Inqilab Logo

রোববার ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১, ৩০ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

বৈরুত বিস্ফোরণের পর চেন্নাই থেকে সরানো হচ্ছে ৬৯০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ আগস্ট, ২০২০, ৪:০৬ পিএম

বৈরুত বিস্ফোরণ থেকে শিক্ষা নিয়ে অবশেষে ভারতের চেন্নাই বন্দরে মজুত থাকা ৬৯০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট অবশেষে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। নিলাম হওয়ার পর এগুলোকে ক্রমান্বয়ে হায়দারাবাদে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। চেন্নাই শহরের খুব কাছেই মজুত করে রাখা ছিল ৬৯৭ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট। কিন্তু বৈরুতের ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর এই মজুত রাসায়নিক রাখার ঝুঁকি নিতে চাইছে না প্রশাসন। সেই কারণে তড়িঘড়ি সরানো হল এই অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট।
এই বিপুল পরিমাণ মজুত রাসায়নিকের অনলাইনে নিলাম হয়। নিলামের পরে ৬৯৭ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট হায়দরাবাদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। চেন্নাইয়ের কাছে ফ্রেইট স্টেশনে কয়েকটি কার্গোতে রাখা ছিল এই বিপুল পরিমাণ অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট। এর মধ্যে কয়েকটি কার্গো ইতিমধ্যেই হায়দরাবাদের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গিয়েছে। বাকি কার্গোগুলিও শিগগিরই চেন্নাই ছাড়বে।
২০১৫ সালে কাস্টম আইন ১৯৬২ অনুযায়ী আটক করা হয় ৬৯৭ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট। এই অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট আতশবাজি ও রাসায়নিক সার তৈরিতে কাজে লাগে। চেন্নাই থেকে ২০ কিলোমিটার দূরের ফ্রেইট স্টেশনে সেই সময় থেকেই রাখা ছিল এগুলো। এই ফ্রেইট স্টেশনের কাছাকাছি কোনও জনবসতি নেই। তামিলনাড়ুর এক আমদানিকারী দক্ষিণ কোরিয়া থেকে এই অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বেআইনিভাবে আমদানি করেছিলেন। এটি বিস্ফোরক গ্রেডের হলেও একে সারদ্রব্য গ্রেডের বলে দাবি করেছিলেন তিনি। সম্প্রতি বৈরুত বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণের জন্য সেখানে মজুত থাকা অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটকে দায়ী করা হচ্ছে। আর সে ঘটনার পর চেন্নাইয়ে মজুত থাকা সে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট নিয়ে উৎকণ্ঠা তৈরি হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ