প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহা চলতি বছরের উভয় ঈদেই টিআরপি জরিপে দর্শকপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান নিয়েছে আরটিভি। দর্শকদের পছন্দের ধারাবাহিকতা ধরে রাখা খুবই কঠিন কাজ। প্রতিযোগিতার বাজারে কি করে সেটি সম্ভব হলো? কোন কোন বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিয়ে এই সাফল্য এলো? এসব বিষয়ে কথা বলেছেন আরটিভি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক রহমান-
প্রশ্ন: পর পর দুই ঈদে আরটিভি টিআরপিতে শীর্ষে রয়েছে, এটা কি করে সম্ভব হয়েছে?
দর্শকরাই টেলিভিশনের প্রাণ। আমরা সবসময় দর্শকদের পছন্দের প্রতি যত্মশীল। তাদের ভালো লাগার বিষয়গুলো আমরা গুরুত্ব দিয়ে ভাবি। বিনোদনের পাশাপাশি মানুষকে সচেতনতার দিকগুলো আমরা যত্মের সাথে বিবেচনায় রাখি। কারণ বিশ্বায়নের ফলে দর্শক এখন অনেক সচেতন। তারা ভালো গল্প দেখতে চায়। আপনি দেখুন, দুই ঈদের টিআরপিতেই গল্পপ্রধান নাটকগুলো শীর্ষে উঠে এসেছে। ঈদুল আজহায় ব্যঞ্জণবর্ণ, আপনার ছেলে কি করে?, ভেজ নন ভেজ, বনলতা ও জোনাকির গল্প, এ নাটকগুলো দর্শকদের দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম হয়েছে। কৌতুক প্রধান গল্প থেকে দর্শকদেরকে জীবন ও বাস্তবমুখী ভালো গল্পে ফেরানোর জন্য দীর্ঘদিন ধরে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, বর্তমানে সে চেষ্টা আলোর মুখ দেখতে শুরু করেছে। এটি আমাদের জন্য এবং পুরো টিভি ইন্ডাস্ট্রির নির্মাতা, শিল্পী, দর্শক সবার জন্য অবশ্যই সুখকর।
প্রশ্নঃ একাধিক দেশি-বিদেশী চ্যানেলের মাঝে চ্যালেঞ্জটাকে কিভাবে অতিক্রম করছেন?
দেখুন, পুরো পৃথিবীটাই এখন প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। এতে ভালো-খারাপ দুটোই আছে। ভালো করার চেষ্টা সবসময় চলমান থাকে। সবাই সবাইকে ভালো কাজের মাধ্যমে অতিক্রম করতে চায়। খারাপ দিক হলো, অসম প্রতিযোগিতা। বাংলাদেশের নেটওয়ার্কে যে পরিমাণ ভারতীয় এবং বিদেশি চ্যানেল চলছে আমরা কি সে পরিমাণ তাদের নেটওয়ার্কে যেতে পারছি?, না। আমরা কেন পারছি না? তারা কেন পারছে? এর কোন সমাধান আজও হয়নি। ফলে আমরা থেকে যাচ্ছি আমাদের দেশি দর্শকদের মাঝে যেখানে বিদেশি চ্যানেলগুলো অবাধে চলছে। তারা আমাদের দর্শককে টার্গেট করে তাদের উপাদান সাজাচ্ছে। যার ফলে বিজ্ঞাপণদাতারাও ঝুঁকছে তাদের প্রতি। এই অসমতা আমাদেরকে বিরাট ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে। এটি নিয়ন্ত্রণ ও সুরাহা অপরিহার্য।
প্রশ্নঃ বিদেশী চ্যানেলের অবাধ প্রবেশ নিয়ে প্রচুর আলোচনা হয়েছে। এ থেকে উত্তরণের পথ কি?
এ বিষয়ে রাষ্ট্রকে সবার আগে সমাধানের জন্য এগিয়ে আসতে হবে। যতক্ষণ না এগিয়ে আসছে, ততক্ষণ আমাদের পক্ষ থেকে আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে। রাষ্ট্রীয় ভাবে যদি এই অসঙ্গতি নিয়ন্ত্রণ করা না হয়, তাহলে ক্রমশ আমাদের ইন্ডাস্ট্রি যেভাবে অসহায়ত্বের মাঝে পড়ে যাচ্ছে, তাতে ভবিষ্যৎ অনেকটাই আলোহীন মনে হচ্ছে। বিদেশী চ্যানেলের প্রতি দর্শক এবং বিজ্ঞাপনদাতারা একচেটিয়া ঝুঁকে পড়লে আমরা কোথায় যাবো? তবু দর্শকরাই যেহেতু টিভি চ্যানেলের প্রাণ তাই দর্শকদের চাহিদা এবং সচেতনতাকে প্রাধান্য দিয়ে আমরা লড়াইটা চালিয়ে যাচ্ছি।
প্রশ্নঃ করোনা পরিস্থিতিতেও আরটিভি তার স্বাভাবিক ধারাবাহিকতা বজায় রেখে নিউজ চ্যানেলগুলোর সাথে নিজেদের অবস্থান অটল রেখেছে, এটি কিভাবে সম্ভব হলো?
আরটিভি দর্শকদের একটি জীবনযাপনের সহযোগী চ্যানেলে পরিণত হয়েছে। আমরা সবসময় বিনোদনের পাশাপাশি সচেতনতা সৃষ্টির জন্য সমানভাবে কাজ করে যাচ্ছি। সমগ্র বিশ্বে যখন করোনার প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ে, তখন আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম, সাধারণ জনগণকে সচেতন করতে হবে। করোনা প্রতিরোধের পদ্ধতিগুলো জানাতে হবে। চিকিৎসা সম্পর্কে জানাতে হবে। তখন আমরা শুরু করলাম ‘করোনা হেল্প লাইন’, ‘এই মুহূর্তের বাংলাদেশ’ নামে সম্পূর্ণ নতুন ২টি চিকিৎসা ও পরামর্শমূলক অনুষ্ঠান। নিয়মিত অনুষ্ঠানগুলোতেও সাধারণ মানুষের সচেতনতা, চিকিৎসা ও করণীয় বিষয়কে গুরুত্ব দিতে শুরু করলাম। দর্শকের প্রয়োজনে আমরা তাদের পাশে থাকতে পরেছি বলেই দর্শকরাও আমাদের পাশে থেকেছেন। আরটিভি দেখেছেন।
প্রশ্নঃ আরটিভি নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ কর্ম পরিকল্পনা কি?
আরটিভিকে আমরা বিনোদন এবং সচেতনতার চ্যানেল হিসেবে দর্শকদের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের সে অবস্থান ধরে রাখার জন্য সময়ের সাথে সাথে অনুষ্ঠানমালায় যুগপোযোগী পরিবর্তন আনতে আমরা সচেষ্ট। মানুষের আনন্দ বেদনার সঙ্গী হিসেবে আরটিভি সবসময় দর্শকদের পাশে আছে, থাকবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।