মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সোমবারের বৈঠকে সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বেই আস্থা জানাল কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটি। করোনার প্রকোপ কমলে ছয় মাস পরে সভাপতি নির্বাচনের জন্য এআইসিসি-র অধিবেশন ডাকা হবে। সে পর্যন্ত সভানেত্রীর দায়িত্ব সামলাবেন সোনিয়া। আপাতত তার অধীনে একটি কমিটি তৈরি করা হতে পারে।
সোমবারের বৈঠকে মনমোহন সিং, এ কে অ্যান্টনির নেতৃত্বে প্রবীণ নেতারা সোনিয়াকেই আপাতত সভানেত্রীর পদে থেকে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। আবার, কংগ্রেস-শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা থেকে আহমেদ পটেল পর্যন্ত ওয়ার্কিং কমিটির প্রায় সবাই রাহুলকে ফের কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। গান্ধী পরিবারের বাইরের কারও সভাপতি হওয়ার সম্ভাবনা খারিজ করে দিয়ে তারা বলেন, রাহুল দায়িত্ব নিয়ে নিজের মতো সংগঠন সাজিয়ে নিন। যদিও রাহুল এ দিনও সভাপতি পদের দায়িত্ব নিতে সম্মতি দেননি। তবে কংগ্রেস নেতাদের আশা, ছ’মাসের মধ্যে তিনি রাজি হয়ে যাবেন। প্রথমে এক বছর পরে সভাপতি পদে নির্বাচনের কথা ভাবা হয়েছিল। কিন্তু বৈঠকে রাহুল নিজেই বলেন, ছ’মাসের মধ্যে এই প্রক্রিয়া শুরু হোক।
এর আগে কংগ্রেসের ২৩ জন নেতা সোনিয়াকে চিঠি লিখে পুরো সময়ের সক্রিয় নেতৃত্ব, সংগঠন ঢেলে সাজানো, ওয়ার্কিং কমিটির নির্বাচন এবং সর্বোপরি সকলের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণের দাবি জানিয়েছিলেন। জবাবে সোনিয়া তার আগেই দলের সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপালকে চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন, তিনি অন্তর্বর্তী সভানেত্রীর পদ থেকে অব্যাহতি চাইছেন। তিনি লেখেন, ‘দলের স্বার্থে আমি ওয়ার্কিং কমিটিকে অনুরোধ করছি, আমাকে অব্যাহতি দিতে দায়িত্ব বদলের প্রক্রিয়া শুরু করা হোক।’
এই দুই চিঠি নিয়ে সাড়ে ছয় ঘণ্টার বৈঠকে বাদানুবাদ-তর্কবিতর্ক, অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের শেষে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি একমত হয়ে প্রস্তাব দিল, যত দিন না এআইসিসি-র অধিবেশন ডাকার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়, সোনিয়া গান্ধীকেই আপাতত কংগ্রেস সভানেত্রী পদে থেকে যাওয়ার অনুরোধ জানানো হচ্ছে। বিক্ষুব্ধদের প্রসঙ্গে বৈঠকে সোনিয়া জানান, তিনি ‘আহত’। কিন্তু ‘সহকর্মী’-দের প্রতি মনে কোনও ‘বিদ্বেষ’ রাখছেন না। বৈঠকে অম্বিকা সোনি বিক্ষুব্ধদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি তুলেছিলেন। কিন্তু সোনিয়া বলেন, যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। অতীতেও তাকে আঘাত করা হয়েছে। কিন্তু তিনি দলের স্বার্থে সে সবের ঊর্ধ্বে উঠেছেন।
দলের ২৩ জন নেতা সোনিয়াকে চিঠি লিখলেও তাদের অভিযোগের আঙুল ছিল রাহুল গান্ধীর দিকে। কারণ রাহুল সভাপতির পদ না-নিলেও পিছন থেকে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। কিন্তু নিজের ‘কোর টিম’-এর বাইরে কারও সঙ্গে আলোচনা করছেন না। সোনিয়ার অধীনে কমিটি তৈরি হলে সেই ক্ষোভ মেটানো যাবে। সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।