মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
গরুর গোসত আছে এই সন্দেহে ভারতে আবারও এক যুবককে নির্মমভাবে মারধন করেছে উগ্রবাদী হিন্দু বিজিপি কর্মীরা। ইতোমধ্যে লোকমানকে হাতুড়িপেটার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল।
প্রায় কয়েক কিলোমিটার ধাওয়া করা হলো যুবক লোকমানকে। এরপর গাড়ি থেকে নামিয়ে তাকে নির্দয়ভাবে পেটাতে থাকে কয়েকজন গো-রক্ষক। চলে লাথি, কিল-ঘুষিও। গোটা ঘটনাটা কাছে দাঁড়িয়ে দেখল পুলিশ।
শুক্রবার সকাল ৯টায় ভারতের দিল্লির কাছে গুরগাঁওয়ে নির্মম এই ঘটনা ঘটে। লোকমানকে হাতুড়িপেটার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই সময় জানায়, ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলে পুলিশ কিছুই বলেনি! বরং চারপাশে কৌতূহলী যে ভিড় ততক্ষণে জমে গিয়েছিল ‘মজা’ দেখতে, তাতে মিশে নীরব দর্শক হয়ে থেকে গেল।
জানা গেছে, গরুর মাংস বহন করছে সন্দেহে কয়েকজন গো-রক্ষক একটি পিক-আপ ট্রাককে ধাওয়া করে। প্রায় আট কিলোমিটার পিছু নিয়ে ওই পিক-আপকে শেষ পর্যন্ত থামাতে বাধ্য করে তারা।
এরপর টেনেহিঁচড়ে নামায় পিক-আপের চালক লোকমানকে। কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে, গরুর মাংস পাচারকারী সন্দেহে নৃশংসভাবে তারা মারতে থাকে তাকে।
এ যেন ২০১৫ সালের দাদরি গণপিটুনিরই পুনরাবৃত্তি। ওই ঘটনাও ঘটেছিল দিল্লিরই অদূরে নয়ডায়।
এই সময়ের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বলা ভালো পুলিশ উপভোগ করেছে ওই গণপিটুনি। ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর, সেই পুলিশকেই দেখা গেল অতি তৎপর হয়ে মাংসের নমুনা ল্যাব টেস্টে পাঠাতে- গরু না মহিষের মাংস সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে। দাদরির ক্ষেত্রেও অবিকল তাই ঘটেছিল।
নৃশংস এ ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরেও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। এমকি ভিডিওতে অভিযুক্তদের মুখ ঘুরে বেড়ালেও, গুরগাঁও পুলিশ এতে গা করছে না।
জানা গেছে, এভাবে নৃশংস কায়দা পিটুনির পরও গো-রক্ষকরা ক্ষান্ত হননি। ভিড় এড়াতে ওই অবস্থায় লোকমানকে পিক-আপ ট্রাকে তুলে গুরগাঁওয়ের বাদশাহপুর গ্রামে নিয়ে যায়। সেখানে আবার দ্বিতীয় দফায় তাকে পিটিয়ে আধমরা করা হয়।
পরে লোকমানকে হাসপাতালে ভর্তি করে, অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের নামে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
ওই পিক-আপের মালিক পুলিশকে জানিয়েছে, গাড়িতে গো-মাংস নয়, মহিষের মাংস ছিল। বিগত ৫০ বছর ধরে তিনি এই ব্যবসা করে আসছেন।
গুরগাঁও পুলিশ তাদের এই নিস্পৃহতা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই স্বঘোষিত গো-রক্ষকরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই গণপিটুনির শিকার হয়েছেন মুসলিমরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।