Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উপসর্গ দেখা যায় না

দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস | প্রকাশের সময় : ২৭ জুলাই, ২০২০, ১২:০১ এএম

করোনাভাইরাসে অনেকেই আক্রান্ত হলেও তাদের মধ্যে কোনও উপসর্গ দেখা যাচ্ছে না। আবার তারা নিজেদের অজান্তেই ভালোও হয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু কেন এমনটি হচ্ছে? কিছু মানুষের ক্ষেত্রে যেখানে করোনা প্রাণঘাতী আকার নিচ্ছে। আবার একই ভাইরাস কেন কোনও প্রভাব ফেলতে পারছে না কিছু মানুষের শরীরে?
কারণটা লুকিয়ে রয়েছে শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তির মধ্যে। শরীরে আগে থেকে সঞ্চিত যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, তাই এই ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভ‚মিকা নিচ্ছে। সম্প্রতি এই বিষয়ে একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, শরীরে মেমোরি টি-সেল নামে একটি বিশেষ কোষের উপস্থিতি করোনার হাত থেকে কিছু মানুষকে রক্ষা করছে।

এই সমীক্ষায় তিনটি আলাদা আলাদা দলের ওপর পরীক্ষা চালানো হয়। প্রথম দলে ছিলেন ৩৬ জন। এরা সবাই করোনার সংস্পর্শে এসেছেন এবং তাদের শরীরে মেমোরি টি-সেল রয়েছে। দ্বিতীয় দলে রয়েছে ২৩ জন। এরা সবাই ২০০৩ সালে সার্স ভাইরাসে আক্রান্ত হন এবং তাদের শরীরেরও টি-সেল মজুত আছে। তৃতীয় দলে ছিলেন ৩৭ জন, যারা কখনোই প্যাথোজেনের সংস্পর্শে আসেননি।

সমীক্ষায় দেখা গেছে আগে সার্সে আক্রান্ত হলেও করোনার বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কিছুটা তৈরি হয়ে যাচ্ছে। গবেষকদের একাংশ তেমনটি মনে করছেন। করোনা সংক্রমণ এভাবে বাড়তে থাকলে একটা সময় বহু মানুষের শরীরে এর অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে যাবে। যার ফলে করোনা সংক্রমণের শৃঙ্খল ভেঙে যাবে এবং এই সংক্রমণ নিজে থেকেই নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। এই পর্যায়কেই বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ‘হার্ড ইমিউনিটি’।

গত শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ার এক অনুষ্ঠানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক গবেষক বলেন, ‘হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করতে এখনও বহু সময় লাগবে। কারণ, সেজন্য অন্তত ৫০ থেকে ৬০ ভাগ মানুষের শরীরে এই ভাইরাস প্রতিরোধের ক্ষমতা তৈরি হতে হবে। তবেই প্রাকৃতিক উপায়ে এর ছড়িয়ে পড়া রোধ করা যাবে। তাছাড়া এর শৃঙ্খল ভেঙে ফেলা যাবে।

সমীক্ষায় বলা হয়, এর থেকে অনেক সহজ হবে টিকা আবিষ্কার করা। যাতে মানুষ অসুস্থ না হয় এবং কারও মৃত্যু না হয়। কারণ প্রাকৃতিক উপায়ে হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করতে হলে করোনা সংক্রমণের আরও একাধিক পর্যায় আসতে হবে। আরও বহু মানুষকে সংক্রমিত হতে হবে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আরও বহু মানুষের প্রাণও যাবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ