গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
গত ২ আগস্ট রাজধানীর গুলশানের ভাটারার আল মাদরাসাতু মুঈনুল ইসলামের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের ওপর সাদপন্থী সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের বর্বরোচিত হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন শীর্ষ ওলামায়ে কেরামরা। গত ২ আগস্ট সাদ’পন্থী মিরপুরের চিহ্নিত রূপনগরের মিজান আব্দুল্লাহ মনসু, আব্দুল আহাদ, আব্দুর রাজ্জাক, হাজী রফিক, মোয়াজ বিন নূর ও নোমান বিন নূরসহ ৭০/৮০ জন সন্ত্রাসী সকালে লাঠি সোটা ও লোহার রড ছুরি নিয়ে মাদরাসা অতর্কিত হামলা চালিয়ে ২৭ জন শিক্ষক ছাত্রকে রক্তাক্ত জখম করে। আহতদের মধ্যে ৬ জন শিক্ষকের অবস্থা গুরুতর। স্থানীয় থানা পুলিশ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার না করে উল্টো মাদরাসার আহত শিক্ষক ছাত্রদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে মসজিদ মাদরাসা তালা দিয়ে বন্ধ করে রেখেছে। এতে মসজিদে আযান ও নামাজ বন্ধ রয়েছে। অবিলম্বে মসজিদ মাদরাসা খুলে দিতে হবে। আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ এ দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মাদরাসার শুরা কমিটির সভাপতি মাওলানা শাহরিয়ার মাহমুদ। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা আমানুল হক, মুফতী সেলিম উল্লাহ, মাওলানা আতাউল্লাহ, মুফতী আব্দুল্লাহ ইয়াইয়া, মুফতী আতাউর রহমান,মাওলানা হানজালা, মাওলানা মামুন, মাওলানা জোবায়ের গণি ও মাওলানা তাহের সাইদ। সংবাদ সম্মেলনে কয়েকটি দাবি জানানো হয়, তা’ হচ্ছে, ২৪ ঘন্টার মধ্যে মাদরাসার মসজিদকে আযান ও নামাজের জন্য খুলে দিতে হবে, অনতিবিলম্বে সাদপন্থী হামলাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের আওতায় আনতে হবে, আল মাদরাসাতু মুঈনুল ইসলামের সহ প্রতিষ্ঠাতা আলেমগণসহ বেফাক কাকরাইলের ওলামায়ে কেরামের অনুমোদিত কমিটির হাতে মাদরাসার দায়িত্ব হস্তান্তর করতে হবে এবং ভাটারার থানার বিতর্কিত ওসিকে অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।