Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বাইডেন, ন্যাটো, সীমান্ত ও করোনা নিয়ে ট্রাম্পের দাবী মিথ্যে, লঙ্ঘন করেছেন ঐতিহ্য

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ আগস্ট, ২০২০, ১১:৫০ এএম

বৃহস্পতিবার রাতে হোয়াইট হাউসের দক্ষিণ বাগান থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন গ্রহণের ভাষণ দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। অথচ সম্মেলনে নিজ প্রশাসনের করোনা ভাইরাস জনিত নিষেধাজ্ঞাই অমান্য করেছেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহ্য অনুসারে কোনো প্রেসিডেন্টই রাজনৈতিক কাজের জন্য হোয়াইট হাউসকে ব্যবহার করেন নি। কিন্তু ট্রাম্প ঐতিহ্যের লঙ্ঘন করেছেন। সিএনএন এর ফ্যাক্ট চেক বলছে, মনোনয়ন ভাষণে ২০টিরও বেশি মিথ্যে দাবী করেছেন ট্রাম্প। দ্য গার্ডিয়ান জানায়, ন্যাটো, সীমান্ত দেয়াল ও করোনা ভাইরাসসহ অন্যান্য ইস্যুতে স্পষ্টতই মিথ্যে দাবী করে গেছেন ট্রাম্প। -এপি, সিএনএন, দ্য গার্ডিয়ান

নিজের ভাষণে ট্রাম্প দাবী করেছেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করতে তার প্রশাসন সত্য এবং সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে কাজ করছে। এই বছরের শেষ নাগাদ যুক্তরাষ্ট্র টিকা হাতে পেয়ে যাবে। মহামারীতে জনসমাগমের বিষয়ে বিধি-নিষেধ থাকলেও এই সময় উপস্থিত ছিলেন দেড় হাজারের বেশি অতিথি। মার্কিন গণমাধ্যম এপি বলছে, অতিথিদের কেউই সামাজিক দুরুত্ব ও মাস্কের বিধান মানেন নি। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে দেয়া ভাষণে ডেমোক্রেট দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেনকে আক্রমণ করে ট্রাম্প বলেন, জো আপনাদের স্বাস্থ্যসেবার ডলার অবৈধ অভিবাসীদের দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। জো আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বকে বিনষ্ট করবেন।

যুক্তরাষ্ট্রের এই জাতীয় অনিশ্চয়তার মধ্যেও ঐক্যের ডাক দেন নি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। উপরুন্তু উদারপন্থী বাইডেনকে ‘বাম চরমপন্থী, সমাজতান্ত্রিক ও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি’ বলে আক্রমণ করেছেন, বলেছেন,‘বাইডেন আমেরিকাকে ভালোবাসেন না।’ ট্রাম্প আরো বলেন, ডেমোক্রেটরা বলছে বাইডেন শালীন ও সহানুভূতিশীল। কিন্তু মার্কিন জনগণের এমন চরিত্রের মানুষ প্রয়োজন নেই। মিশিগান, ওহাইও, পেনসেলভেনিয়ার মতো রাজ্যগুলো সহানুভূতি নয় তারা তাদের চাকরি ফেরত চায়। যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভের জন্য ডেমোক্রেট গর্ভনর ও মেয়রদের দোষারোপ করেন ট্রাম্প ।

অবসরপ্রাপ্তদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচী চালু করা নিয়ে মিথ্যে দাবী করেন ট্রাম্প । প্রসঙ্গত, ট্রাম্প বিষয়টি নিয়ে এ পর্যন্ত ১৫০ বারেরও বেশি মিথ্যে বলেছেন। কারণ ২০১৪ সালে এই প্রোগ্রামটি প্রথমবারের মতো স্বাক্ষর করেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ট্রাম্প বলেন, আব্রাহাম লিংকনের সময় থেকে অন্য যে কোনো প্রেসিডেন্টের চেয়ে আফ্রো-আমেরিকান সম্প্রদায়ের জন্য অনেক বেশি কিছু করেছেন তিনি। গত ২০ বছরের ইতিহাসে ন্যাটো সদস্য দেশগুলো তাদের ব্যয় বাড়িয়ে বছরে ১৩০ বিলিয়ন ডলারের বেশি তহবিল দিতে রাজি হয়েছে। যদিও ২০১৫ ও ২০১৬ সালে কানাডা এবং ন্যাটো ইউরোপ তাদের ব্যয় বাড়ায়।

এই ভাষণে নিজের পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থাপন করেছি, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করেছি ও অন্যায্য এবং ব্যয়বহুল প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বের হয়েছি। যদিও প্যারিস চুক্তি প্রত্যাহার ও জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থাপনে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিন্দা ও সমালোচনার শিকার হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুক্তরাষ্ট্র


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ