Inqilab Logo

সোমবার, ০৩ জুন ২০২৪, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ধর্ষণের শিকার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে বিয়ের জন্য তুলে নিয়ে গেছে অভিযুক্ত ধর্ষকের পরিবার

কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২১ আগস্ট, ২০২০, ৪:২৩ পিএম

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার গুঁনাইগাছ ইউনিয়নে ধর্ষণের শিকার সপ্তম শ্রেণির এক স্কুল শিক্ষার্থীর বাবা ও দাদিকে মারধর করে ওই স্কুল শিক্ষার্থীকে বিয়ের জন্য বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্ত ধর্ষক ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় জীবননাশের হুমকিতে অসহায় হয়ে পড়েছে শিশু শিক্ষার্থীর পরিবার। বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) বিকালে গুঁনাইগাছ ইউনিয়নের কৃষ্ণমঙ্গল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে শিশুটিকে অভিযুক্ত ছেলের বাড়িতে আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শিশুটির বাবা।

উলিপুর থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন ঘটনা অবগত রয়েছেন জানিয়ে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তারা গিয়ে ঘটনার সত্যতা যাচাই করে জানাবে। তবে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটায় শেষ খব পাওয়া পর্যন্ত শিশুটি ছেলের বাড়িতে আটকা রয়েছে বলে জানা গেছে।
ঘটনার শিকার শিশু শিক্ষার্থীর পিতা মোবাইল ফোনে এই প্রতিবেদককে বলেন, তার পাশের বাড়ির বাসিন্দা নুর আলমের দ্বাদশ শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে সোহেল রানা বিভিন্ন সময় তার মেয়েকে ফুসলিয়ে ধর্ষণ করে আসছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে এবং অভিযুক্তের নামে চার্জশিটও দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সোহেল রানা গত রাতেও তার শিশু কন্যাকে ধর্ষণ করে। এতে মেয়ের দাদি বাধা দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয় সোহেল রানা। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার বিকালে সোহেল রানা তার বাবা-মা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্য সহ ভুক্তভোগীর বাড়িতে হামলা করে মেয়ের বাবা ও দাদিকে মারধর করে এবং জোর করে মেয়েকে তুলে নিয়ে যায়।
মেয়েটির বাবা বলেন,‘ যাওয়ার সময় সোহেল রানা বলে, আজকেই বিয়া করবো দেখি কে ঠেকায়।’

নিজের মেয়ে এখনও বিয়ে বা সংসার করার উপযুক্ত হয়নি জানিয়ে অসহায় এই বাবা বলেন, ‘ আমার মেয়েকে আমি ফেরত চাই। সোহেল রানা ও তার পরিবারের লোকজনদের বিচার চাই।’

এদিকে মামলা সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর জানুয়ারি মাসে এই শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে সোহেল রানার বিরুদ্ধে মামলা হয় যার নম্বর ২২, তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০২০। ওই মামলার চাজশিটভুক্ত আসামি এই সোহেল রানা।
স্থানীয়রা জানায়, মামলা থেকে রেহাই পেতে সোহেল রানার পরিবার এই অপকৌশল নিয়েছে।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার(এসপি) মহিবুল ইসলাম খান জানান, উলিপুর থানার ওসিকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ধর্ষণ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ