মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের নয়া দিল্লিতে এ বছরের শুরুর দিকে দাঙ্গায় অনেক মুসলমানকে হত্যা করা হয়। এতে যেমন উগ্রবাদী হিন্দুরা জড়িত তেমনি জড়িত ছিলো দিল্লির পুলিশ। তারা মুসলিমদেরক নির্বাচারে হত্যা করে, তাদের ঘরবাড়ী জ্বালিয়ে দেয়। এমনকি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেয়। দিনের পর দিন চলে এই দাঙ্গা। একতরফা এই দাঙ্গায় মুসলামনদের ব্যাপক ক্ষতি হয়। মসজিদে আগুন দিয়ে মিনারে হনুমানের পতাকা টাঙ্গিয়ে দেয় ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি কর্মীরা।
এদিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, এবছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে উত্তরপূর্বাঞ্চলে যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়েছিল, তাতে সেখানকার পুলিশও সামিল হয়েছিল।
শুক্রবার প্রকাশিত এক রিপোর্টে অ্যামনেস্টি আরও অভিযোগ করেছে যে দাঙ্গা আটকানোর জন্য যেমন পুলিশের সক্রিয় ভূমিকা অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় নি, তেমনই দাঙ্গা পীড়িত মানুষ যখন ফোন করে পুলিশের সাহায্য চেয়েছেন, তখনও তাদের একাংশকে এগিয়ে আসতে দেখা যায় নি।
এবছরের ২৩শে ফেব্রুয়ারি উত্তর পূর্ব দিল্লিতে যে হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা হয়েছিল, তাকে ভারতের রাজধানী শহরে সাড়ে তিন দশকের মধ্যে সবথেকে ভয়াবহ দাঙ্গা বলে মনে করা হয়। ওই দাঙ্গায় নিহত হয়েছিলেন ৫০ জনেরও বেশি, যার মধ্যে বেশিরভাগই মুসলমান।
দাঙ্গায় পুলিশের ভূমিকা যে অনেক ক্ষেত্রেই প্রশ্নবিদ্ধ ছিল, তা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া নানা ভিডিওতেই দেখা গিয়েছিল - এর মধ্যে কয়েকটি বিবিসি নিজেও যাচাই করে সত্য বলে জানতে পেরেছিল।
এখন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল শুক্রবার প্রকাশিত একটি বিস্তারিত প্রতিবেদনে পুলিশের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেছে।
তারা বলছে, সামাজিক মাধ্যমে দাঙ্গার যেসব ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছিল, সেগুলি তাদের নিজস্ব পরীক্ষাগারে যাচাই করেছে, আবার ৫০ জনেরও বেশি দাঙ্গা পীড়িত এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের ভিডিও সাক্ষাতকার নিয়েছে।
যে ভিডিও সাক্ষাতকার তারা প্রকাশ করেছে, তার মধ্যে একজন মিসেস কিশমাথুন। তিনি দাঙ্গায় নিহত যুবক ফৈজান নামের একজনের মা।
ফৈজান এবং তার কয়েকজন সঙ্গীর ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল - যেখানে দেখা গিয়েছিল তারা কয়েকজন রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে আছে আর জাতীয় সঙ্গীত গাইতে বাধ্য করা হচ্ছে তাদের এবং কিছু মানুষের সঙ্গে কয়েকজন পুলিশ কর্মী তাদের ক্রমাগত মেরে চলেছে লাঠি দিয়ে।
ওই ভিডিওটি তোলার তিনদিন পরে ফৈজান মারা যায় বলে জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
মিসেস কিশমাথুন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালকে বর্ণনা করেছেন যে কীভাবে তার ছেলেকে মারধর করার পরে পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়েছিল এবং ৩৬ ঘণ্টা কোনও অভিযোগ দায়ের না করেই আটক রেখেছিল।
দাঙ্গার প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে কী চিত্র উঠে এসেছে, সেটাই বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন ভারতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের আইনি এবং নীতিগত বিষয়ের প্রধান মৃণাল শর্মা।
মিজ শর্মার কথায়, "ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লোকসভায় ১১ই মার্চ বলেছিলেন যে দিল্লির দাঙ্গা থামাতে পুলিশ খুব ভাল ভূমিকা পালন করেছে, অথচ অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল যে তদন্ত চালিয়েছে, তাতে সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র উঠে এসেছে। পুলিশ যে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, সেটাই আমরা জানতে পারছি।"
"কোথাও যেমন জানা গেছে যে ঘটনাস্থলে হাজির থাকা সত্ত্বেও পুলিশ দাঙ্গাকারীদের আটকানোর চেষ্টা করে নি, কোনও ঘটনায় জানা গেছে যে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেছে। অথচ তাদের আবার দেখা গেছে এনআরসি-সিএএ বিরোধী প্রতিবাদকারীদের গ্রেপ্তার করতে। অনেককে গ্রেপ্তার করে আদালতে না তুলেও আইন ভেঙ্গেছে দিল্লি পুলিশের একাংশ। আটককৃতদের বেশিরভাগই মুসলমান - এটাও জানা গেছে,"বলছিলেন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মৃণাল শর্মা। বিবিসি বাংলা
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।