বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
শিবালয়ে উন্মুক্ত জলাশয়ে পোনা মাছ-ছোট মাছ নিধন বন্ধে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। জেলে-সৌখিন মৎস্য শিকারি ও মৎস্য বিক্রেতা, নিষিদ্ধ জাল সংরক্ষণকারীদের সর্বমোট আটকপূর্বক ৫২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
উপজেলা মৎস অফিস সূত্রে জানা যায়, শিবালয় মৎস আড়ৎ, বাড়াদিয়া বাজার, জাফরগঞ্জ হাট, নয়াবাড়ি বাজার, বোয়ালী ডাক্তারখানা বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৯টি মামলায় এ অর্থদন্ড করা হয়। গত মঙ্গলবার উপজেলা মৎস অফিসের ব্যাবস্থাপনায় এ অভিযান পরিচালিত হয়।
এ সময় নয়াবাড়ি এবাদত হোসেনের দোকান ও বাড়ি হতে চার ( মুখ বাঁধা ) বস্তায় অবৈধ কারেন্ট জাল, চায়না দোয়ারী ছাড়াও জাল বানানোর সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
উল্লেখ্য, চলতি বর্ষাকালীন শিবালয় উপজেলার বানের পানিতে সর্বত্র সয়লাব হয়ে আছে। বিভিন্ন চাষের পুকুর ভেসে গিয়ে উন্মুক্ত জলাশয়ে পোনা মাছসহ নানা মাছে আধিক্য পরিলক্ষিত হয়। সুযোগ বুঝে এক শ্রেণির জেলে ও মৌসুমী মৎস শিকারীরা নির্বিচারে পোনা মাছসহ অন্যান্যে নিষিদ্ধ মাছ শিকার করে। শিবালয় উপজেলার বোয়ালী চকে ঢাকা-আরিচা রোড সংলগ্ন খালে ভেশাল জাল দিয়ে প্রতিবছরের মত জেলেরা মৎস শিকার করছিলো। এছাড়া জেলেরা বেড় জাল, মশারী জাল, কারেন্ট জালসহ নানা ফাঁদ পেতে পোনা মাছসহ অন্যান্যে মাছ শিকার করছিলো। একইভাবে উপজেলার অভ্যন্তরীণ নদী, খাল ও চকে মৎস শিকার করা হচ্ছিল। বিষয়গুলো মৎস অফিসের নজরে এলে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অভিযান পরিচালনা শুরু করা হয়। অভিযানকালে ভেশাল জাল বার বার কেটে দেয়া হলেও স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থেকে জেলেরা মাছ শিকার করে আসছিল। ঢাকা-আরিচা সড়ক সংলগ্ন বড় থেকে কাতরাসিন পর্যন্ত সড়কের উভয় পাশের খাল কথিত ইজারা নেয়ার নামে দীর্ঘদিন যাবৎ মৎস শিকার করে আসছে। বড় বোয়ালী ও কৃষ্ণপুর গ্রামের কতিপয় মৎস চাষী ও ব্যাবসায়ী প্রতিবছর ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা প্রদান করে অবাধে এই মৎস শিকার চলছিলো। ওই ব্যাবসায়ীরা জানান, সড়ক ও জনপদের মানিকগঞ্জ অফিস থেকে নামমাত্র মূল্যে কথিত ইজারাদার প্রভাবশালী নেতাদেরকে এ অর্থ প্রদান করা হয়। প্রতিটি ভেশাল থেকে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা বর্ষাকালীন আদায় করা হয়ে থাকে। সওজের খালে ৫/৬টি ভেশালসহ বোয়ালী, আনুলিয়া, কৃষ্ণপুর, বেলতা চকে প্রায় ১৫টি ভেশাল স্থাপন করা হয়। প্রতিবছর মৎস সপ্তাহ উপলক্ষে উন্মুক্ত জলাশয়ে পোনা ছাড়া হয় এই বোয়ালী চকেই।
এলাকার সচেতন মহল জানান, মজার ব্যাপার হচ্ছে যেই উন্মুক্ত জলাশয়ে পোনা উন্মুক্ত করা হয়। সেই উন্মুক্ত জলাশয়েই নির্বিচারে পোনা মাছ নিধন হয়ে আসছিলো। এ বছর বিষয়টি প্রশাসনের নজরে এলে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
এ ব্যাপারে বড় বোয়ালী কবরস্থানের কমিটির কর্মকর্তারা জানান, তাদের কবরস্থানসহ উথুলী, কাতরাসিন কবরস্থান উন্নয়নের নামে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা দেয়া হলেও এবার তা দেয়া হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।