ্রন্টের মৌলভীবাজার সাবেক জেলা সাধারণ সম্পাদক রায়হান আনসারি, ছাত্র ফ্রন্টের জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক সজিব তুষার এক তরুণীকে ধর্ষণ করে।

মৌলভীবাজার শহরের একটি বাসায় গাঁজা খাওয়ার পার্টি করে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করার ঘটনা ঘটেছে। ৩ আগস্ট রাতে এই ঘটনা ঘটলেও ৩১ আগস্ট সদর মডেল থানায় তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনা ঘটার ২৭ দিন পর এই মামলা দায়ের করা হয়েছে।

জানা যায়, ঘটনাটি ঘটে গত ৩ আগস্ট রাতে মৌলভীবাজার শহরের সোনাপুর এলাকায় মাহমুদ এইচ খান নামের এক তরুণের ভাড়া বাসায়। গাঁজা খাওয়ার পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন পাঁচ জন। এর মধ্যে তিনজন তরুণ ও দু’জন তরুণী। ঘটনাটি প্রকাশ হয় মাহমুদ এইচ খানের গত ২৪ আগস্ট ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টের মাধ্যমে। মাহমুদ এইচ খানের ফেসবুক পোস্টের বর্ণনা অনুযায়ী, গত ৩ আগস্ট তার বাসায় পার্টির আয়োজন করেন তার বান্ধবী মারজিয়া প্রভা। পার্টিতে উপস্থিত হন ছাত্রফ্রন্টের সাবেক জেলা সাধারণ সম্পাদক রায়হান আনসারি, ছাত্র ফ্রন্টের জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক সজিব তুষার ও ধর্ষণের শিকার তরুণী।

বাসায় আড্ডার ফাঁকে সজিব তুষার গাঁজা বের করে সবাইকে নিয়ে সেবন করেন। ইচ্ছাকৃতভাবে ওই তরুণীকে বেশি গাঁজা খাওয়ানো হয়। একপর্যায়ে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে ঘুমানোর ইচ্ছে প্রকাশ করলে সজিব তুষার তাকে রুম ও বিছানা দেখিয়ে দেওয়ার কথা বলে রুমে ঢুকে দরজা লাগিয়ে ধর্ষণ করেন। এরপর একই কাজ করে রায়হান আনসারি। মাহমুদ এইচ খানের এমন ফেসবুক পোস্ট ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।

এই ঘটনায় ছাত্রফ্রন্টের মৌলভীবাজার জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সজিব তুষারকে প্রধান আসামি করে রায়হান আনসারী ও নারী সুরক্ষা আন্দোলনের নেত্রী মার্জিয়া প্রভাকে ধর্ষণের সহযোগী উল্লখে করে সোমবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে ধর্ষণের শিকার তরুণী বাদী হয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিনুল হক।

মামলার বাদী ধর্ষণের শিকার মেয়েটি জানান, আমি প্রথমে পরিবারের মানসম্মান ও সামাজিক অবস্থান চিন্তা করে তখন মামলা করিনি। আমার পরিবারকে জানানোর পর তারাও মামলায় সম্মতি দেয়নি। পরে যখন দেখলাম আমাকে উল্টো দোষ দেওয়া হচ্ছে এবং একটি ধর্ষণের ঘটনাকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে তখন আমার কাছে বেশি আঘাত লাগে। পরে পরিবারের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে এখন আমি মামলা করেছি।



 

Show all comments
  • Jack Ali ১ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১১:৩৮ এএম says : 0
    This two women is 100% responsible.. In Islam Allah [SWT] sternly ordered us not free mixing man and women...
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ধর্ষণ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ