Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত নয় ভারতের রাফাল!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ জুলাই, ২০২০, ৩:৫৭ পিএম

২০১৬ সালে ভারত পুরনো রুশ মিগ যুদ্ধবিমান বাতিল করে দেশটির বিমানবাহিনীর আধুনিকায়নের জন্য ৩৬টি রাফাল বিমান কেনার জন্য ফ্রান্সের সঙ্গে চুক্তি করে। সেই চুক্তি অনুযায়ী গতকাল প্রথম চালানে ৫টি রাফাল যুদ্ধ বিমান হাতে পেয়েছে ভারত। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, এখনো লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত নয় ভারতের রাফাল। কেননা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করতে যুদ্ধবিমানগুলোতে আরও কাজ করাতে হবে।

দেশটির বিমানবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত এয়ার মার্শাল প্রণব কুমার বারবোরা বলেছেন, রাফাল পৌঁছানোকে স্বাগত জানানো হয়েছে। কারণ এসব বিমান দেশের বিমানবাহিনীর সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে। তিনি আরও বলেন, পুরোপুরি ব্যবহারের আগে কিছুটা সময়ের দরকার হবে। ভারতে লজিস্টিক চেইন স্থাপন এবং কারিগরি ও স্থল কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। নতুন কোনও এক স্কোয়াড্রনকে পুরোপুরি প্রস্তুত করার জন্য সাধারণত দুই বছরের মতো সময়ের দরকার হয়। একটি রাফাল স্কোয়াড্রন প্রস্তুত করতে কমপক্ষে ১৮টি যুদ্ধবিমান লাগবে।

রাফাল যুদ্ধবিমান হামলার জন্য দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে স্থল ও সাগরে লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁতভাবে আঘাত করতে সক্ষম। এর প্রত্যেকটি বিমান কিনতে খরচ পড়েছে ৭০০ কোটি রুপি। ফরাসি প্রতিষ্ঠান দাসল্ট অ্যাভিয়েশনের তৈরি এই যুদ্ধবিমান সোমবার ভারতের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। পরে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে রাতে যাত্রাবিরতি করে বুধবার ভারতে এসে পৌঁছায়। এশিয়ার পরাশক্তি চীনের সঙ্গে সীমান্তে চলমান উত্তেজনার মাঝে অত্যাধুনিক এই বিমানের প্রথম চালান হাতে পেয়েছে ভারত।

ইতিমধ্যে, এই বিমান চীনের জন্য হুমকি বলে প্রচার করছে ভারত। একে চীনের সর্বাধুনিক যুদ্ধ বিমান চেংদু জে-২০ এর সাথে তুলনা করা হচ্ছে। তবে, বাস্তবে জে-২০ এর সামনে এই বিমান নিয়ে দাঁড়াতেই পারবে না ভারত। চীন নিজেই তাদের যুদ্ধবিমান তৈরি করছে। তারা ইচ্ছামতো এর সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারে। তাদের পাইলটরা এই বিমান চালিয়ে অভ্যস্ত ও অভিজ্ঞ। রাফাল থেকে অনেকদিক থেকেই এগিয়ে তাদের নতুন যুদ্ধ বিমান।

এদিকে, ভারত যে ৩৬টি রাফাল কিনছে তার মধ্যে ২৮টি ১ সিটের ও ৮টি ২ সিটের। ২ সিটের বিমানগুলি সাধারণত প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহার করা হয়। ফ্রান্সের সঙ্গে যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তির পর এবারই প্রথম চালান হিসেবে পাঁচটি বিমান ভারতে পৌঁছেছে। বাকিগুলো আগামী বছরের মধ্যে সরবরাহ করা হতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। অর্থাৎ, আগামী বছরের আগে স্কোয়াড্রন পূর্ণ করতে পারছে না ভারত। এর পরে, প্রশিক্ষণের জন্য আরও সময় ব্যয় হবে। কারণ, যুদ্ধক্ষেত্রে এ ধরণের একাধিক বিমান একসাথে ব্যবহার করা হয়, যাতে একটি আরেকটিকে সহযোগিতা করতে পারে। যুদ্ধক্ষেত্রে পাইলটদের দক্ষতাও অন্যতম নিয়ামক। এছাড়াও, বিমানের যন্ত্রাংশের জন্য ভারতকে ফ্রান্সের কারিগরি সহায়তার উপরে নির্ভর করতে হবে।

জে-২০ বিমানে ব্যবহৃত পিএল-১০ ও পিএল-১৫ ক্ষেপনাস্ত্রও চীন স্থানীয়ভাবে তৈরি করছে। অন্যদিকে, রাফালে ব্যবহুত এয়ার টু গ্রাউন্ড ‘স্কাল্প’ ক্ষেপনাস্ত্র ও এয়ার টু এয়ার ‘মেটর’ ক্ষেপনাস্ত্রের জন্য সেই ফ্রান্সের উপরেই নির্ভরশীল হয়ে থাকতে হবে ভারতকে। সূত্র: ইউরেশিয়ান টাইমস।



 

Show all comments
  • মোহাম্মদ ফজর আলী ৩০ জুলাই, ২০২০, ৪:৫০ পিএম says : 0
    যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই।
    Total Reply(0) Reply
  • Dipankar ৩১ জুলাই, ২০২০, ৮:২৭ পিএম says : 0
    Let China and Pakistan fight against India, all we are waiting for....
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Kowaj Ali khan ২ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১১:১৬ এএম says : 0
    War mining is death. soon as possible India must first destroy Modi.
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ সিদ্দিকুর রহমান ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৭:৫৬ পিএম says : 0
    যুদ্ধ চাইনা, শান্তি চাই।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত-চীন

২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ