মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সমস্ত বিবাদ ভুলে বৃহস্পতিবার অশোক গহলোতের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন বিদ্রোহী নেতা সচিন পাইলট। এ দিন দুই নেতাকে হাসিমুখে একসাথে দেখা যায়। পরের দিনই সেই ঐক্যের ফল পেল কংগ্রেস। শুক্রবার রাজস্থান বিধানসভায় আস্থাভোট হতেই বিজেপিকে একপ্রকার উড়িয়ে দিয়ে জয়লাভ করল কংগ্রেস।
গত সোমবারই কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের হস্তক্ষেপে সচিন-গোহলত শান্তিচুক্তি হয়। যদিও অনেকের মতে, দুজনের মাঝে এখনও পরোক্ষভাবে বিরোধ রয়েছে। সেই সূত্রেই বুধবার কিছুটা তির্যক মন্তব্য করে অশোক গহলোত বলেছিলেন, ‘অনেক সময় গণতন্ত্র রক্ষার প্রয়োজনে ‘ফরগেট অ্যান্ড ফরগিভ’ নীতি নিতে হয়।’ তাই বিজেপির বিরুদ্ধে জিততে আবার একজোট হলেন সচিন পাইলট ও অশোক গোহলত, এটাই যেন কংগ্রেসকে বাড়তি শক্তি দিয়েছে।
শুক্রবার বিধানসভার অধিবেশন শুরুর আগেই টুইট করে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলোত লেখেন, ‘সত্যমেব জয়তে’ (সত্যের জয় হোক)। আর তারপরই আস্থাভোট হলে ২০০ আসনের বিধানসভায় ১২৫ বিধায়কের সমর্থন পায় কংগ্রেস। ধ্বনিভোটে জয় আসে কংগ্রেসের। ফলে আস্থা ভোটের পর আনন্দ ফিরল কংগ্রেস শিবিরে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বিকেলেই গহলোতের বাসভবনে গিয়েছিলেন সচিন। আর সেই দৃশ্য দেখেই কংগ্রেস কর্মীরা নিশ্চিত ছিলেন, আস্থাভোটে জেতা এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা। বাস্তবে হলও তাই। শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে রাজস্থান বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন। তার আগেই ‘ঘরে’ ফিরে আসেন সচিন পাইলট। কংগ্রেস বিধায়কদের সঙ্গে আলোচনাও করেন পাইলট এবং গহলোত। সেই মতোই বৃহস্পতিবার গহলোতের বাসভবনে মেলবন্ধনের চিত্র ফুঁটে উঠেছিল।
প্রবল রাজনৈতিক টানাপোড়েনের পর সচিন-গোহলত মুখোমুখি হয়ে বিজেপিকেই হারিয়ে দিলেন আস্থাভোটে। বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনেই গহলোত সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার কথা জানিয়ে রেখেছিল বিজেপি। যদিও সচিন আর গহলোতের পুনর্মিলনের পর দুশ্চিন্তা কেটে গিয়েছিল কংগ্রেসের। ফলে, আস্থাভোটে হেরে লজ্জায় পড়ে গিয়েছে বিজেপির। সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।