পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যদিও রাষ্ট্রীয় স্তরের কৌশলগত নীতি আঞ্চলিক রাজনীতির চরিত্র হিসেবে সংজ্ঞায়িত হয় না, তবে মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে, বিশেষ করে পরিবর্তনশীল এবং সঙ্ঘাতপূর্ণ দেশগুলিতে ক্ষমতাবানরা এবং সমাজগুলি ব্যাপকভাবে একপেশে রয়ে গেছে। বিশেষ করে, স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থা আরও দমনম‚লক হওয়ার সাথে গণতন্ত্র-স্বৈরাচারবাদের বিভাজন আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। সেই অর্থে, স্বৈরাচারীদের মধ্যে আরব বসন্ত প্রণোদিত নিরাপত্তাহীনতা হ্রাস পেয়েছে, কিন্তু তা বাষ্পীভ‚ত হয়ে যায়নি।
চতুর্থত, গত এক দশক ধরে ভ‚-রাজনীতি এবং আদর্শ আঞ্চলিক এজেন্ডায় প্রাধান্য পেয়েছে। ফলস্বরূপ, আঞ্চলিক প্রতিদ্ব›দ্বীদের বৈদেশিক নীতি এবং অর্থনৈতিক স্বার্থের মধ্যে সামঞ্জস্যহীনতা ঘটেছে। ২০১৪ সালে তেলের দামের পতনের পর এই ব্যবধানটি প্রতিবেশী দেশগুলির মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতার উপর প্রভাব ফেলেছিল। কোভিড-১৯ মহামারী অঞ্চলটিকে একটি খাড়া মন্দার দিকে ঠেলে দেয়ার আগে, ২০১৭ সালে কাতারের ওপর অবরোধ সবার জন্য আর্থিকভাবে ব্যয়বহুল প্রতীয়মান হয়েছিল।
বিশ্ব অর্থনীতি সম্পর্কে অব্যাহত অনিশ্চয়তার সাথে সাথে রাষ্ট্রগুলো অন্যান্য দেশের সাথে অর্থনৈতিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধারসহ নিজস্ব অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। এ গতিশীলতা ইতোমধ্যেই তুরস্ক-ইউএই সম্পর্ক এবং তাদের নিজ নিজ প্রতিদ্ব›দ্বীদের প্রতি উদ্যোগে দৃশ্যমান। যে অর্থনৈতিক জাতীয়তাবাদ ক্রমবর্ধমানভাবে সউদী আরবের পররাষ্ট্রনীতিকে আকার দিচ্ছে, তা তার প্রতিদ্ব›দ্বী তুরস্ক এবং ইরানের সাথে সম্পর্কের উন্নতির দরজা খুলে দিতে পারে।
লেবানন থেকে আলজেরিয়া এবং ইরাক থেকে সুদান এবং তিউনিসিয়া পর্যন্ত আরব বসন্ত-পরবর্তী যুগে প্রবেশ করা অঞ্চলের সমস্ত মধ্যস্ততার আলোচনা সত্তে¡ও মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে জনগণের বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। এই বিক্ষোভগুলো কর্তৃত্ববাদী শাসনের নিরাপত্তাহীনতা বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং মতাদর্শিক সংগ্রামকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারে। হিমায়িত দ্ব›দ্বগুলি অনেকগুলি অনুঘটকের প্রতিক্রিয়া হিসাবে উস্কে উঠতে পারে। ২০২৪ সালে কোনও ট্রাম্প-সদৃশ ব্যক্তি সম্ভাব্যভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পারেন। এছাড়াও, ইরানে মার্কিন বিশেষ দ‚ত রব ম্যালির মতে, তেহরানের সাথে ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি পুনরুজ্জীবিত হওয়ার সম্ভাবনা ক্রমশ অনিশ্চিত হয়ে আসছে। ইরানের সাথে একটি ক্রমবর্ধমান সঙ্কট উপসাগরীয় অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং বিস্তৃত অঞ্চল জুড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে। চলমান স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে আন্তর্জাতিক শক্তিগুলির উচিত বহুপাক্ষিক কাঠামোর মাধ্যমে আঞ্চলিক আধিপত্যবাদীদের সক্রিয়ভাবে সমর্থন করা, যা সঙ্ঘাতের বিরুদ্ধে সহযোগিতার সুবিধাগুলিকে দৃঢ় এবং টেকসই করে।
২০২১ সালের আগস্টে আঞ্চলিক নেতাদের উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত ‘বাগদাদ কনফারেন্স ফর কোঅপারেশন অ্যান্ড পার্টনারশিপ’র মতো উদ্যোগ একটি একক অনুষ্ঠান হওয়া উচিত নয়। এটি মার্কিন সমর্থনে সন্ত্রাস, শরণার্থী, খাদ্য নিরাপত্তা এবং অভিবাসন সহ মধ্যপ্রাচ্যের আজকে মুখোমুখি হওয়া সমন্বিত নিরাপত্তা ও উন্নয়ন চ্যালেঞ্জগুলির বিষয়ে বহুপাক্ষিক স্বার্থের সংলাপের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম এবং প্রক্রিয়ায় পরিণত হওয়া উচিত। সূত্র: ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট। (সমাপ্ত)
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।