নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
কাতার বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে ‘ই’ গ্রুপের বাকি চার ম্যাচকে সামনে রেখে তিনদিন আগে শুরু হয়েছে জাতীয় ফুটবল দলের প্রস্তুতি ক্যাম্প। ক্যাম্পে যোগ দেয়ার আগে জাতীয় দলের প্রাথমিক স্কোয়াডের খেলোয়াড়দের করোনাভাইরাস পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয়েছে। পরীক্ষার ফলাফলে প্রমাণ মিলে করোনার ছোবলে বিপর্যস্ত জাতীয় দলের প্রাথমিক স্কোয়াড। প্রস্তুতি শুরুর প্রথম দুই দিন ৫ ও ৬ আগস্ট যে ২৪ ফুটবলারের ক্যাম্পে ওঠার কথা ছিল তাদের মধ্যে ১১ জনই প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। তাদের বাদ দিয়ে ১৩ ফুটবলার এবং দুই স্থানীয় সহকারী কোচ এবং ফিজিওসহ ২২ জন উঠেছিলেন গাজীপুরস্থ সারা রিসোর্টের ক্যাম্পে। তবে জাতীয় দলের জন্য নতুন দু:সংবাদ হলো- প্রথম দিন ক্যাম্পে ওঠা ৮ ফুটবলারের মধ্যে ৭ জনের দেহেই করোনা ভাইরাস আছে বলে জানা গেছে। এ নিয়ে প্রথম দুই দিনের ২৪ ফুটবলারের মধ্যে ১৮ জনেরই করোনা পজিটিভ হলো।
জানা গেছে, বাফুফে যে খেলোয়াড়দের করোনা পরীক্ষা করিয়েছিল তাদের মধ্যে যাদের রিপোর্ট পজিটিভ তাদের নামগুলো হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছিল। বাকিরা নেগেটিভ ধরেই তাদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে গাজীপুরের সারা রিসোর্টে। কিন্তু বাফুফে শুক্রবার জানতে পারে প্রথম দিন ক্যাম্পে ওঠা ৮ ফুটবলারের মধ্যে ৭ জনেরই করোনা পজিটিভ।
ক্যাম্পে ওঠার পর যে ৭ জনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ জানতে পেরেছে বাফুফে তারা হলেন- ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, মানিক হোসেন মোল্লা, মনজুরুর রহমান মানিক, মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, ইয়াসিন আরাফাত, বিপলু আহমেদ ও মাহবুবুর রহমান সুফিল। প্রথম দিনে ক্যাম্পে ওঠা কেবল পাপ্পু হোসেন থাকলেন করোনামুক্ত।
জাতীয় দলের ফুটবলারদের মধ্যে করোনা আক্রান্তের হার ৭৫ শতাংশ। এই হার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে) ভাবিয়ে তুললেও আতঙ্কিত নন কোচ জেমি ডে। প্রাথমিক স্কোয়াডের ৩৬ ফুটবলারের মধ্যে তিনজনকে ক্যাম্পে যোগ দিতে দেয়নি তাদের ক্লাব বসুন্ধরা কিংস। এছাড়া অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া এবং দলে নতুন ডাক পাওয়া ফিনল্যান্ড প্রবাসী ডিফেন্ডার তারিক রায়হান কাজী ইউরোপ থেকে আসতে পারছেন না ফ্লাইট সমস্যার কারণে। এই পাঁচজন ছাড়া কোচ জেমি ডে’র হাতে এখন রয়েছেন ৩১ জন ফুটবলার। এই সংখ্যার মধ্যে ২৪ জন রিপোর্ট করেছেন ঠিকই কিন্তু ১৮ জন ইতোমধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
শনিবার রিপোর্ট করবেন দলের সাত সিনিয়র খেলোয়াড়। এদিনই জানা যাবে তাদের ভাগ্যে কি আছে? কারণ ক্যাম্পে ওঠার আগেই করোনা পরীক্ষা দিতে হবে তাদেরকে। এই সাত সিনিয়র খেলোয়াড় হলেন- তৌহিদুল আলম সবুজ, মামুনুল ইসলাম মামুন, তপু বর্মন, আশরাফুল ইসলাম রানা, রায়হান হাসান, নাবিব নেওয়াজ জীবন ও ইয়াসিন খান। এদের পরীক্ষার পর জানা যাবে ৩১ ফুটবলারের মধ্যে শেষ পর্যন্ত কতজন উঠতে পারছেন ক্যাম্পে। এদের মধ্যে যদি কারো করোনা পজিটিভ হয় তাহলে জেমির দুশ্চিন্তা বা আতঙ্ক বাড়ার কথা। কিন্তু কোচ এখনই বিষয়টি নিয়ে আতঙ্কিত হচ্ছেন না।
এ প্রসঙ্গে শুক্রবার লন্ডন থেকে জেমি বলেন,‘আসলে আমি এমনটি আঁচ করেছিলাম। কারণ বাংলাদেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ভালো নয়। অবশ্যই এটা খারাপ খবর। তবে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ দেখছি না আমি। কারণ আমাদের হাতে যথেষ্ট সময় আছে। এর মধ্যে অনেকে করোনাভাইরাসমুক্ত হয়ে ফিরবে বলেই বিশ্বাস আমার। ভালো দিক হলো করোনা পজিটিভ হলেও কারও মধ্যেই করোনার উপসর্গ নেই।’ তিনি যোগ করেন,‘প্রথম ম্যাচ থেকে আমরা এখনো ১০ সপ্তাহ দূরে। আমাদের জন্য ৬ সপ্তাহ প্রয়োজন হবে খেলোয়াড়দের ফিট করতে। তাই আগামী এক/দুই সপ্তাহের মধ্যে খেলোয়াড়রা সুস্থ হয়ে ফিরতে পারবে ক্যাম্পে।’
দলের জন্য নতুন কিছু খেলোয়াড় ডাকবেন কি না? এমন প্রশ্নে জেমি’র উত্তর, ‘দরকার হবে না। কারণ কাউকে ডাকলে তাদেরও একই অবস্থা হতে পারে। তাছাড়া আমি খুবই আশাবাদী যে, পজিটিভ হওয়া ফুটবলাররা তাড়াতাড়ি সেরে উঠবে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার উপর গুরুত্ব দিতে হবে।’
এখন পর্যন্ত যাদের করোনা পজিটিভ :
বিশ্বনাথ ঘোষ, নাজমুল ইসলাম রাসেল, সুমন রেজা, ম্যাথিউস বাবলু, রবিউল হাসান, আনিসুর রহমান জিকু, শহিদুল আলম সোহেল, সোহেল রানা, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, সুশান্ত ত্রিপুরা, টুটুল হোসেন বাদশা, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, মানিক হোসেন মোল্লা, মনজুরুর রহমান মানিক, মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, ইয়াসিন আরাফাত, বিপলু আহমেদ ও মাহবুবুর রহমান সুফিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।