নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে বার্সেলোনার বিপক্ষে জিততে আত্মবিশ্বাসী বায়ার্ন মিউনিখ। বলা যায় জাদুকরী ছন্দেই আছেন রবার্ত লেভানদোভস্কি, সঙ্গে দারুণ ছন্দে তার দল বায়ার্ন মিউনিখও। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আরও একটি বড় জয় পেয়েছে দলটি। আগের দিন দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে চেলসিকে উড়িয়ে দিয়ে শেষ আটে নাম লেখায় বায়ার্ন। তবে সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ লিওনেল মেসির দল বার্সেলোনা। প্রতিপক্ষ বার্সার মতো শক্ত দল হলেও সে বাধাও সহজে টপকে যেতে আত্মবিশ্বাসী বায়ার্ন। তাই তো বার্সার বিপক্ষে জয়ের প্রত্যাশা করে বায়ার্নের সেরা ডিফেন্ডার দাভিদ আলাবা বলেন,‘প্রত্যাশা প্রচুর। দারুণ কিছু ভালো খেলোয়াড় নিয়ে বার্সেলোনার একটি দুর্দান্ত দল রয়েছে, তবে আপনি যদি গত কয়েক সপ্তাহের দিকে তাকান তাহলে আমরা অনেক আত্মবিশ্বাসের সাথে পর্তুগালে উড়ে যেতে পারি। আমরা সন্তুষ্ট হতে পারি। একমাসের মধ্যে এটাই আমাদের প্রথম খেলা এবং ছন্দ রাখা সহজ নয়। আমরা গত দুই সপ্তাহ ধরে এর জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি এবং আপনি ফলাফল দেখতে পাচ্ছেন।’
প্রথম লেগে ৩-০ গোলের জয় নিয়ে চেলসির মাঠ থেকে ফিরেছিল বায়ার্ন। এবার ঘরের মাঠে তাদের ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত করে দলটি। সবমিলিয়ে ৭-১ ব্যবধানে জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে নাম লেখায় তারা। ম্যাচে দু’টি গোল করেন লেভানদোভস্কি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এটা তার ১২ ও ১৩তম গোল। আর চারটি গোল করতে পারলে ছুঁয়ে ফেলবেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর এক মৌসুমে করা সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড।
তবে কোনো রেকর্ড গড়ার লক্ষ্য নয়, আপাতত বার্সেলোনার বিপক্ষে জয়ই একমাত্র লক্ষ্য বলে জানান বায়ার্নের পোলিশ তারকা লেভানদোভস্কি। তার কথায়, ‘এটা আমার লক্ষ্য নয়। নক-আউট পর্বে আমাদের আরও কিছু ম্যাচ রয়েছে। দলের পক্ষে আমি গোল করে স্কোর করতে পারায় দারুণ খুশী। বার্সেলোনার মতো দারুণ একটি দলের সঙ্গে জিততে হলে আমাদের ভালো পারফর্ম করতে হবে এবং নিজেদের জাত প্রকাশ করতে হবে। এটা দুই দলের জন্যই বড় ম্যাচ।’
এদিন ম্যাচের দশম মিনিটেই গোল পেয়ে যায় বায়ার্ন। স্পটকিক থেকে গোল পান লেভানদোভস্কি। ডি-বক্সে তাকে গোলরক্ষক উইলি কাবাইয়েরো ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পটকিক দারুণভাবেই নেন লেভানদোভস্কি (১-০)।
২৪ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ইভান পেরিসিচ (২-০)। ৪৪ মিনিটে ব্যবধান কমায় চেলসি। গোল করেন দলের তরুণ ফরোয়ার্ড টমি আব্রাহাম (১-২)। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে আরও দুটি গোল হজম করে চেলসি। ৭৬ মিনিটে তোলিসো (৩-১) এবং ৮৩ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন লেভানদোভস্কি (৪-১)।
আর দলের এমন জয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত বায়ার্ন হ্যান্সি ফ্লিক, ‘আমরা যেভাবে ৯০ মিনিটে খেলেছি তাতে আমি দারুণ খুশী। প্রথম ৩০ মিনিটেই আমরা চেলসিকে স্তব্ধ করে দিয়েছি।’ ১৪ আগস্ট কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হবে বায়ার্ন-বার্সেলোনা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।