নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
মৌখিক অনুমতি মিলেছিল আগেই। তার প্রেক্ষিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে আইপিএল আয়োজনে প্রস্তুত থাকতে জানিয়েও দিয়েছিল বিসিসিআই। এবার সেটিই এলো কাগজে-কলমে। ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের লিখিত অনুমতি পেয়েছে দেশটির ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড। গতকালই বিষয়টি পিটিআইকে নিশ্চিত করেছেন আইপিএল চেয়ারম্যান ব্রিজেশ প্যাটেল।
করোনাভাইরাসের কারণে এবারের আইপিএল হতে যাচ্ছে আমিরাতের তিনটি শহর শারজাহ, আবু ধাবি ও দুবাইয়ে। প্রায় দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা এই আসর আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে শেষ হবে ১০ নভেম্বর। মহামারির প্রভাব না থাকায় সব ধরণের প্রস্তুতিও এরই মধ্যে নিয়ে রেখেছে আয়োজনের স্বত্ত্ব পাওয়া মরুর দেশটি। সরকারের চূড়ান্ত অনুমতি পাওয়া সম্পর্কে প্যাটেল বলেন, ‘হ্যাঁ, আমিরাতে আইপিএল আয়োজনের জন্য ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে আমরা লিখিত অনুমতি পেয়ে গেছি।’ এরই মধ্যে দলগুলোকে দেশ ছাড়ার জন্য নির্ধারিত সময়ও বেধে দিয়েছে গভর্নিং কাউন্সিল। বেশির ভাগই সম্মত হয়েছে ২০ আগস্টের পর দেশ ছাড়তে। তার ২৪ ঘন্টা আগে আবশ্যকীয়ভাবে দুটি কোভি-১৯ পরীক্ষা করাতে হবে ক্রিকেটার ও স্টাফদের।
তবে একটি জায়গায় এখনও ঝুলে আছে আইপিএলের কার্যক্রম। আসর থেকে সরে গেছে চীনা মোবাইল কোম্পানি ভিভো। তাই বাধ্য হয়ে এই বছরের জন্য নতুন টাইটেল স্পন্সর খুঁজছে ভারতের ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই। আগামী ১৮ আগস্টের মধ্যেই চূড়ান্ত হতে পারে নতুন কোনো নাম। এমন সময়ে বেশ আটঘাট বেঁধে নেমেছে ভারতের যোগব্যায়াম গুরু বাবা রামদেবের আয়ুর্বেদ প্রতিষ্ঠান পতঞ্জলি। তারা চাইছে এবারের আইপিএলের আগে পতঞ্জলির নামটি বসুক।
এতদিন আইপিএলের টাইটেল স্পন্সর হিসেবে ভিভোর নামটিই জড়িয়েছিল। কিন্তু চীনের সঙ্গে সীমান্তে সংঘর্ষের পর থেকে প্রতিষ্ঠানটির ওপর ভারতের জনরোষ চরমে ছিল। এর পর থেকে বড় বড় কিছু প্রতিষ্ঠান টাইটেল স্পন্সর হতে আগ্রহ দেখায় বিসিসিআইয়ের কাছে। যেমন রয়েছে- বাইজুস, কোকাকোলা ও অ্যামাজন। তাদের সঙ্গে রয়েছে পতঞ্জলিও। যাকে বলা হয় ভারতের অন্যতম দ্রুতবর্ধনশীল এফএমসিজি পণ্য।
মূলত বৈশ্বিক বাজারে পণ্যটিকে জায়গা করে দিতেই আইপিএলকে মঞ্চ বানাতে চায় পতঞ্জলি। প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র এসকে তিজারাওয়ালা ইকোনমিক টাইমসকে বলেছেন, ‘আমরা এ বছরের আইপিএলে টাইটেল স্পন্সরশিপ পাওয়ার চেষ্টা করছি। যাতে পতঞ্জিলকে বৈশ্বিক বাজারে একটা ব্র্যান্ড হিসেবে তৈরি করা যায়।’
অবশ্য এমন সংবাদ প্রচারের পর থেকে সেটি খুব আলোড়ন তুলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিষয়টিকে নানাভাবে হাস্যরস করে উপস্থাপন করছেন ভারতীয়রা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।