Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

চার হাজার টন তেল মিশে বিপন্ন মরিশাসের জলজ প্রাণীদের জীবন, ১৭ মৃত ডলফিন উদ্ধার

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ আগস্ট, ২০২০, ১২:১৮ পিএম

সমুদ্রে চার হাজার টন তেল দূষণ করেছে মরিশাসের ১৭টি মৃত ডলফিন।মরিশাস দ্বীপ-সংলগ্ন এলাকায় জাপানি জাহাজ থেকে চার হাজার টন তেল সমুদ্রে মিশে যাওয়ার পর সামুদ্রিক প্রাণীদের জীবন রীতিমতো বিপন্ন এবং বিষাক্ত হয়ে গেছে সমুদ্রের পানি। এপর্যন্ত ১৭টি মৃত ডলফিন পাওয়া গেলেও আরো প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে গেছে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। -টাইমস অব ইন্ডিয়া

জানা গেছে, গত ২৫ জুলাই এমভি ওয়াকাশিও মরিশাসের কাছে একটি প্রবাল প্রাচীরে আচমকা ধাক্কা খায়। রীতিমতো দু’টুকরো হয়ে যায় জাহাজ। দুর্ঘটনাস্থলের ১৪ মাইল পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে তেল। মরিশাসের সমুদ্র স্বচ্ছ পানির নীচে দেখা যায় আরও নানা রকমারি প্রাণী ও উদ্ভিদ। এই সমুদ্রের সৌন্দর্যকে ঘিরেই এখানে গড়ে উঠেছিল পর্যটন শিল্প। কিন্তু এত বড় দুর্ঘটনা এখন সব কিছু ছিন্নভিন্ন করে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কয়েক দিন ধরেই সমুদ্র উপকূলে অসংখ্য মরা কচ্ছপ, মাছ, ঝিনুক, কাঁকড়া ভেসে আসছে। বুধবার হঠাৎই মরিশাসের দক্ষিণ-পূর্ব এলাকার বাসিন্দাদের চোখে পড়ে সমুদ্র সৈকতে ভেসে এসেছে বেশ কিছু ডলফিন। বেশির ভাগই প্রাণহীন। কেউ কেউ মৃত্যুযন্ত্রণায় ছটফট করছে।

পরিবেশ সংস্থা গ্রিনপিস জানিয়েছে, অন্তত চারটি ডলফিনের দেহ মিলেছে। আরও চারটি ডলফিনের অবস্থা সঙ্কটজনক। কিন্তু আসলে সংখ্যাটা আরও বেশি। কমপক্ষে ১৭টি ডলফিন মারা গিয়েছে। মরিশাসের মৎস্য মন্ত্রকও ১৭টি ডলফিনের মৃত্যুর খবর স্বীকার করে নিয়েছে। পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, ওই অঞ্চলের সমুদ্র-জীবন সঙ্কটে। ডলফিন মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়বে। মৃত ডলফিনগুলির মুখে, শরীরে পুরু তেলের আস্তরণ। শ্বাসপ্রশ্বাসের ছিদ্রটিও তেলে ঢাকা।

ফলে সহজেই অনুমান করা যায় যে, তেলের কারণেই ছটফট করে মারা গেছে তারা। কিন্তু ডলফিনগুলির দেহ ময়নাতদন্ত করার পরে আবার নতুন তথ্য উঠে এসেছে বিজ্ঞানীদের হাতে। তাঁরা বলছেন, ডলফিনদের শরীরে ক্ষতচিহ্ন মিলেছে। হাঙরের আক্রমণ হয়ে থাকতে পারে তাদের উপর। মরিশাসের এই উপকূল অঞ্চলটি এত দিন পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু ছিল ডলফিনের জন্যই। ঢেউয়ের মাঝে মাঝে লাফাতে দেখা যেত কয়েকশো ডলফিনকে। এ ছাড়াও আরও বহু মাছ, শশুকের সহাবস্থান ছিল এই এলাকা। সবটাই বড় বিপদের মুখে পড়ে গিয়েছে বলে মত বিজ্ঞানীদের। কতদিন লাগবে এই এতটা তেলের সঙ্গে তাদের মানিয়ে নিতে তা বলা যাচ্ছে না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ