Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সীমানা কমিটিতেই ভরসা ভারত-নেপালের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২১ আগস্ট, ২০২০, ১২:১০ এএম


গত কয়েকদিনের মধ্যে নেপাল ও ভারতের মধ্যে পর পর দুইটি উচ্চ-স্তরের বৈঠক ব্যর্থ হওয়ার পরে, দুই প্রতিবেশী দেশ এখন তাদের সীমানা নির্ধারণী কমিটির একটি বৈঠক আয়োজন করতে চাইছে। এই বিষয়ের সাথে জড়িত কর্মকর্তারা বলছেন যে, বৈঠকটি খুব শিগগিরই অনুষ্ঠিত হবে এবং দু’দেশের সীমানা বিরোধ সমাধানে এটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ হবে। নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং জরিপ বিভাগের দু’জন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নেপাল আগস্টের শেষ সপ্তাহে বা সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছে। তারা ভারতের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া জানার অপেক্ষায় রয়েছে। সীমানা নির্ধারণী দল বা বাউন্ডারি ওয়ার্কিং গ্রæপ হল নেপাল এবং ভারত সরকার দ্বারা গঠিত একটি যৌথ সংস্থা যা ‘নো-ম্যানস ল্যান্ডের জমি’ নির্ধারণ, সীমানা স্তম্ভগুলি পুনর্র্নিমাণ ও মেরামতের ক্ষেত্রে কাজ পরিচালনা এবং অন্যান্য প্রযুক্তিগত কাজ করার জন্য ২০১৪ সালে গঠিত হয়েছিল। এই দলটি এখনও পর্যন্ত ছয়টি বৈঠক করেছে। সর্বশেষ বৈঠকটি ভারতের দেরাদুনে গত বছরের আগস্টে হয়েছিল। যদিও বাউন্ডারি ওয়ার্কিং গ্রæপকে সুস্তা ও কালাপানি নিয়ে তদন্ত করার বাধ্যবাধকতা দেয়া হয়নি, যা নিয়ে নেপাল ও ভারতের মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। তাদেরকে সমস্যা সমাধানে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ে গঠিত ব্যবস্থায় তথ্য সরবরাহ করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সুস্তা ও কালাপনি সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি করার দায়িত্ব দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিব স্তরে প্রক্রিয়াধীন। তবে উভয় পক্ষই এর জন্য সদিচ্ছা প্রকাশ করা সত্তে¡ও তারা কোনও বৈঠক করেনি। এ বিষয়ে নেপালের সাবেক পররাষ্ট্রসচিব ও রাষ্ট্রদূত মধুরামান আচার্য বলেন, ‘দু’দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে টেলিফোনে কথোপকথন এবং আমাদের পররাষ্ট্র সচিব এবং ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অবশ্যই সম্পর্কের বরফ ভাঙতে সহায়তা করেছিল।’ তিনি বলেন, ‘আমরা আগামী দিনে আরও দ্বিপক্ষীয় পদক্ষেপের জন্য আশা করতে পারি।’ ভারতের সীমান্তের মধ্যে কালাপানিকে স্থাপন করে নয়াদিল্লি একটি নতুন মানচিত্র প্রকাশের পর গত নভেম্বর থেকে কিছুদিন আগে পর্যন্ত নেপাল ও ভারতের মধ্যে কোনও ক‚টনৈতিক সংলাপ বা উচ্চ-স্তরের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়নি। এর পরে চলতি বছরের মে মাসের প্রথম সপ্তাহে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে যখন চীনের তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল সংলগ্ন লিপুলেখ হয়ে কৈলাশের মানসরোবর পর্যন্ত একটি সড়ক যোগাযোগ উদ্বোধন করেন ভারতের প্রতিরক্ষমন্ত্রী। জবাবে নেপালও কালাপানী, লিপুলেখ এবং লিম্পিয়াধুরাকে নিজের এলাকার মধ্যে চিত্রিত করে নিজস্ব রাজনৈতিক মানচিত্র প্রকাশ করেছে। নেপালি কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি এবং তার ভারতীয় প্রতিপক্ষ নরেন্দ্র মোদির মধ্যে গত ১৫ আগস্ট টেলিফোন কথোপকথন এবং ১৭ আগস্ট পররাষ্ট্রসচিব শংকর দাস বৈরাগী এবং ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বিনয় মোহন কাওয়াত্রার মধ্যে ভার্চুয়াল বৈঠক সীমানা কার্যনির্বাহী দলের বৈঠকের বিষয় নির্ধারণ করতে সহায়তা করেছে। নেপালে ভারতের অনুদানপ্রাপ্ত প্রকল্পগুলির অগ্রগতি পর্যালোচনা ও মূল্যায়নের জন্য ১৭ আগস্ট বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সূত্র : কাঠমান্ডু পোস্ট।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নেপাল

৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ