মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
এত দিনে ‘সুবিচার’ পেলেন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)-র সাবেক বিজ্ঞানী নাম্বি নারায়ণন। চরবৃত্তির ভুয়া অভিযোগ এনে তাকে ফাঁসানো হয়েছে বলে আদালতে কেরালা সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছিলেন তিনি। সেই মামলায় মঙ্গলবার তাকে দেড় কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিল রাজ্য সরকার।
কেরিয়ারের মধ্যগগনে থাকতেই নাম্বি নারায়ণণের নামের সাথে লেগে গিয়েছিল ‘দেশদ্রোহী’ তকমা। ১৯৯৪-এর নভেম্বরে ইসরো গুপ্তচর কাণ্ডে কয়েক জন বিজ্ঞানীর সঙ্গে গ্রেফতার হন নাম্বি নারায়ণন। বলা হয়, পাকিস্তানকে গোপন তথ্য পাচার করেছেন তারা। তার জন্য দু’মাস জেলও খাটেন নাম্বি নারায়ণ। পরে কেরালা পুলিশের হাত থেকে মামলা সিবিআইয়ের হাতে গেলে মুক্তি পান তারা। সিবিআই জানিয়ে দেয়, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের কোনও সারবত্তা নেই।
সেই বদনাম কাটিয়ে উঠতে দু’দশকেরও বেশি সময় লেগে গিয়েছিল। ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্টে চরবৃত্তির অভিযোগ থেকে রেহাই পান ৭৯ বছরের নাম্বি নারায়ণন। ভুয়া অভিযোগ এনে তাকে কালিমালিপ্ত করা হয়েছিল বলে মেনে নেয় শীর্ষ আদালতও। সেইসময়ই ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫০ লাখ টাকা পান নাম্বি নারায়ণন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সুপারিশে আরও ১০ লাখ টাকা দেয়া হয় তাকে। কিন্তু সারাজীবন ধরে যে বদনাম বয়ে বেড়িয়েছেন নাম্বি নারায়ণ, তার জন্য এই টাকা যথেষ্ট নয় বলে জানিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। বলা হয়, চাইলে নিম্ন আদালতে আরও ক্ষতিপূরণের দাবি জানাতে পারেন তিনি।
সেই মতো তিরুঅনন্তপুরমের দায়রা আদালতের দ্বারস্থ হন নাম্বি নারায়ণন। তার সঙ্গে সমঝোতায় আসতে প্রাক্তন মুখ্যসচিব কে জয়কুমারকে দায়িত্ব দেয় কেরালা সরকার। নাম্বি নারায়ণনের সঙ্গে কথাবার্তা চালিয়ে আদালতে নির্দিষ্ট অঙ্কের ক্ষতিপূরণের সুপারিশ করেন তিনি। তার পরেই ক্ষতিপূরণ বাবদ দেড় কোটি টাকার চেক পৌঁছে যায় নাম্বি নারায়ণনের কাছে। চেক হাতে পেয়ে তিনি বলেন, ‘আমি খুশি। তবে শুধুমাত্র টাকার জন্য লড়াই করিনি আমি। বরং অন্যায় এবং অবিচারের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে গিয়েছি।’ তার দাবি, ইসরো চর-কাণ্ড আসলে একটি আন্তর্জাতিক ছক। যা ভারতে রকেটে তরল জ্বালানি ব্যবহারের প্রযুক্তিকে ১৫ বছর পিছিয়ে দেয়। সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।