Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘যেও না মেসি’

ভক্তদের আকুতি রূপ নিল বিক্ষোভে

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ আগস্ট, ২০২০, ১২:০০ এএম

বাকি আর দশ দিনের মতো এদিনও রুটিনমাফিক নিজেদের কাজ করছিলেন হয়তো বার্সা সমর্থকেরা। মন হয়তো একটু খারাপ ছিল, প্রিয় দলের কথা ভেবে। বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে ৮-২ গোলের হারের ব্যথাটা যে এখনো দগদগে। সে ব্যথা কমবে কী, গতকাল এমন এক খবর বেরোল, চিন্তায় মাথার ঘাম ছুটে যাওয়ার জোগাড়!
আইনজীবীর সাহায্য নিয়ে ফ্যাক্সের মাধ্যমে মেসি বার্সেলোনাকে জানিয়ে দিয়েছেন, ক্লাবে থাকার ইচ্ছে নেই তার। তার চুক্তি যেন বাতিল করা হয়। এই এক খবর নিয়েই সরগরম ফুটবলপাড়া। ওদিকে নির্ভরযোগ্য সাংবাদিক মার্সেলো বেকলার জানিয়েছেন, সিটিতে যাওয়ার জন্য মেসি প্রস্তুত। সাবেক কোচ গার্দিওলার অধীনে আবারও খেলতে তর সইছে না আর্জেন্টাইন তারকার। ওদিকে রেডিও কাতালুনিয়ার সাংবাদিক জাভি কাম্পোস আরও এক কাঠি সরেস। তিনি জানিয়েছেন, সিটিতে যাওয়ার ব্যাপারে এর মধ্যেই গার্দিওলার সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন মেসি।
কিন্তু মেসি চলে গেলে বার্সেলোনার কী হবে? মেসি ছাড়া কী বার্সেলোনা কল্পনা করা যায়? না বার্সেলোনা ছাড়া মেসিকে? ব্যাপারটা একদম মানতেই পারছেন না কাতালান দলটার সমর্থকেরা। অবুঝ মন কিছুতেই মানতে চাইছে না তাঁদের, যে মেসিকে অন্য দলের জার্সিতে দেখতে হবে, ক্যাম্প ন্যু এর ১০ নম্বর জার্সিতে পাঁচ অক্ষরের ওই নামটা জ্বলজ্বল করবে না। তাই তারা খবর বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জমায়েত হয়েছে ন্যু ক্যাম্পের বাইরে। চলছে বিক্ষোভ, আন্দোলন। ‘মেসি তুমি চলে যেও না’, ‘মেসি তুমি থেকে যাও’, ‘বার্তোমেউয়ের পদত্যাগ চাই’, এমনও হাজারো সেøাগানে মুখরিত ক্যাম্প ন্যু প্রাঙ্গণ। প্রিয় তারকাকে যেকোনোভাবেই হোক, ক্লাবে ধরে রাখতেই হবে যে!
সংবাদ সংস্থা এএফপিকে রুবেন তেরেহো নামের এক ২৮ বছর বয়সী সমর্থক জানিয়েছেন,আমি ওকে অন্য ক্লাবের হয়ে দেখতে পারব না। এটা সম্ভবই না। আমি এটা বিশ্বাস করতে পারছি না। আমার মনে হচ্ছে মেসি এটা করেছে বর্তমান কর্তাব্যক্তিদের একটা আলটিমেটাম দেওয়ার জন্য।
সেটা হলেই বরং ভালো বার্সা সমর্থকদের জন্য!



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিক্ষোভ


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ