পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
করোনার সংকটকালে গণপরিবহনের জন্য জারিকৃত নতুন প্রজ্ঞাপনের নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে রীতিমত স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ করে প্রতিনিয়ত মাত্রাতিরিক্ত যাত্রী বহন করে বিভিন্ন রুটের বাস চলাচল করছে। প্রজ্ঞাপনে (কভিড-১৯) বলা হয়েছে, একজন যাত্রীকে বাসের দুইটি আসনের একটি আসনে বসিয়ে অপর আসনটি অবশ্যই ফাঁকা রাখতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি অনুসারে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। কোনোভাবেই সংশ্লিষ্ট মোটরযানের রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটে উল্লেখিত মোট আসন সংখ্যার অর্ধেকের বেশি যাত্রী বহন করা যাবে না এবং দাঁড়িয়ে কোনো যাত্রী বহন করা যাবে না। প্রজ্ঞাপন অনুসারে অনুমোদিত ভাড়ার হার ৬০ শতাংশ বেশি নির্ধারিত হলেও বাসগুলো বেশিরভাগ সময়ই যাত্রীদের প্রতি জোড়া সিটে একজনের পরিবর্তে উল্টো দুই দুজন করে বসিয়ে ৮০ শতাংশের বেশি বাস ভাড়া আদায় করে নিচ্ছে। বাসের চালক-কন্ডাক্টর এবং যাত্রীদের মধ্যেও সামাজিক দূরত্বসহ স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যাচ্ছে না। গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে এ যাবৎকালে গণমাধ্যমে অনেক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, যা সরকারি নির্দেশনা ও সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ এর সু¯পষ্ট লঙ্ঘন এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, এরকম সংকটপূর্ণ সময়ে, বাসে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কিনা, তা দেখার জন্য কোনো বিশেস তদারকি কমিটি করা হয়নি। অথচ এই মুহূর্তে করোনাভাইরাসের বিস্তর রোধে ‘সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে’র বিশেষ কমিটি গঠন ও যথাযথ মনিটরিং এবং প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে আরো বেশি দায়িত্বশীল ভ‚মিকা পালন করা উচিৎ। এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, এই অব্যবস্থাপনা আর অসচেতনার কারণে আমরা কি করোনার নতুন বিস্তারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি?
শিক্ষার্থী, মার্কেটিং বিভাগ, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।