প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
ঢাকায় চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা নায়করাজ রাজ্জাককে ছাড়া কেটে গেল তিনটি বছর। ২০১৭ সালের এইদিনে (২১ আগস্ট) অগণিত ভক্তদের কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তিনি।
গুণী এই অভিনেতার মৃত্যুদিনটিকে ঘিরে বেশকিছু আয়োজন করেছে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো। থাকছে পারিবারিক আয়োজনও। নায়করাজের ছোট ছেলে গণমাধ্যমে জানান, বাবার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী আমাদের কাছে খুবই বিশেষ। আজ উত্তরায় আমাদের মার্কেটের আশেপাশের দুঃস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করব। পাশাপাশি মার্কেটে বাবার তৈরী মসজিদে দোয়ার আয়োজন করেছি। এছাড়া বাড়িতেও স্বল্প পরিসরে মিলাদ হবে।'
১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন রাজ্জাক। তার পুরো নাম আব্দুর রাজ্জাক। কলকাতার খানপুর হাইস্কুলে সপ্তম শ্রেণীতে পড়ার সময়ই 'বিদ্রোহী' নাটকে গ্রামীন কিশোরের চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তাঁর অভিনয় যাত্রা শুরু।
পরে সালাউদ্দিন প্রোডাকশন্সের '১৩ নং ফেকু ওস্তাগার লেন' সিনেমাতে ছোট চরিত্রে অভিনয় করে সবার কাছে নিজ মেধার পরিচয় দেন রাজ্জাক। তারপর 'কার বউ', 'ডাক বাবু', 'আখেরি স্টিশন'-এর মতো সিনেমাগুলোতে অভিনয় করেন তিনি।
কালজয়ী নির্মাতা জহির রায়হানের 'বেহুলা' সিনেমা দিয়ে প্রধান চরিত্রে দর্শকদের সামনে হাজির হন রাজ্জাক। এতে তাঁর সঙ্গে প্রথমবার জুটি বেঁধেছিলেন সুচন্দা।
অভিনয়ের বাইরে চলচ্চিত্র পরিচালনা ও প্রযোজনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন রাজ্জাক। তাঁর পরিচালিত প্রথম সিনেমা 'অনন্ত প্রেম'। এছাড়া প্রযোজক হিসেবে তাঁর যাত্রা শুরু 'রংবাজ' সিনেমা দিয়ে। নায়ক হিসেবে রাজ্জাক অভিনীত সবশেষ সিনেমা শফিকুর রহমানের 'মালামতি'। এতে তার বিপরীতে দেখা যায় নূতনকে।
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ৩০০টির বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন রাজ্জাক। বাংলা সিনেমার পাশাপাশি উর্দু সিনেমাতেও দাপুটের সঙ্গে অভিনয় করেন তিনি। চলচ্চিত্রে অসামান্য অবদানের জন্য পেয়েছেন একাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মাননা। এছাড়াও অভিনয়ের জন্য ভক্তদের কাছে থেকে পেয়েছেন 'নায়করাজ' উপাধি।
দেশ স্বাধীনের পর থেকে নব্বই দশকের গোড়া পর্যন্ত অসংখ্য ব্যবসা সফল সিনেমাতে অভিনয় করেছেন রাজ্জাক। তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে, 'স্লোগান', 'আমার জন্মভূমি', 'কে তুমি', 'স্বপ্ন দিয়ে ঘেরা', 'পলাতক', 'আলোর মিছিল', 'অগ্নিশিখা', 'যাদুর বাঁশী', 'কাপুরুষ' অন্যতম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।