মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আগামী ৮ নভেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিকে এগিয়ে চলা মিয়ানমারের সামরিক জান্তা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ব্যাপারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ছয় রাজনীতিবিদকে অযোগ্য ঘোষণা করল। এসব রাজনীতিবিদের জাতীয় পরিচয়পত্রে সমস্যা রয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বসবাস এবং তাদের বেশিরভাগই মুসলমান। ২০১৭ সালের দিকে রাষ্ট্রীয় মদদে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যা ও ব্যাপক নির্যাতন চালানো হয় যার কারণে লাখ লাখ রোহিঙ্গা মুসলমান দেশ ছেড়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়।
আগামী ৮ নভেম্বর মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্তিা করার জন্য অন্তত এক ডজন রোহিঙ্গা মুসলমান আবেদন জানিয়েছেন। এর মধ্যে অন্তত ছয়জনকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। মিয়ানমারের সরকারি কর্মকর্তারা দাবি করছেন, এসব রাজনীতিক প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছেন যে, তাদের মা-বাবা মিয়ানমারের নাগরিক ছিলেন। মিয়ানমারের নির্বাচনী আইন অনুসারে প্রার্থীর মা-বাবাকে মিয়ানমারের নাগরিক হওয়া বাধ্যতামূলক।
আবদুর রশীদ নামে একজন প্রার্থী জানান, সরকারীভাবে যেসব কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে তার সবই সরবরাহ করা হয়েছে তারপরও তার প্রার্থীতা বাতিল করা হয়েছে।
এদিকে রোহিঙ্গাদের ভোটাধিকার নিশ্চিত, নাগরিকত্ব পুনরুদ্ধারে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ফরটিফাই রাইটস। সংস্থাটির চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ম্যাথু স্মিথ বলেছেন, ‘বিগত নির্বাচনে রোহিঙ্গারা ভোট দিয়েছে এবং নভেম্বর মাসের নির্বাচনে তাদের ভোট দেয়ার অধিকার থাকা উচিত।’ ‘তাদের ভোটদান সম্ভব। আসন্ন নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে সরকারের পর্যাপ্ত সময় রয়েছে।’
আন্তর্জাতিক মানবতাবাদী সংস্থার সাথে যৌথভাবে মিয়ানমার সরকার এবং বাংলাদেশে মিয়ানমার দূতাবাস নভেম্বরের নির্বাচনে রোহিঙ্গাদের ভোট দেয়ার যোগ্যতা নির্ধারণে এবং পুনরুদ্ধারের প্রমাণ হিসেবে এসব দলিলের পাশাপাশি প্রশংসাপত্রের মতো বিকল্প প্রমাণাদি ব্যবহার করতে পারে, বলছে ফরটিফাই রাইটস। দেশটির সরকার ২০১০ ও ২০১৫ সালের নির্বাচনেও তাদের ভোটদানের ব্যবস্থা করেছিল।
২০১৬ এবং ২০১৭ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে রোহিঙ্গাদের ওপর গণধর্ষণ, গণহত্যা চলে। এতে বাধ্য হয়ে আট লাখেরও বেশি নারী, পুরুষ ও শিশু পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এখনও ছয় লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা যারা মিয়ানমারে অবস্থান করছের তারা গণহত্যাসহ আন্তর্জাতিক অপরাধের শিকার হচ্ছে।
১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাস করছে। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছে। কিন্তু এখনও কোনো রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন সম্ভব হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।