পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে আওয়ামী লীগের আয়-ব্যয় দুটোই কমেছে। গেলো পঞ্জিকা বছর (২০১৯) শেষে আওয়ামী লীগের নগদ অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫০ কোটি ৩৭ লাখ ৪৩ হাজার ৫৯৩ টাকা। এর মধ্যে হাতে নগদ ৫ লাখ ১৩ হাজার ৭১৭ টাকা। আর ৪০ কোটি টাকার এফডিআরসহ ব্যাংকে জমা ৫০ কোটি ৩২ লাখ ২৯ হাজার ৮৭৬ টাকা। দলটির ওই বছরে ব্যাংক সুদ এসেছে আড়াই কোটি টাকার কাছাকাছি।
বুধবার (২৯ জুলাই) দুপুরে আগারগাঁও নির্বাচন কমিশনে আওয়ামী লীগের ২০১৯ সালের আয়-ব্যয়ের এই হিসাব জমা দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে দলটি রাজনীতি দলের নিবন্ধন আইনের খসড়ার ওপর লিখিত মতামত দিয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ ও দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া কমিশনে হিসাব জমা দেন। তারা ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীরের কাছে আয়-ব্যয়ের হিসাব ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২ এর লিখিত কপি হস্তান্তর করেন।
দাখিল করা হিসাবে দেখা যাচ্ছে, ২০১৮ পঞ্জিকা বছরে আওয়ামী লীগের আয় হয়েছিল ২৪ কোটি ২৩ লাখ ৪২ হাজার ৭০৭ টাকা। আর ব্যয় হয়েছিল ১৮ কোটি ৮৭ লাখ ৮০ হাজার ৫৫৭ টাকা। আর ২০১৯ সালে দলটির আয় হয়েছে সর্বমোট ২১ কোটি ২ লাখ ৪১ হাজার ৩৩০ টাকা, ব্যয় হয়েছে ৮ কোটি ২১ লাখ ১ হাজার ৫৭৫ টাকা। অর্থাৎ আগের বছরের চেয়ে গত বছর দলটির আয় ও ব্যয় দুটোই কমেছে।
আয়-ব্যয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের তহবিলে নগদ ছিল ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৯৬৮ টাকা। সে সময় ব্যাংক হিসাবে জমা ছিল ৩৭ কোটি ৫২ লাখ ৬৪ হাজার ৮৭০ টাকা। সর্বমোট অর্থ ছিল ৩৭ কোটি ৫৬ লাখ ৩ হাজার ৮৩৮ টাকা।
২০১৯ সালে দলটির আয় হয়েছে সর্বমোট ২১ কোটি ২ লাখ ৪১ হাজার ৩৩০ টাকা। আয়ের উল্লেখযোগ্য খাতগুলোর মধ্যে রয়েছে- নমিনেশন ফরম বিক্রি বাবদ ১২ কোটি ৩২ লাখ ৩০ হাজার টাকা। জাতীয় সম্মেলন বাবদ প্রাপ্ত ৩ কোটি ২ লাখ ৫৫ হাজার ৮০০ টাকা, ব্যাংক লভ্যাংশ বাবদ ২ কোটি ৩৩ লাখ ৭৫ হাজার ২২৩ টাকা। সংসদ সদস্যদের প্রদেয় চাঁদা বাবদ ১ কোটি ৭ লাখ ৬৪ হাজার টাকা।
এছাড়া কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের মাসিক চাঁদা, জেলাভিত্তিক প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ চাঁদা ও প্রাথমিক সদস্য ফরম বিক্রি, কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের হলভাড়া, পত্রিকা প্রকাশনা ও বিজ্ঞাপন (উত্তরণ) এবং পুস্তক বিক্রিসহ অন্যান্য খাত থেকে বাকি আয় হয়েছে।
ইসিতে জমা দেওয়া হিসাব অনুযায়ী ২০১৯ সালে আওয়ামী লীগের সর্বমোট ব্যয় হয়েছে ৮ কোটি ২১ লাখ ১ হাজার ৫৭৫ টাকা। এর মধ্যে যেসব খাতে ব্যয় হয়েছে তার মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য হলো- জাতীয় সম্মেলন বাবদ ৩ কোটি ৪৩ লাখ ১৪ হাজার ৮০০ টাকা। কর্মচারীদের বেতন, বোনাস, আপ্যায়ন ও অন্যান্য খরচ বাবদ ১ কোটি ১৩ লাখ ৭৭ হাজার ৭০০ টাকা। বিভিন্ন অনুষ্ঠান বাবদ ব্যয় ১ কোটি ১৮ লাখ ১৮ হাজার ৮৬৫ টাকা। সভাপতির কার্যালয়ে ভাড়া ৫৫ লাখ টাকা।
এছাড়া নির্বাচন পরিচালনা অফিস, অফিস রক্ষণাবেক্ষণ, ত্রাণ কার্যক্রম, উত্তরণ পত্রিকা প্রকাশনা ও সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি, বিভাগীয় জেলা জনসভা ও দলীয় অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা, বিজ্ঞাপন ও পোস্টার প্রকাশনা বাবদ, সাংগঠনিক খরচ, কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সার্ভিস চার্জসহ অন্যান্য খাতে বাকি অর্থ ব্যয় হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।