Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পদত্যাগ করেছেন কাশ্মীরের গভর্নর

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ আগস্ট, ২০২০, ১২:০২ এএম

ভারত অধিকৃত জম্মু কাশ্মীরে ৩৭০ ধারার আওতায় বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার ও রাজ্যকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখে বিভক্ত করার এক বছর ঘুরতে না ঘুরতেই পদত্যাগ করলেন উপত্যকার প্রথম লেফটেন্যান্ট গভর্নর গিরীশ চন্দ্র মুর্মু। গিরীশচন্দ্র মুর্মু ছিলেন ১৯৮৫ সালের গুজরাট ক্যাডারের আইএএস অফিসার। নরেন্দ্র মোদী গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি সে রাজ্যের প্রধান সচিব ছিলেন। খবর এনডিটিভি, হিন্দুস্তান টাইমসের। স¤প্রতি একাধিক বিষয় নিয়ে জম্মু-কাশ্মীরের প্রথম উপরাজ্যপাল গিরিশ চন্দ্রের সঙ্গে কেন্দ্রের বনিবনা হচ্ছিল না। ২০১৮ সাল থেকে জম্মু-কাশ্মীরে ভোট থমকে আছে। রাজ্যের মর্যাদা হারানোর পরে সেখানে প্রথম বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে বর্ষীয়ান এই প্রাক্তন আইএএস অফিসারের সঙ্গে বনাবনি হচ্ছিল না কেন্দ্রের সঙ্গে। আসন পুনর্বিন্যাস না হওয়া পর্যন্ত বিধানসভা ভোট স্থগিত রাখার পক্ষে ছিলেন গিরিশ চন্দ্র মুর্মু। ভোটের দিনক্ষণ নিয়ে তার বিভিন্ন মন্তব্যেও প্রকাশ্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল নির্বাচন কমিশনও। তা ছাড়া কাশ্মীরে ফোরজি মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা নিয়েও গিরিশ চন্দ্রের নেতৃত্বাধীন জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনের সঙ্গে নয়াদিল্লির মতের মিল হচ্ছিল না। নিরাপত্তার কারণে কেন্দ্র বিষয়টি নিয়ে ধীরে চলার পক্ষে থাকলেও হাইস্পিড ইন্টারনেট পরিষেবা চালুর পক্ষে মত দেন জম্মু-কাশ্মীরের উপরাজ্যপাল। যা নিয়ে গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছিল। এই সমস্ত কারণে কেন্দ্রের রোষে ৩৭০ ধারা বাতিলের বর্ষপ‚র্তির দিনেই জম্মু-কাশ্মীরের প্রথম উপরাজ্যপালের ইস্তফার ঘটনা বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের অভিমত। তাৎপর্যপ‚র্ণভাবে গত বছর যে দিনে ৩৭০ ধারার বিলোপ হয়েছিল ঠিক সেই দিনই পদত্যাগ করলেন জিসি মুর্মু। গত বছর নভেম্বরে ছিল জিসি মুর্মুর অবসর। কিন্তু তার আগেই অক্টোবরে দুই কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট জেনারেল করা হয় তাঁকে। বুধবারই শ্রীনগর ছেড়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার দিল্লি পৌঁছনোর কথা রয়েছে তার। প্রসঙ্গত, এক সপ্তাহ আগে সংবাদমাধ্যমকে জানান জিসি মুর্মুর মন্তব্য নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল নির্বাচন কমিশন। তাঁদের বক্তব্য বিধানসভা নির্বাচনের আগে এমন মন্তব্য করা উচিত হয়নি তার। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে মুর্মু বলেছিলেন, “অনির্দিষ্টকালের জন্য জম্মু-কাশ্মীরে প্রেসিডেন্টের শাসন চলতে পারে না। নির্বাচন কিন্তু খুব বেশি দ‚রে নয়।” এদিকে সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিক স‚ত্রের খবরে জানা গেছে, লেফটেন্যান্ট গভর্নর একটি সাংবিধানিক পদ। বেশি দিন এই পদ ফাঁকা রাখা যায় না। দ্রæত কাউকে নিয়োগ না করলে সাংবিধানিক সংকট দেখা দিতে পারে। সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই জম্মু-কাশ্মীরের নতুন লেফটেন্যান্ট গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে মনোজ সিনহার হাতে। মনোজ সিনহার রাজনৈতিক পরিচয় প‚র্ব উত্তর প্রদেশের গাজিপুর আসন থেকে তিনবার লোকসভায় নির্বাচিত হয়েছিলেন মনোজ সিনহা। তবে ২০১৯-এর নির্বাচনে বহুজন সবাজ পার্টির আফজল আনসারির কাছে পরাজিত হন। এছাড়াও তিনি রেলমন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে কাজ করেছেন। গিরিশচন্দ্র মুর্মুর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোবিন্দ। জল্পনা তৈরি হয়েছে, গিরিশচন্দ্র মুর্মু দেশের পরবর্তী কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল হতে পারেন। সেই পদে থাকা রাজীব মেহরিশির কার্যকালের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৭ আগস্ট। এনডিটিভি, হিন্দুস্তান টাইমস।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কাশ্মীর


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ