মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
প্রয়োজনীয় যাবতীয় অনুমোদন মিললে ভারতের বাজারে প্রথমে উন্মুক্ত হতে পারে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বানানো করোনা ভ্যাকসিনই। চলতি বছরের বছরের শেষে, না হলে আগামী বছরের শুরুতে সেখানে এই ভ্যাকসিন পাওয়া যেতে পারে। এর আগে তিন স্তরের ট্রায়াল সফল ভাবে সম্পন্ন করা কোনও ভ্যাকসিন ভারতের বাজারে পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন না বিশেষজ্ঞরা।
অক্সফোর্ডের বানানো কোভিড ভ্যাকসিন নিয়ে ভারতে দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চালানোর জন্য ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোলের কাছ থেকে জরুরি অনুমোদন পেয়ে গিয়েছে পুণের সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউট। দু’টি পর্যায়ে সফল হলে ভারতে ভ্যাকসিন তৈরির জন্য কেন্দ্রীয় অনুমোদন প্রয়োজন। প্রায় একই ধারণা আমেরিকার শীর্ষ স্তরের এপিডিমিয়োলজিস্ট অ্যান্টনি ফাউসির। তিনি জানিয়েছেন, হিউম্যান ট্রায়ালের তিনটি পর্ব ‘ফেজ-ওয়ান’, ‘ফেজ-টু’ এবং ‘ফেজ-থ্রি’, সফল ভাবে পেরিয়ে কোনও ভ্যাকসিন বাজারে আসতে গেলে আরও অন্তত চার থেকে ছয় মাস সময় লাগবে। সে ক্ষেত্রে চলতি বছরের একবারে শেষে বা আগামী বছরের শুরুর আগে ট্রায়ালের সবক’টি পর্যায়ে সফল কোনও টিকার বাজারে আসার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। ফাউসি আরও জানিয়েছেন, ‘যতটা প্রয়োজন, তার অর্ধেক ভ্যাকসিনও যদি আগামী বছর শেষ হওয়ার আগেই বানিয়ে ফেলা সম্ভব হয়, তা হলেও বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণ অনেকটাই রুখে দেয়া যাবে।’ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনও পর্যন্ত যেটুকু খবর তাতে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বানানো কোভিড ভ্যাকসিনই সম্ভবত অন্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের আগে বাজারে আসতে চলেছে।
এ দিকে অক্সফোর্ডের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কোভিড ভ্যাকসিন বানাচ্ছে যে সংস্থা, সেই ‘অ্যাস্ট্রোজেনেকা’র সঙ্গে সদ্য চুক্তি হয়েছে অস্ট্রেলিয়া সরকারেরও। তাই সে দেশের প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন মঙ্গলবার ঘোষণা করেছেন, ওই ভ্যাকসিন অস্ট্রেলিয়ায় বানানো হবে আর তা বিনামূল্যে দেয়া হবে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকদের। ভ্যাকসিন তৈরির দৌড়ে রয়েছে চীনা সংস্থাও। চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ওষুধ সংস্থা ‘সাইনোফার্ম’ জানিয়েছে তাদের বানানো ভ্যাকসিন এ বছরের শেষাশেষি বাজারে এসে যাবে। সংস্থার চেয়ারম্যান লিউ জিংঝেন বলেছেন, ‘ভ্যাকসিনের দাম পড়বে ১৪০ ডলারেরও কম। সেই টিকা ২৮ দিনের ব্যবধানে দু’বার দিতে হবে।’ সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।