মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের অনুরোধে সাড়া দিয়ে সেনা প্রত্যাহার করাতো দূরের কথা, উল্টো প্যাংগং, ডেসপাংয়ের পর এবার অরুনাচল প্রদেশেও সেনাসমাবেশ করে শক্তি বাড়াচ্ছে লালফৌজ। সাম্প্রতিক উপগ্রহ চিত্র থেকে এই তথ্য জানা গেছে বলে দাবি ভারতের।
ছবিতে দেখা গেছে, প্যাংগং লেকে অতিরিক্ত নৌকো এনেছে লালফৌজ। চীনাসেনার থাকার জন্য নতুন নির্মাণকাজও হয়েছে। লালফৌজের একাধিক তাঁবু, নতুন করে কাটা পরিখাও উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে। সর্বশেষ ২৯ জুলাইয়ের যে স্যাটেলাইট চিত্র, তা বিশ্লেষণ করে সর্বভারতীয় একটি ইংরেজি সংবাদমাধ্যম দাবি করে, চীনের পিপল’স লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) গ্রাউন্ড ফোর্সেস নেভাল উইংয়ের ১৩টি নৌকো ফিঙ্গার ৫ এবং ফিঙ্গার ৬-এ দেখা যেতে পারে। এর মধ্যে ফিঙ্গার পাঁচে তিনটি এবং ফিঙ্গার ছয়ে ১০টি নৌকো। এক একটি নৌকোয় কমপক্ষে ১০ জন করে সেনা রয়েছে। অর্থাৎ, ১৩টি নৌকোয় চিনের এলিট ফোর্সের কমপক্ষে ১৩০ জন সেনা মোতায়েন রয়েছে। জায়গাটি ভারতের নিয়ন্ত্রণে থাকা ফিঙ্গার চারের খুব কাছেই।
২৯ জুলাইয়ের উপগ্রহ চিত্রে পিএলএ’র স্থলবাহিনীর গড়ে তোলা নৌঘাঁটি স্পষ্ট ভাবে ধরা পড়েছে। চীনাসেনা যে প্যাংগং লেকে শক্তি বাড়িয়েছে, এই ছবি দেখার পর তা অস্বীকারের উপায় নেই। কারণ, এর আগে ১৫ জুনের যে উপগ্রহ চিত্র পাওয়া গিয়েছিল, তাতে ফিঙ্গার ছয়ে পিএলএ’র আটটি নৌকো ধরা পড়ে। সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে, প্যাংগং লেকে চীনের এই অতিরিক্ত নৌকার উপস্থিতি ভারতের জন্য উদ্বেগজনক।
লাদাখের অভিযানের দায়িত্বে থাকা উত্তর সেনাবাহিনীর সাবেক কম্যান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ডিএস হুদা বলেন, ‘প্যাংগং লেকের ফিঙ্গার ৫ ও ৬-এ চিনাসেনার আগে কোনও জেটি ছিল না। ফিঙ্গার আটের বাইরে লালফৌজ জেটি ব্যবহার করত। কিন্তু, বর্তমানে ফিঙ্গার ৪ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্থায়ী ভাবে উপস্থিতি বাড়াচ্ছে লালফৌজ। তিনি জানান, ফিঙ্গার পাঁচে তিনটে ভাসমান অস্থায়ী জেটি চোখে পড়েছে। ওই তিনটি জেটিতে কমপক্ষে ৬টি নৌকো নোঙর করা যেতে পারে।’
২৯ জুলাইয়ের উপগ্রহ চিত্র অনুযায়ী, ফিঙ্গার পাঁচে অন্তত ৪০টি কুঁড়েঘরের মতো বানিয়ে রাখা আছে। এ ছাড়া ১৫টি তাঁবুও সেখানে খাটানো হয়েছে। এর বাইরেও অতিরিক্ত আরও চারটি তাঁবু সেখানে রয়েছে। ধারণা, নৌকোয় থাকা চিনাসেনাদের জন্যই ওই তাঁবু।
সেনাদের রাখার জন্য এক-একটি কুঁড়েঘর বা চালাঘর এমন ভাবে তৈরি হয়েছে, যাতে প্রচণ্ড শীতেও না সমস্যায় পড়তে হয়। এই এক-একটি ঘরে কমপক্ষে ১২ জন করে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। ফলে, এই ঘর হিসেব করলেই আন্দাজ পাওয়া যায় কমপক্ষে ৪৮০ জন সেনা সেখানে মোতায়েন রয়েছে। তার পর, নৌকোয় ও তাঁবুতে থাকা সেনাদের হিসেবে ধরলে, সৈন্যসমাহার অনেকটাই বাড়িয়েছে পিএলএ।
লাদাখে প্যাংগং লেকের ধারে আটটি পরপর সরু সরু অঞ্চল রয়েছে। এগুলি ফিংগার এলাকা নামে পরিচিত। তার মধ্যে ফিংগার ৪ অঞ্চলে লালফৌজের সঙ্গে সংঘাত বেধেছিল ভারতীয় সেনাদের।
ফিংগার রিজিয়নের আটটি ফিংগার ভারতের অন্তর্গত বলে বরাবরই দাবি করে এসেছে নয়াদিল্লি। এই আট ফিংগার যেখানে শেষ হচ্ছে, সেখানেই ভারত-চিন সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ রেখা। তবে এই বিষয়ে চীনের দাবি কিছুটা আলাদা। চীনের মতে, চার নম্বর ফিংগার পর্যন্ত ভারতের এলাকা এবং বাকি চারটি ফিংগার চীন সীমান্তের মধ্যে পড়ছে। সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।