মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বর্ণবৈষম্য নিয়ে উত্তপ্ত আবহের মধ্যে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে সিনেটর কমলা হ্যারিসের নাম ঘোষণা করলেন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডেন। এই প্রথম কোনও অ-শ্বেতাঙ্গ মহিলা এই পদের জন্য মনোনীত হলেন। যা মার্কিন ইতিহাসে নজিরবিহীন। কমলা প্রথম এশীয়-আমেরিকান মহিলা যাকে এই পদের জন্য মনোনীত করা হল। যদিও এই ঘোষণার পরই কমলাকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
কমলাকে সবচেয়ে ভয়ংকর মার্কিন সিনেটর হিসেবে বর্ণনা করেছেন ট্রাম্প। সরাসরি আক্রমণের পথে গিয়ে তিনি বলেন, ‘মার্কিন সেনেটে কমলা সবচেয়ে নীচ, সবচেয়ে অশ্রদ্ধার মানুষ ও সবচেয়ে ভয়ংকর।’ জো বিডেন কমলাকে বেছে নেওয়ায় তিনি তাজ্জব হয়েছিলেন বলেও জানান ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘তিনি এতটাই খারাপ কাজ করেছেন যে তার উঠে আসায় আমি সবচেয়ে বেশি অবাক হয়েছিলাম।’ ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্টে সেনেট কনফারমেশন হিয়ারিং-এর সময় ব্রেট কাভানাগের বিরুদ্ধে ওঠা যৌন অশালীনতার অভিযোগের হয়ে সওয়াল করার জন্য কমলাকে একহাত নেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়েছিল, মার্কিন সেনেটে যে কারও কাছে তিনি সবচেয়ে নীচ, সবচেয়ে ভয়ংকর মানুষ।’
ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল পদপ্রার্থী থাকাকালীন কমলার জন্য দু’ বার টাকা দান করেছেন ট্রাম্প। ২০১১ ও ২০১৩ সালে কমলার হয়ে প্রচারের জন্য ট্রাম্প খরচ করেন প্রায় ৬ হাজার মার্কিন ডলার। বিডেন কমলার নাম ঘোষণা করার পরই ট্যুইটে এই ভারতীয় বংশোদ্ভুতকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন ট্রাম্প।
কিছুদিন আগেই জর্জ ফ্লয়েডকে কেন্দ্র করে ‘ব্ল্যাক লাইভ ম্যাটারস’ আন্দোলনের সাক্ষী থেকেছে বিশ্ব। মার্কিন পুলিশের সংস্কারের দাবিতে সরব হয়েছিলেন কমলা হ্যারিসও। সেই কারণেই কমলাকে তুরুপের তাস বানিয়ে বিডেন কৃষ্ণাঙ্গ ভোট নিজের দিকে টানার চেষ্টা করছেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কমলা এর আগে ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্বে ছিলেন। ডেমোক্র্যাটরা হোয়াইট হাউস দখল করলে ৫৫ বছর বয়সি কমলাই হবেন আমেরিকার প্রথম অশ্বেতাঙ্গ ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহিলা ভাইস প্রেসিডেন্ট।
তবে, হ্যারিসকে এক জন নির্ভীক যোদ্ধা বলেও বর্ণনা করেছেন বাইডেন। হ্যারিসকে মনোনীত করার পর বাইডেন বলেন, ‘আমরা দু’জনে মিলে এ বার ট্রাম্পকে কড়া টক্কর দেব।’ বাইডেনের সহযোদ্ধা হিসেবে মনোনীত হওয়ার পর হ্যারিস টুইট করেন, ‘এই মনোনয়নের জন্য আমি গর্বিত। বাইডেন যাতে প্রেসিডেন্ট হতে পারেন তার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব।’ গত মার্চেই বাইডেন এ প্রসঙ্গে আভাস দিয়েছিলেন কোনও মহিলাকে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদের টিকিট দেবেন তিনি। সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করলেন।
এক সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়েও সামিল হয়েছিলেন কমলা। কিন্তু ডেমোক্র্যাটদের অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে জো বাইডেনের কাছে হেরে যান তিনি। বাইডেনের বিরুদ্ধে নানা বিষয় নিয়ে সিনেটে সরবও হয়েছিলেন হ্যারিস। কিন্তু নির্বাচনের আগেই সেই হ্যারিসকেই তার সঙ্গী হিসেবে মনোনীত করে সকলকে চমকে দিয়েছেন বাইডেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্ণবৈষম্য নিয়ে উত্তপ্ত আমেরিকা। তাই নির্বাচনের আগে হ্যারিসকে বেছে নিয়ে অ-শ্বেতাঙ্গ ভোটব্যাঙ্ককে নিশ্চিত করার পথ মসৃণ করলেন। তবে ইন্দো-মার্কিনীদের মধ্যে আবার একটা অংশ কমলার মনোনয়ন নিয়ে খুব একটা সন্তুষ্ট নয়। তারা ভারত-আমেরিকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে কমলার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সূত্র: সিএনএন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।