মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনা মহামারির মধ্যেই সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পুনরায় স্কুল খোলার অনুমতি দিয়েছিল ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকে দেশটিতে স্কুলগুলো চালু হয়েছে। এর মাত্র দু-সপ্তাহের মধ্যেই প্রায় ১ লাখ শিক্ষার্থী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ পেডিয়াট্রিক্সে সম্প্রতি প্রকাশিত একটি রিপোর্ট থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, স্কুল পুনরায় চালুর পর থেকে মাত্র দু’সপ্তাহের মধ্যে এক লাখের কাছাকাছি শিক্ষার্থীর কোভিড টেস্ট রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। সমীক্ষা অনুযায়ী, কোভিড আক্রান্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৯৭ হাজার ছাড়িয়েছে। জুলাইয়ের শেষ দু-সপ্তাহের মধ্যে এই ৯৭ হাজার শিক্ষার্থীর করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। স্কুলে যাতায়াতের পথেই যে সংক্রমণ, রিপোর্টে তা নিশ্চিত করে বলা হয়েছে। সমালোচনা সত্ত্বেও ট্রাম্পের নেয়া এই সিদ্ধান্ত যে অনেক বড় ভুল ছিল, এই ঘটনাতেই সেটা প্রমাণ হলো।
আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ পেডিয়াট্রিক্সের রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়, জুলাইয়ের ওই দু-সপ্তাহে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কমপক্ষে ২৫ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শিশুদের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রবণতা কম বলে যে দাবি এতদিন করা হচ্ছিল, এই সমীক্ষা রিপোর্ট তা ভুল প্রমাণ করে দিচ্ছে। মাত্র দু-সপ্তাহে যদি প্রায় এক লাখ শিশু কোভিডে সংক্রামিত হতে পারে, তা হলে স্কুল চালু রাখলে, সংখ্যাটা গিয়ে কোথায় পৌঁছবে, তা নিয়ে এরই মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। অভিভাবকেরা কি এর পরেও প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে সন্তানদের স্কুলে পাঠাবেন? ট্রাম্প প্রশাসন অবশ্য এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য এখনও পর্যন্ত করেনি। স্কুলগুলিও যে পুনরায় বন্ধ করে দেয়া হতে পারে, এমনও শোনা যাচ্ছে না।
৩০ জুলাইয়ের মধ্যে আমেরিকায় ৫০ লাখ মানুষের শরীরে করোনা ধরা পড়ে। এর মধ্যে ৩ লাখ ৩৮ হাজার শিশু। এই সময়কালের মধ্যে সেখানে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৬২ হাজার মানুষের। স্কুল থেকে শিশুদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানোয় উদ্বেগ বাড়ছে কর্তৃপক্ষের। কী ভাবে প্রাণঘাতী কোভিডের সংক্রমণ ন্যূনতমে কমিয়ে আনা যায়, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। ভান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টর টিনা হার্টার্ট জানান, শিশুদের মধ্যে কোভিড টেস্টের হার বাড়াতে হবে। তাতে ভাইরাস সংক্রমণে ছোটদের ভূমিকা নির্ধারণ সহজ হবে। সূত্র: দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।