Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইংল্যান্ড যেতে মুখিয়ে ল্যাঙ্গার

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২১ আগস্ট, ২০২০, ১২:০৭ এএম

সামনে ব্যস্ত সূচি। এমনিতেই দম ফেলবার ফুরসত পেতেন না অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা। এখন আবার করোনাকাল। ক্রিকেট খেলতে হবে জৈব সুরক্ষিত পরিবেশে। আর তা নিশ্চিত করতে গিয়ে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশ লম্বা হয়ে যাচ্ছে সিরিজ বা সফরসূচি।
এমন পরিস্থিতিতেই আগামী রোববার ইংল্যান্ডে রওনা দিচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা। এরপর দেশে-বিদেশে আরও কত সিরিজ। দলটির কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার তাই খেলোয়াড়দের মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে বলেছেন। সাবেক এই ওপেনার শিষ্যদের পরামর্শ দিলেন হলিউড তারকা উইল স্মিথের কাছে থেকে অনুপ্রেরণা খুঁজে নিতে।
ইংল্যান্ড সফর দিয়েই করোনাকালে ক্রিকেটে ফিরছে অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দল। সফরে তিনটি করে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে খেলবে অস্ট্রেলিয়া। সিরিজের টি-টোয়েন্টি পর্বের ভেন্যু সাউদাম্পটনের রোজ বোল। ওয়ানডে সিরিজটা হবে ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে। ৪ সেপ্টেম্বর টি-টোয়েন্টি দিয়ে শুরু হবে সিরিজ।
ইংল্যান্ড থেকে দেশে ফিরেও ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারদের। এরপর দেশের মাটিতে ভারত ও আফগানিস্তানকে আতিথেয়তা দেবে অস্ট্রেলিয়া। ওই দুই সিরিজও জৈব সুরক্ষার ঘেরাটোপে বন্দী থাকার কথা। কারণ, অস্ট্রেলিয়া এখনো করোনা-ঝুঁকিতে আছে। আর অস্ট্রেলীয় সরকারের করোনাসংক্রান্ত বিধিনিষেধ বেশ কঠোর।
গতকাল এক ভিডিও কল সংবাদ সম্মেলনে সবকিছু বিবেচনা করেই ল্যাঙ্গার শিষ্যদের মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে বললেন, ‘আমরা সম্ভবত পরিবারের দেখা পাব না কারণ খেলা চালিয়ে যেতে আমাদের বাইরে বাইরেই থাকতে হবে। তবে আমাদের কয়েকজন সেরা খেলোয়াড় কয়েকটা ম্যাচ নাও খেলতে পারে, সে সময় ওরা হয়তো পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পারে। খুব জটিল একটা ব্যাপার।’
ল্যাঙ্গার এরপরই উদাহরণ টানলেন উইল স্মিথের। মার্কিন অভিনেতার দেওয়া এক সাক্ষাৎকার থেকে উদ্ধৃতি দিলেন অস্ট্রেলীয় কোচ, ‘উইল স্মিথ একবার বলেছিলেন ‘‘আমাদের এমনভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে যেন নতুন করে প্রস্তুতি নেওয়ার দরকার না হয়। যেখানেই যা আসুক না কেন আমরা তৈরি থাকব।’’ আমাদেরও তাই করতে হবে।’
করোনার এই সময়ে ক্রিকেট খেলতে সাধারণ সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ খেলোয়াড় নিয়ে ক্যাম্প সাজাতে হচ্ছে দলগুলোকে। ভারতের বিপক্ষে সিরিজে অস্ট্রেলিয়াকেও তাই করতে হবে। যার অর্থ বিগ ব্যাশ লিগ ও শেফিল্ড শিল্ডে ভালো মানের খেলোয়াড় কমে যাওয়া। ল্যাঙ্গার সবাইকে এ বিষয়ে মানিয়ে নিতে পরামর্শ দিলেন, ‘নানা কারণেই আমাদের বড় দল বানাতে হচ্ছে। অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে এ নিয়ে। আগের মতো তো আর ১২ বা ১৩ জনকে রেখে বাকিদের শিল্ড ক্রিকেট খেলতে পাঠানো যাবে না। আমাদের মানিয়ে নিতে হবে।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইংল্যান্ড


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ