মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইসরাইল-আরব আমিরাত শান্তি চুক্তিকে ফিলিস্তিনিদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা হিসাবে চিহ্নিত করেছে তুরস্ক। ‘প্যালেস্টাইনের পক্ষে তার সংকীর্ণ স্বার্থের জন্য বিশ্বাসঘাতকতা করার সময় সংযুক্ত আরব আমিরাত এটিকে ফিলিস্তিনের জন্য এক ধরনের আত্মত্যাগের কাজ হিসাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করছে। ইতিহাস এবং এ অঞ্চলে বাসকারী মানুষের বিবেক এ ভন্ডামিকে ভুলবে না এবং কখনও ক্ষমা করবে না’। গতকাল তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইসরায়েলের মধ্যে শান্তি চুক্তির বিষয়ে ফিলিস্তিনি জনগণ ও প্রশাসনের দৃঢ় প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করার অধিকার রয়েছে। মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, তারা ২০০২ সালে আরব লীগের অনুমোদিত আরব শান্তি উদ্যোগ একতরফাভাবে বিলুপ্ত করার আরব আমিরাতের প্রচেষ্টা সম্পর্কে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ফিলিস্তিনের পক্ষ সমর্থন করে বলে আবুধাবির দাবিকৃত চুক্তির কোনও বিশ্বাসযোগ্যতা নেই এবং গোপনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য পরিকল্পনার মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে করা চুক্তিকে তুরস্ক বাতিল ও অকার্যকর বলে বিবেচনা করে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ফিলিস্তিনি জনগণ ও প্রশাসনের পক্ষে ইসরায়েলের সাথে আলোচনা করার বা ফিলিস্তিনের জন্য সমালোচনাযোগ্য ছাড় দেওয়ার কোন অধিকার সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতৃত্বের নেই’।
বৃহস্পতিবার তুরস্কের প্রেসিডেন্টের মুখপাত্রও সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইসরায়েলের মধ্যে এ চুক্তির নিন্দা করেছেন। ‘যারা ফিলিস্তিনি জনগণ এবং তাদের দাবির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে তাদের ইতিহাস অবশ্যই পরাজিত করবে’ -ইব্রাহিম কালান টুইটারে বলেছেন।
ইসরাইল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়ে একমত হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছেন, এ চুক্তিতে ইসরাইলের তার সংযুক্তি পরিকল্পনা ‘সাময়িকভাবে’ স্থির করার অঙ্গীকার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বৃহস্পতিবার বলেছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের চুক্তি সত্তে¡ও তিনি পশ্চিম তীরের কিছু অংশ সংযুক্তকরণে ‘এখনও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’।
সংযুক্ত আরব আমিরাত তৃতীয় আরব দেশ যা ১৯৭৯ সালে মিসর এবং ১৯৯৪ সালে জর্ডানের পরে ইসরাইলের সাথে একটি শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করল। বৃহস্পতিবার ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জেরুজালেম, আল-আকসা মসজিদ এবং ফিলিস্তিনিদের সাথে চুক্তিতে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদিনা এক টেলিভিশন বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ফিলিস্তিনি নেতৃত্ব ইসরাইল ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের ঘোষণাকে তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান ও নিন্দা করছেন। এ পদক্ষেপ ফিলিস্তিনি অঞ্চলগুলোর কিছু অংশ দখল করার এবং ইসরাইলের দৃঢ়তার প্রতি জোরের আলোকে এসেছে’।
ইহুদিবাদী-ফিলিস্তিনি সঙ্ঘাত বন্ধে জানুয়ারিতে ট্রাম্প একটি তথাকথিত শান্তি পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিলেন, যদিও ইতোমধ্যে ফিলিস্তিনিরা তা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। ইসরাইয়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এ ঘোষণার জন্য হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সাথে ছিলেন, তবে কোনও ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন না। এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেছিলেন যে, জেরুজালেম ইসরাইলের ‘অবিভক্ত রাজধানী’ থাকবে।
তুরস্ক এ পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে সাথে নিয়ে গৃহীত নয় এমন কোনও পরিকল্পনা সমর্থন করবে না এবং অধিগ্রহণের নীতি অব্যাহত রাখলে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি পাওয়া যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ট্রাম্পের তথাকথিত শান্তি পরিকল্পনা ফিলিস্তিন ইস্যুতে পূর্ববর্তী মার্কিন সিদ্ধান্তগুলোকে একতরফাভাবে বাতিল করে দিয়েছে এবং ইসরাইলকে তার দাবি করা প্রায় সব কিছু দেয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
ইউরোপীয় জেনারেল অ্যাসেমবিø ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসাবে স্বীকৃতি দেয়ার মার্কিন সিদ্ধান্তকে অত্যধিকভাবে প্রত্যাখ্যান করেছিল, তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সুরক্ষা কাউন্সিলে নন-বাইন্ডিং রেজোলিউশন ভেটো দিয়েছিল। সূত্র : ডেইলি আল-সাবাহ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।