Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সউদীসহ মধ্যপ্রাচ্যের সাত দেশে খোলা মাঠে ঈদের নামাজে নিষেধাজ্ঞা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ জুলাই, ২০২০, ১২:৪২ পিএম

করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মধ্যপ্রাচ্যের সাত দেশ। খোলা মাঠ কিংবা সাধারণ মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করা যাবে না।
নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা সাতটি দেশ হল- সউদী আরব, মরক্কো, আলজেরিয়া, মিসর, ইরাক, সিরিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের দিন নির্দিষ্ট কিছু মসজিদে নামাজ আদায়ের জন্য সবাইকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মিসরে মাত্র একটি মসজিদে নামাজের অনুমতি দেয়া হয়েছে। তবে কুয়েতের সব মসজিদে জামাত হবে। ঈদের নামাজ ঈদগাহে নাকি ঘরে- তা নিয়ে দ্বিধায় আছে ভারতও। মাসের শুরুতে অবশ্য সরকারের পক্ষ ‘ঘরেই হবে ঈদের নামাজ’-এমন একটা শোরগোল উঠেছিল। তবে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত এখনও আসেনি। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে নির্দিষ্ট নির্দেশনা দেবে দিল্লি। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড ও আলজাজিরার।
কোনো কোনো দেশে কড়া স্বাস্থ্যবিধি আরোপ করা হয়েছে। কোনো কোনো দেশ আবার বিধিনিষেধ শিথিলও করেছে। সউদী আরবের ইসলাম ও ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ মহামারী সংক্রমণ রোধে খোলা প্রাঙ্গণে ঈদের নামাজ আদায় থেকে বিরত থাকতে হবে।
নির্দিষ্ট কিছু মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। মরোক্কের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় মাঠ ও মসজিদে ঈদুল আজহার জামাত নিষেধ করেছে। সবাইকে নিজ নিজ ঘরে খুতবা ছাড়া ঈদের জামাত আদায়ের নির্দেশ দিয়েছে।
মিসরে কেবল শহরের একটি বড় মসজিদে ঈদুল আজাহার নামাজ আদায়ের অনুমতি দেয়া হয়েছে। আর দেশের সব মসজিদেই নামাজ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ভাইরাস প্রতিরোধে ঈদের ছুটিতে কারফিউ জারি করেছে ইরাকের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।আলজেরিয়া ফতোয়া বোর্ডের পক্ষ থেকে নিজ ঘরে একাকি কিংবা জামাতে খুতবা ছাড়া ঈদুল আজহার নামাজ আদায়ের কথা বলা হয়েছে।
সিরিয়ার ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অত্যাধিক করোনা রোগী হওয়ায় দামেশ ও এর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের খোলা প্রাঙ্গণ ও মসজিদে ঈদুল আজহার জামাতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।সংযুক্ত আরব আমিরাতের সরকারে পক্ষ থেকে নিজ নিজ ঘরে ঈদের নামাজ আদায় করতে বলা হয়েছে। অপরদিকে কুয়েতের মন্ত্রিসভা দেশের সব মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের জামাত আদায়ের ঘোষণা দিয়েছে।
করোনা আতঙ্কে বদলে গেছে কোরবানির বাজারও। মধ্যপ্রাচ্য থেকে এশিয়া সব দেশের চিত্রই প্রায় এক। সংক্রমণের ভয়ে বেশিরভাগ ক্রেতাই হাটে যাচ্ছে না। অনলাইনেই অর্থাৎ ফেসবুক-টুইটার ও বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বেচাকেনা হচ্ছে গরু, ছাগল ও ভেড়া।
ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উপলক্ষে বিশ্বে প্রতি বছরই কোটি কোটি ছাগল, গরু ও ভেড়াসহ অসংখ্যা পশু বেচাকেনা হয়। কোরবানির এসব পশু সাধারণত বাজারে গিয়ে দরদাম করেই পছন্দের পশুটি কিনত মানুষ। কিন্তু এ বছর করোনার কারণে সেই চিত্র পাল্টে গেছে।
সংক্রমণের ভয়ে পশুহাটে না গিয়ে অনলাইনেই ভরসা রাখছে বেশিরভাগ ক্রেতা ও বিক্রেতাই। দক্ষিণ এশিয়ার ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে এই চিত্র এখন অনেকটাই অভিন্ন। ব্যাপকভাবে করোনাপীড়িত এই দেশগুলোতে এবার বেশিরভাগ পশুহাট হয় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, নতুবা ব্যাপক কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।অন্যদিকে সংক্রমণে ভয়ে বাজারে যেতেও আগ্রহী নয় অনেকেই। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে আগামী শনিবার।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মধ্যপ্রাচ্য


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ