মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিশ্বে বর্তমানে প্রথম স্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ফ্রান্স এবং তৃতীয় স্থানে আছে চীন। তবে চীন ২০৩০ সালের মধ্যে ১ লাখ ৮ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। যা ওই সময়ে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় ৩ হাজার ৫৮০ মেগাওয়াট বেশি হবে। চীনের চায়না ন্যাশনাল নিউক্লিয়ার করপোরেশন আগস্টের শুরুতে জিয়াংসু প্রদেশের তিয়ানওয়ান প্লান্টে ৫ নম্বর চুল্লি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করেছে। এটি দেশটির ৪৮তম চুল্লি।
নিক্কি এশিয়ান রিভিউ’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ৯৮ হাজার মেগাওয়াট। এর সঙ্গে নির্মাণাধীন এবং পরিকল্পনাধীন পাওয়ার স্টেশনের হিসাবসহ ২০৩০ সালে মোট উৎপাদন সক্ষমতা দাঁড়াবে এক লাখ পাঁচ হাজার ১২০ মেগাওয়াট।
ওয়ার্ল্ড নিউক্লিয়ার অ্যাসোসিয়েশনের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বর্তমানে ৬২ হাজার মেগাওয়াট পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন করে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ফ্রান্স এবং ৪৫ হাজার মেগাওয়াট পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন করে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে চীন।
চীনের ১১টি নতুন পারমাণবিক চুল্লি নির্মাণাধীন রয়েছে এবং পরিকল্পনা পর্যায়ে রয়েছে আরও ৪০টিরও বেশি চুল্লি। যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পিত নতুন চুল্লির সংখ্যা চীনের তুলনায় একেবারেই নগণ্য। সেই সঙ্গে পুরনো বেশ কয়েকটি চুল্লি তারা বন্ধ করে দিয়েছে এবং আরও বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।
অন্যদিকে, বর্তমানে তালিকার তৃতীয় স্থানে থাকা চীনের বর্তমান উৎপাদন সক্ষমতা ৪৫ হাজার মেগাওয়াট। আর ৬২ হাজার মেগাওয়াট পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ফ্রান্স।
তবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনে নির্মাণাধীন রয়েছে নতুন ১১টি পারমাণবিক চুল্লি। সেইসঙ্গে আরো ৪০টির বেশি চুল্লি পরিকল্পনা পর্যায়ে রয়েছে দেশটির। অথচ চীনের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পিত নতুন চুল্লির সংখ্যা অনেক কম। তাছাড়া মার্কিন সরকার ইতোমধ্যে পুরনো বেশ কয়েকটি চুল্লি বন্ধ করে দিয়েছে এবং পরিকল্পনা করছে আরো চুল্লি বন্ধ করার। সুতরাং স্বাভাবিক হিসাবেই ২০৩০ সালে পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাবে চীন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।