Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সুনামগঞ্জের হাওরে হবে ১৩ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ে

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২০ আগস্ট, ২০২০, ১:১৭ পিএম

সুনামগঞ্জের বিচ্ছিন্ন হাওর এলাকায় সাড়ে ১৩ কিলোমিটার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করতে যাচ্ছে সরকার। ‘হাওর এলাকায় গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্পের অধীনে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। প্রাথমিকভাবে প্রকল্পের প্রস্তাবিত ব্যয় ধরা হয়েছে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা। এর মাধ্যমে জেলার ধর্মশালা, তাহিরপুর, জামালগঞ্জ ও দিরাই উপজেলা উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার অধীনে আসবে।

প্রকল্পের মাধ্যমে হাওর অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে প্রকল্পের ডিপিপিতে (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) কিছু কাজের কথা উল্লেখ্য করা হয়েছে। এলিভেটেডে এক্সপ্রেসওয়ে ছাড়াও প্রকল্পের মাধ্যমে ১০৭ কিলোমিটার নান্দনিক সড়ক নির্মাণ করা হবে। নির্মাণ করা হবে ২৮ কিলোমিটার পানিরোধী সড়ক। বর্ষা মৌসুমে এসব সড়ক ডুবে গেলেও কোন সমস্যা হবে না।

এছাড়া উপজেলা সাবমারসিবল সড়ক হবে ১৩ কিলোমিটার। অল সিজন ইউনিয়ন সড়ক হবে ১৫ কিলোমিটার। উপজেলা সড়কে ২ হাজার ৯৮৭ মিটার ও ইউনিয়ন সড়কে ৬৮৫ মিটার ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।

 

বিভিন্ন সড়কে থাকবে ৭৭৫ মিটার কালভার্ট। হাওরে উড়াল সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের ডিপিপি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পের ডিপিপি নিয়ে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) বৈঠকও হয়েছে।

 

জানা গেছে, প্রকল্প বাস্তবায়নে পরিকল্পনা কমিশন কিছু নির্দেশনা দিয়েছে। এর পরেই প্রকল্পটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উপস্থাপন করা হবে। চলতি সময় থেকে প্রকল্পের বাস্তবায়ন মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২৫ সালের জুন পযর্ন্ত।

 

প্রকল্প প্রসঙ্গে এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশীদ খান বলেন, সুনামগঞ্জ বাংলাদেশের অন্যান্য স্থানের মতো নয়। হাওরের কারণে এই জেলার অধিকাংশ উপজেলা বিচ্ছিন্ন। এসব উপজেলায় যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণে প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রকল্পটি একেবারেই প্রাথমিক অবস্থায় রয়েছে। আরও কিছু যাচাই-বাছাই করে প্রকল্পটি একনেক সভায় তোলা হবে।

 

জানা গেছে, উড়ালসড়ক নির্মাণ পরবর্তী পর্যায়ে পরিবেশ ও সামাজিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করা হবে। উড়ালসড়কের জন্য ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হবে। হাওরের উদ্ভিদ ও প্রাণিকূল যাতে শব্দ দূষণের শিকার না হয় সেজন্য সড়কে শব্দ প্রতিরোধক ব্যবহার করা হবে।

 

পরিবেশ ও সামাজিক প্রভাব নিরুপণের জন্য প্রকল্পের বিস্তারিত রাস্তার ধরণ ও রাস্তার অ্যালাইনমেন্ট, প্রস্থ, উচ্চতা, চাপ, অবস্থান নির্ণয় করা হয়েছে। এক্ষত্রে বিশদ সার্ভে করা হয়েছে। সুনামগঞ্জের বিচ্ছিন্ন উপজেলা সংযোগের পাশাপাশি পযর্টনেরও বিকাশ হবে হাওরে।

হাওরে উড়ালসড়ক প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান গণমাধ্যমকে বলেন, হাওরের মানুষ প্রাকৃতিক কারণেই অবহেলিত। বছরের ছয় মাস হাওর অঞ্চল পানির নিচে থাকে। ধান ও মাছ ছাড়া অন্য কোনো আয়ের সংস্থান নেই। তবে বর্তমান সরকার হাওরবান্ধব সরকার।

 

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজ উদ্যোগের হাওরের জন্য অনেক উন্নয়ন প্রকল্প দিয়েছেন। এজন্য আমরা হাওরবাসী প্রধানমন্ত্রীর নিকট ঋণী। উড়ালসড়ক নির্মাণের ফলে হাওরে যোগাযোগ ব্যবস্থার নতুন দিগন্ত সূচিত হবে। এর পাশাপাশি পর্যটন শিল্পেও সমৃদ্ধ হবে হাওর।

 

mybvgM‡Äi nvI‡i n‡e 13 wK‡jvwgUvi G·‡cÖmI‡q

 

we‡kl msev``vZv

mybvgM‡Äi wew”Qbœ nvIi GjvKvq mv‡o 13 wK‡jvwgUvi Gwj‡f‡UW G·‡cÖmI‡q wbg©vY Ki‡Z hv‡”Q miKvi| ÔnvIi GjvKvq MÖvgxY AeKvVv‡gv DbœqbÕ cÖK‡íi Aax‡b cÖKíwU ev¯Íevqb Ki‡e ¯’vbxq miKvi cÖ‡KŠkj Awa`ßi (GjwRBwW)| cÖv_wgKfv‡e cÖK‡íi cÖ¯ÍvweZ e¨q aiv n‡q‡Q mv‡o 3 nvRvi †KvwU UvKv| Gi gva¨‡g †Rjvi ag©kvjv, Zvwnicyi, RvgvjMÄ I w`ivB Dc‡Rjv DbœZ †hvMv‡hvM e¨e¯’vi Aax‡b Avm‡e|

cÖK‡íi gva¨‡g nvIi A‡ji †hvMv‡hvM e¨e¯’vi Dbœq‡b cÖK‡íi wWwcwc‡Z (Dbœqb cÖKí cÖ¯Íve) wKQy Kv‡Ri K_v D‡jøL¨ Kiv n‡q‡Q| Gwj‡f‡U‡W G·‡cÖmI‡q QvovI cÖK‡íi gva¨‡g 107 wK‡jvwgUvi bv›`wbK moK wbg©vY Kiv n‡e| wbg©vY Kiv n‡e 28 wK‡jvwgUvi cvwb‡ivax moK| el©v †gŠmy‡g Gme moK Wy‡e †M‡jI †Kvb mgm¨v n‡e bv|

 

GQvov Dc‡Rjv mvegviwmej moK n‡e 13 wK‡jvwgUvi| Aj wmRb BDwbqb moK n‡e 15 wK‡jvwgUvi| Dc‡Rjv mo‡K 2 nvRvi 987 wgUvi I BDwbqb mo‡K 685 wgUvi weªR wbg©vY Kiv n‡e|

 

wewfbœ mo‡K _vK‡e 775 wgUvi KvjfvU©| nvI‡i Dovj moK wbg©vY cÖK‡íi wWwcwc cwiKíbv Kwgk‡b cvVv‡bv n‡q‡Q| cÖK‡íi wWwcwc wb‡q cÖKí g~j¨vqb KwgwUi (wcBwm) ˆeVKI n‡q‡Q|

 

Rvbv †M‡Q, cÖKí ev¯Íevq‡b cwiKíbv Kwgkb wKQy wb‡`©kbv w`‡q‡Q| Gi c‡iB cÖKíwU P~ovšÍ Aby‡gv`‡bi Rb¨ RvZxq A_©‰bwZK cwil‡`i wbe©vnx KwgwUi (GK‡bK) mfvq Dc¯’vcb Kiv n‡e| PjwZ mgq †_‡K cÖK‡íi ev¯Íevqb †gqv` aiv n‡q‡Q 2025 mv‡ji Ryb chšÍ©|

 

cÖKí cÖm‡½ GjwRBwWi cÖavb cÖ‡KŠkjx †gv. Avãyi ikx` Lvb e‡jb, mybvgMÄ evsjv‡`‡ki Ab¨vb¨ ¯’v‡bi g‡Zv bq| nvI‡ii Kvi‡Y GB †Rjvi AwaKvsk Dc‡Rjv wew”Qbœ| Gme Dc‡Rjvq †hvMv‡hvM e¨e¯’v Dbœq‡bi Rb¨ Gwj‡f‡UW G·‡cÖmI‡qmn Ab¨vb¨ AeKvVv‡gv wbg©v‡Y cÖKí nv‡Z †bIqv n‡q‡Q|

wZwb e‡jb, cÖKíwU G‡Kev‡iB cÖv_wgK Ae¯’vq i‡q‡Q| AviI wKQy hvPvB-evQvB K‡i cÖKíwU GK‡bK mfvq †Zvjv n‡e|

 

Rvbv †M‡Q, DovjmoK wbg©vY cieZ©x ch©v‡q cwi‡ek I mvgvwRK e¨e¯’vcbv wb‡q KvR Kiv n‡e| Dovjmo‡Ki Rb¨ UªvwdK g¨v‡bR‡g›U cwiKíbvI MÖnY Kiv n‡e| nvI‡ii Dw™¢` I cÖvwYK‚j hv‡Z kã `~l‡Yi wkKvi bv nq †mRb¨ mo‡K kã cÖwZ‡ivaK e¨envi Kiv n‡e|

 

cwi‡ek I mvgvwRK cÖfve wbiæc‡Yi Rb¨ cÖK‡íi we¯ÍvwiZ iv¯Ívi aiY I iv¯Ívi A¨vjvBb‡g›U, cÖ¯’, D”PZv, Pvc, Ae¯’vb wbY©q Kiv n‡q‡Q| G¶‡Î wek` mv‡f© Kiv n‡q‡Q| mybvgM‡Äi wew”Qbœ Dc‡Rjv ms‡hv‡Mi cvkvcvwk chU©‡biI weKvk n‡e nvI‡i|

nvI‡i DovjmoK cÖm‡½ cwiKíbvgš¿x Gg G gvbœvb MYgva¨g‡K e‡jb, nvI‡ii gvbyl cÖvK…wZK Kvi‡YB Ae‡nwjZ| eQ‡ii Qq gvm nvIi AÂj cvwbi wb‡P _v‡K| avb I gvQ Qvov Ab¨ †Kv‡bv Av‡qi ms¯’vb †bB| Z‡e eZ©gvb miKvi nvIievÜe miKvi|

 

wZwb e‡jb, cÖavbgš¿x wbR D‡`¨v‡Mi nvI‡ii Rb¨ A‡bK Dbœqb cÖKí w`‡q‡Qb| GRb¨ Avgiv nvIievmx cÖavbgš¿xi wbKU FYx| DovjmoK wbg©v‡Yi d‡j nvI‡i †hvMv‡hvM e¨e¯’vi bZyb w`MšÍ m~wPZ n‡e| Gi cvkvcvwk ch©Ub wk‡íI mg„× n‡e nvIi|

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ