Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘ধর্ষণ শেষে হত্যার শিকার’ কিশোরী জীবিত উদ্ধার

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ আগস্ট, ২০২০, ২:০৯ পিএম

স্কুলছাত্রী কিশোরীকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করা হয়েছে এমন স্বীকারোক্তি দেওয়া মামলার তিন আসামি কারাগারে বন্দি। আর ওই জবানবন্দি দেওয়ার ১৪ দিন পর জিসা মনি (১৫) নামের ওই কিশোরীকে জীবিত উদ্ধার করেছে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে নারায়ণগঞ্জে।

সোমবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালতে ঘটনার বিবরণ দিয়ে জবানবন্দি দেওয়ার পর সন্ধ্যায় জিসাকে তার বাবার জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান।

ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন পুলিশ সুপার। এর আগে রোববার রাতে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ তাকে বন্দরের নবীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে উদ্ধার করে।

জানা গেছে, গত ৪ জুলাই থেকে নিখোঁজ হয় নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ পাক্কা রোড এলাকার সরকারি প্রাইমারি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী জিসা মনি। গত ১৭ জুলাই সদর মডেল থানায় জিডি করেন জিসা মনির বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন। এরপর ৬ আগস্ট থানায় অপহরণ মামলা করেন তিনি।

মামলায় বলা হয়, ‘আসামি আব্দুল্লাহ তার মেয়েকে স্কুলে যাওয়া-আসার পথে উত্ত্যক্ত করত। সে গত ৪ জুলাই সন্ধ্যায় ফোনে ঠিকানা দিলে আমার মেয়ে ওই ঠিকানায় যায়। পরে তাকে অপহরণ করে আব্দুল্লাহ ও তার সহযোগীরা।’

পুলিশ মেয়েটির মায়ের মোবাইলের কললিস্ট চেক করে রকিবের সন্ধান পায়। রকিবের মোবাইল নম্বর দিয়ে আব্দুল্লাহ জিসার সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। এ ঘটনায় রকিব, আব্দুল্লাহ ও নৌকার মাঝি খলিলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গত ৯ আগস্ট নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন হোসেন ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ূন কবিরের পৃথক আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন আসামিরা। স্বীকারোক্তিতে তাঁরা জানান, জিসাকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে শীতলক্ষ্যা নদীতে।

পুলিশ ও পরিবারের সদস্যরা জানায়, গত রবিবার বিকেলে বন্দরের নবীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকার একটি মোবাইল ফোনের দোকান থেকে জিসা তার মা রেখা আক্তারকে ফোন করে কিছু টাকা চায়। জিসার বাবা বিষয়টি মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে জানান। পরে মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে নবীগঞ্জ থেকে উদ্ধার করা হয় জিসাকে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ধর্ষণ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ